আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বছরে বর্জ্য উৎপাদন হয় ১৯ লাখ টন চসিক সংগ্রহ করে মাত্র নয় লাখ টন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগীর বাসিন্দাদের বছরে বর্জ্য উৎপাদন হয় ১৯ লাখ টন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) বর্জ্য সংগ্রহ করে মাত্র নয় লাখ টন।
বাকি ১০ লাখ টন বর্জ্য গিয়ে পড়ছে খাল-নালা ও নদীতে। এই বিশাল পরিমাণ বর্জ্য সংগ্রহ করতে না পারাকে নগরীর জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা বন্ধ এবং নির্ধারিত সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানে নগরীর বাসিন্দাদের বর্জ্য ফেলা নিশ্চিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে সিটি কর্পোরেশনের। নয়তো জলাবদ্ধতার নিরসনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও অর্থের অপচয় ছাড়া কোন কাজে আসবে না।

এদিকে শুধু নালা-খাল পরিষ্কার করলেই হবে না, নগরবাসীকে সচেতন করতে পারলেই জলাবদ্ধতার সুফল পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, নালা পরিষ্কার করলাম, খাল পরিষ্কার করলাম। কিন্তু প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন এগুলো বাইরে থ্রো করছি, এগুলো এরপর নালায় যাচ্ছে। পরে সেখান থেকে জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। প্রথমে নগরবাসীকে সচেতন করা হবে। তাতেও কাজ না হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে।

অন্যদিকে নগরীর ৭০ লাখ মানুষের এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা না আনলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন চার প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের তিন সংস্থা। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মূল প্রকল্পটি নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। যা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। প্রকল্পটির অধীনে নগরের ৩৬টি খাল পরিষ্কার ও সংস্কার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিটি কর্পোরেশনের সংগ্রহের বাইরে থাকা প্রতিবছর উৎপাদিত ১০ লাখ টন বর্জ্য। এসব বর্জ্য গিয়ে পড়ছে খালে। পরিষ্কারের পরদিনই বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল। ফলে প্রকল্পের তিন ভাগের বেশি কাজ শেষ হলেও জলাবদ্ধতা নিরসন দৃশ্যমান হচ্ছে না।

প্রকল্পটির পরিচালক সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ বলেন, প্রকল্পের আওতায় থাকা খালগুলো একাধিকবার পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু আবর্জনা অপসারণের পরদিন গিয়ে দেখা যায় খাল ভরাট হয়ে আছে। অনেক জায়গায় প্রতিদিন বাসা-বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য রাখা হয় খালের পাড়ে। খোলা জায়গায় রাখা এসব বর্জ্যরে অধিকাংশ খালে পড়ে ভরাট হয়। ফলে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা হয়। খালে জমাট বাঁধা বর্জ্যরে অধিকাংশই পলিথিন, ককশিট ও প্লাস্টিকের মতো অপচনশীল বর্জ্য।

এদিকে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্প ও দুই হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হতে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। এক হাজার ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ১ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। সিডিএ’র ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পটির পূর্ত কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন বলেন, নগরীতে উৎপাদিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা না আনলে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পরও নগরীর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন আসবে না। খাল-নালা সংস্কার ও নির্মাণ এবং খালের মুখে স্লুইসগেট নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতার প্রকোপ কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু আবর্জনায় খাল-নালা ভরাট হয়ে থাকলে পানি আটকে জলাবদ্ধতা হবেই।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নে এক মতবিনিময় সভায় অর্ন্তবর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক খাল-নালায় ময়লা ফেললে জেল-জরিমানা করার ব্যাপারে চসিককে চিন্তা করতে বলেন। এ সময় তিনি বলেন, চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক ধরনের কাজ করতে পারে। প্রথমে সচেতনতা, তারপর সতর্কতা, এরপর শাস্তি; এভাবে যদি এগিয়ে যাওয়া যায় আশা করি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পাওয়া যাবে। নগরে বসবাসকারী যে সমস্ত পরিবার শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেনে চলবে তাদের পুরস্কৃত করা যেতে পারে। এগুলো যারা মান্য করবে না তাদের তিরস্কার এবং জরিমানা করা যায়। যারা কোনভাবেই মানবে না তাদের দুয়েকজনকে জেলও দিতে পারি। তাহলে ময়লা যত্রতত্র ফেলবে না।
এদিকে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়া খালের ভেতর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু বর্জ্য অপসারণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। নগরবাসীর যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা ও সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য সংগ্রহে গাফিলতি এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন তারা। ফলে একেকটি খাল একাধিকবার পরিষ্কারের পরও ভরাট হয়ে থাকে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৭৪০ গ্রাম বর্জ্য উৎপাদন করে। সে হিসেবে ৭০ লাখ লোকের চট্টগ্রাম নগরে প্রতিদিন বর্জ্য উৎপাদন হয় ৫ হাজার ১৮০ টন। বছরে উৎপাদন করে ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টন বর্জ্য। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বছর তারা বর্জ্য সংগ্রহ করেছে ৯ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টন। বাকি প্রায় ১০ লাখ টন বর্জ্য নালা-নর্দমা ও খাল হয়ে নদীতে চলে যায়। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দূষণরোধ, নাব্য বৃদ্ধি এবং অবৈধ দখল রোধকল্পে মহাপরিকল্পনা করেছে সরকার।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের যে ব্যবস্থা রয়েছে তা সন্তোষজনক নয়। ন্যূনতম যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতেও আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত না করার কারণে শৃঙ্খলা আনা যাচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে নগরবাসীর বর্জ্য ফেলা নিশ্চিত করতে হবে। যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা বন্ধে জরিমানা ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তবেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আসবে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল পাবে নগরবাসী। নয়তো জনগণের অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু হবে না।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইনে আইন প্রয়োগের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশনকে। বর্জ্য সংগ্রহে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত আইনের প্রয়োগ দেখা যায়নি। আইনের পঞ্চম তফসিলে বর্জ্য ফেলে খাল-নালা ভরাটকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই অপরাধে দণ্ডের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশনকে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ