আজঃ শনিবার ২২ মার্চ, ২০২৫

বন্দরের কাছ চসিক’র পাওনা আদায়ে ‘যৌথ পুনর্মূল্যায়ন কমিটি’ করতে সম্মত

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন(চসিক)’র পাওনা টাকা আদায়ে একটি কমিটি গঠন হচ্ছে। এ বিষয়ে চসিকের সঙ্গে একটি ‘যৌথ পুনর্মূল্যায়ন কমিটি’ করতে সম্মত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চসিকের ‘পাওনা’ ১৬০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। এই পৌরকর আদায়ে কোমর বেঁধে নেমেছে চসিক। চসিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে পাওনা ১৬০ কোটি টাকা পরিশোধ করলে চসিকের বিদ্যমান আর্থিক সংকট কিছুটা লাঘব হবে।

সূত্রমতে, ২০১৭ সালে চসিকের পঞ্চবার্ষিকী পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী বন্দরের কাছে ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পৌরকর প্রস্তাব করা হয়। তবে ওই কর পুনর্মূল্যায়ন কার্যক্রম সেসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় স্থগিত করে দিলে এ বিষয়ে আর এগোতে পারেনি চসিক। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর মন্ত্রণালয় আবার তাদের সিদ্ধান্ত আংশিক প্রত্যাহার করে নেয়। এতে ২০১৭ সালের পঞ্চবার্ষিকী পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পৌরকর আদায়ের পথ খুলে যায়।
জানা গেছে,চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রথম দফায় বন্দরকে চিঠি দিয়ে ১৬০ কোটি টাকা পৌরকর পরিশোধের অনুরোধ করে। কিন্তু এতে সাড়া না পেয়ে সংস্থাটি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়। মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক অবস্থান বুঝতে পেরে চসিক ফের বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করেছে। এ অবস্থায় বন্দর কর্তৃপক্ষ চসিককে তাদের দাবির বিষয় পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি যৌথ কমিটি করার প্রস্তাব দিয়েছে।

এদিকে ২০২১ সালে রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বন্দরকে ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পৌরকর পরিশোধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এ নিয়ে দেনদরবারের পর মেয়র রেজাউলের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫০ কোটি টাকা পৌরকর নির্ধারণ হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ ১০ শতাংশ সারচার্জ মওকুফের সুবিধা নিয়ে ৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করে। এরপর ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২০১৭ সালের পঞ্চবার্ষিকী পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী পৌরকর আদায়ের বিষয়টির আর সুরাহা হয়নি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আত্মগোপনে চলে যান চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্তর্বতী সরকার ১৯ আগস্ট তাকে অপসারণ করে। এর মধ্যে ১ অক্টোবর নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে দায়ের থাকা এক মামলার রায়ে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ৫ নভেম্বর তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

শাহাদাত হোসেন মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে আবারও ১৬০ কোটি টাকা হারে বন্দরের কাছ থেকে পৌরকর আদায়ে উদ্যোগী হন। একইসঙ্গে আগের মেয়রের পথ অনুসরণ করে বন্দরের কাছ থেকে তাদের আয়ের এক শতাংশও মাশুল হিসেবে দাবি করেন। বন্দরের পণ্য নিয়ে চলা ভারি যানবাহনগুলোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য এ মাশুল দাবি করা হয়।

সূত্রমতে, প্রথম দফায় নভেম্বরেই চসিক বন্দরের কাছ থেকে এক শতাংশ মাশুল দাবি করে চিঠি দেন। কিন্তু আইনে না থাকার কথা বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ এতে সাড়া দেয়নি। এরপর গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পৌরকর দাবি করে বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

এক মাস পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে সাড়া না পেয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেন। এতে নির্ধারিত পৌরকর পরিশোধে বন্দরকে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করা হয়। মন্ত্রণালয় থেকে ‘ইতিবাচক সাড়া’ পেয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বন্দর কর্তৃপক্ষকে আবারও চিঠি দিয়ে ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।

সূত্র জানায়, এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশনের দাবির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অভ্যন্তরীণ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। বন্দর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলমকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া বন্দর সচিব চসিকের প্রধান নির্বাহীকে পৌরকর পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন ১৬০ কোটি টাকা পৌরকর এবং এক শতাংশ হারে মাশুল চেয়ে আমাদের চিঠি দিয়েছিল। এক শতাংশ মাশুলের বিষয়টি বন্দরের আইন সাপোর্ট করছে না। এরপর ১৬০ কোটি টাকা পৌরকরের বিষয়টি নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে একটি যৌথ কমিটি করব। কমিটি আবার অ্যাসাসমেন্ট করবে, কোনো খাতে কিভাবে, কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো দেখবে। এটা চার সদস্যের কমিটি হবে। খুব শিগগিরই আমরা এটা করে ফেলব।

জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন,বন্দরের সচিব সাহেব আমাকে মৌখিকভাবে একটি জয়েন্ট অ্যাসাসমেন্ট কমিটি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ বিষয়ে লিখিত কিছু এখনও হাতে পাইনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাইকগাছায় কোর্ট নির্দেশনা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ; সংঘর্ষের আশংকা।

পাইকগাছায় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে জোর পূর্বক পাকা বাড়ি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রাখায় যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্ট তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মৃত বক্তাউজ্জামান সানার ছেলে মোঃ আশারফ সানাদের সহিত পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা জমি নিয়ে একই এলাকার লিয়াকত গাজীর ছেলে ওমর আলী গাজীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা সহ বিবাদ চলে আসছে।

সর্বশেষ গত ইং-২৬/০২/২৫ তারিখ উল্লেখিত পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা নিয়ে আব্দুল আজিজ সানা পাইকগাছা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওমর আলী গংদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন, মামলা নং-এম, আর ৬০/২৫। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারার জারী করেন। যা বর্তমানে বলবদ রয়েছে।

এদিকে ইং ২১/০৩/২০২৫ তারিখ শুক্রবার সকালে ওমর আলী গংরা উল্লেখিত জমিতে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে ঘর বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলো। এ ঘটনা জানতে পেরে আজিজ সানারা পাইকগাছা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে, তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আদালতের নির্দেশ মান্য সহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করে আসেন।

এবিষয়ে ওমর আলীর পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তাহারা বলেন, আশরাফ সানাদের এখানে জমি নাই, তাহলে আবার কিসের ১৪৪ ধারা।

এছাড়াও আশারফ সানা উল্লেখিত ঘটনা পরবর্তী থানায় ওমর আলী সহ চার জনকে বিবাদী করে একটি সাধারণ
ডায়েরি করেন, জিডি নং১১২১।তাছাড়া আশারফ সানার পরিবার জানান, এ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্টে দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে, মামলা নং-৩০/২০২৪।

রূপগঞ্জে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার,থানায় অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিকের ছবি ব্যবহার করে অসত্য ও অপপ্রচার ছাড়ানোর ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিক রনি আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী শ্বশরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে সাধারণ ডায়েরি জিডি করেন। যাহার জিডি নং ১১/৪৩। তিনি ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সিএসবি নিউজ ইউএসএ এবং অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দৈনিক আলোর সকালে রূপগঞ্জ উপজেলা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

জিডির সূত্র ধরে জানা যায়, উপজেলা পূর্বাচল উপশহর কাঞ্চন ব্রীজ টু নিলা মার্কেট ৩০০ ফিট সড়কে অস্থায়ী টং দোকানে কতিপয় অসাধু চোরাই তেল ব্যাবসায়ী জ্বালানি তেল বিক্রি করিয়া আসিতেছে মর্মে প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেয়ে ভিডিও চিত্র সহ দৈনিক আলোর সকাল অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করেন। এই নিউজকে কেন্দ্র করে “somoy khobor” নামিয় ফেইসবুকের একটি ফেইক আইডি থেকে সাংবাদিক রনির ছবি ব্যবহার করে মানসম্মান হানিকর বিভিন্ন পোস্ট করে অসত্য ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। জিডিতে এই আইডির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য পোস্ট করার মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ করা হয়েছে।

সাংবাদিক রনি আহমেদ বলেন, টং দোকানে চোরাই তেলের রমরমা ব্যাবসা, প্রশাসনের নজরদারি নেই এমন শিরো নামে একটি অনলাইনে প্রমানসহ ভিডিও চিত্রে সংবাদ প্রকাশ করলে কতিপয় অসাধু চোরাই তেল সিন্ডিকেট ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মানহানি করার লক্ষেই এ ধরনের অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর সাথে স্থানীয় নামধারি কয়েকজন সংবাদ কর্মীও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে অনুসন্ধানি রিপোর্টের মাধ্যমে এই চোরাই তেল সিন্ডিকেট সম্পর্কে বিস্তারিত জাতীর সামনে তুলেদরা হবে জানিয়ে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ অপপ্রচারের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লিয়াকত আলী বলেন, “সাংবাদিক রনি আহমেদের ছবি ব্যাবহার করে তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অসত্য ও অপপ্রচার মুলক পোস্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ