আজঃ বুধবার ১৯ মার্চ, ২০২৫

সংস্কারের গল্প আমাদেরকে বলার দরকার নেই

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামে একুশে বইমেলায় শহীদ দিবসের আলোচনা সভায় আমীর খসর মাহমুদ চৌধুরী

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসর মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংস্কারের গল্প আমাদেরকে বলার দরকার নেই। এই গল্প যারা নতুন নতুন সংস্কার শিখেছে, তাদের মধ্যে আর আপনাদের মধ্যে রেখে দিন। ৩১ দফা সংস্কার আকাশ থেকে পড়েনি। এটি প্রণয়নের পেছনে অনেক বিতর্ক, আলোচনা ও প্রস্তাবনা এসেছে। সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতেই আমরা ৩১ দফা প্রণয়ন করেছি। বাংলাদেশের মানুষের আগামী দিনের পরিবর্তনের বার্তা এই ৩১ দফার মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে। এই বার্তা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছি এবং সংস্কারের জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তিনি শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চত্বরে অমর একুশে বইমেলার মঞ্চে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বই মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রকাশক শাহাবুদ্দিন হাসান বাবুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিছ মিয়া, সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

আমীর খসর বলেন, কোনো ব্যক্তির ভিশন বা কোনো গোষ্ঠীর মিশনের ভিত্তিতে সংস্কার হবে না। বাংলাদেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। ৩১ দফার জন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যখন এসব দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভোট দেবে, তখন আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে পারব।

বিএনপির ৩১ দফা ও অন্যান্য সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, এখন যারা সংস্কারের কথা বলেন, তাদের কাছে কোনো ম্যান্ডেট আছে? তাদের পক্ষে কার সমর্থন আছে? তাদেরকে কে বলেছে? হ্যাঁ, প্রণয়ন করন, কমিশন হয়েছে, ভালো কথা। এগুলো সব আমরা আগামী সংসদে প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করবো। আপনারা কষ্ট করে করেছেন, অনেক ধন্যবাদ। এগুলো আমরা আগামী সংসদে পেশ করব। ৩১ দফা সংসদে আলোচনা হবে। আমরা বলেছি, হয়ে যাবে, তা নয়, সংসদে আলোচনা হবে। অন্য কোনো দলের যদি কোনো প্রস্তাব থাকে, সেটাও সংসদে উপস্থাপন করক। কারণ, আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাই। জনগণের চিন্তার প্রতিফলন রাষ্ট্র পরিচালনায় ও দৈনন্দিন জীবনে ঘটাতে হবে।

তিনি বলেন, যে নতুন পথ তারেক রহমান দেখিয়েছেন, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, অন্যের প্রতি সহনশীলতা ও সহানুভূতি দেখানো। অন্য মত হলেও সেটি গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে হবে। শুধুমাত্র সংস্কার করলেই হবে না, রাজনৈতিক সংস্কারের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। আমার বিরদ্ধে কেউ বললেও তাকে সম্মান জানাতে হবে, তার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে। দ্বিমত পোষণ করবো, কিন্তু সম্মান দিতে হবে। আপনারা দেখেছেন, তারেক রহমানকে একটি পত্রিকায় কার্টুনের মাধ্যমে সমালোচনা করা হয়েছিল। পরে তিনি বলেছেন, এটার জন্যই তো আমরা যুদ্ধ করেছি, এ স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য। এ স্বাধীনতা পাওয়ার জন্যই ফ্যাসিবাদের বিরদ্ধে যুদ্ধ করেছি।

আমীর খসর বলেন, বইমেলা জিনিসটা আমি ভুলে গিয়েছি। কারণ, বিগত দিনে বইমেলা বলতে যা বোঝানো হতো, তা হলো, একটি দলের প্রতিষ্ঠাতা, তার মেয়ে, তার পরিবার, তাদের চিন্তা ভাবনা ও দর্শন প্রতিফলিত হতো সেই বইমেলায়। এমনকি স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও তাদের পরিবারের দর্শন ও চিন্তা ভাবনা কারিকুলামের মাধ্যমে পড়তে, শিখতে বাধ্য করা হয়েছে। কোনো বিশেষ দর্শন, চিন্তা বা পরিবার যেন বাংলাদেশের মনোজগতে এককভাবে প্রবেশ করতে না পারে, সেটা আমরা আগামী দিনে নিশ্চিত করবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আবার তাদের পথে চলি, তাহলে যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জিয়াউর রহমান সাহেব দেখে গিয়েছেন, সেই বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারবো না। শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। মানুষের চিন্তা ভাবনা, দর্শন ও সৃজনশীলতা এখন উন্মুক্ত অবস্থায় আছে। সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি করতে হবে, যাতে সবাই নিজের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে। আমাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে এসবের কথা বলা আছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতে পারলে, আমরা যারা আন্দোলন করেছি স্বৈরাচারের বিরদ্ধে, যারা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, জাতীয় সরকার গঠন করে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। বিএনপি একা নয়, আমরা যারা সম্মিলিতভাবে ৩১ দফা প্রণয়ন করেছি, সবাই মিলে এটি বাস্তবায়ন করব।

ভিন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, আগের মতো দেশ পরিচালনা করা যাবে না। নতুন ভাবনায়, নতুন চিন্তায় আমরা যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, সেই বাংলাদেশ হবে ভিন্ন বাংলাদেশ। অতীতের ভুল ত্রুটি মুছে দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া হবে।

বইমেলা ও মুক্তচিন্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্মুক্ত লেখাপড়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশের লেখাগুলোকে সম্মান জানাতে হবে, সব বিষয়ে লেখকদের সমর্থন দিতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষ ও লেখকদের জন্য আমাদের জায়গা তৈরি করতে হবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, শাহাদাত নিরপেক্ষভাবে চট্টগ্রাম নগরীকে সুন্দরভাবে গড়ার জন্য কাজ করক। আপনারা তাকে সহযোগিতা করবেন। সমস্যা থাকবে, সে সব সমাধান দিতে পারবে না। আমরা দলীয়করণে বিশ্বাসী নই। সে সঠিকভাবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করক, তাহলে বিএনপি লাভবান হবে। শেখ হাসিনার পথে হাঁটলে চলবে না।

নতুন নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে আমীর খসর মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতীয়তাবাদী চিন্তার অনুসারীদের আগামী দিনে এই স্বাধীনতার চেতনাতেই বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। আমরা সংঘর্ষের রাজনীতি চাই না, প্রতিশোধের রাজনীতি চাই না। হ্যাঁ, বিচার অবশ্যই করতে হবে, যারা খুন করেছে, গুম করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কাউকে বিচারের বাইরে রাখা যাবে না। একই সঙ্গে দেশ গঠনের প্রকল্পে বিএনপির যে চিন্তা রয়েছে, সেটিই মাথায় রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিক বাংলাদেশের একমাত্র সিটি কর্পোরেশন যেখানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি মনে করি, এই বিপুল শিক্ষা কাঠামোকে কাজে লাগিয়ে বাংলা ভাষার প্রসারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব। আমরা চাই সঠিকভাবে বাংলা অনুবাদ হোক। নগরীতে বিভিন্ন ইংরেজি সাইনবোর্ড ও দিকনির্দেশনামূলক চিহ্নের বাংলা অনুবাদ করতে এবং ভাষার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সিটি কর্পোরেশন সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

নগরীর সাইনবোর্ড ও গুরত্বপূর্ণ স্থাপনার ইংরেজি লেখাগুলোর সঠিক বাংলা অনুবাদ নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টিম গঠন করার ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরামর্শে এই উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি আসলে উনার কথার সূত্র ধরে এটাই বলছি যে আমরা এ ধরনের একটা টিম তৈরি করতে চাই, যেটা সাইনবোর্ড গুলোর অনুবাদ করবে।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক লেখক আছেন, কিন্তু অনেক সময় তারা তাদের লেখা ছাপাতে পারছেন না। আমরা চাই, লেখকরা তাদের সঠিক জায়গায় সুযোগ পান। আগামীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এই সুযোগ করে দেবে।

ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সবসময় শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখতে আগ্রহী। এবারের অনুষ্ঠানে বাইরের কোনো শিল্পী গান করেননি, বরং নগরীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরাই অংশগ্রহণ করেছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অনেক অগ্রসর। চসিকের মতো এতটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সারা বাংলাদেশের আর কোথাও গয়ে ওঠেনি। সেজন্য আমি সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে চসিকের সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে বাচ্চাদেরকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে অন্ধকারে রেখেছিল। তাই দেশের প্রকৃত ইতিহাস লেখকদের লেখনীর মাধ্যমে তুলে আনতে হবে।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিগত সরকারের সময়ে বই পুস্তক থেকে সত্য ইতিহাস তুলে দেয়া হয়েছিল। শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। শুধু শেখ মুজিবের নাম গুণ কীর্তন করা হয়েছে। তাই এখন সত্যিকারের ইতিহাস বই পুস্তকে তুলে আনতে হবে। আজকে অন্তর্র্বতীকালিন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। তাদের কাজ হল, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আমরা দেখতে পাচ্ছি, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আমরা বলতে চাই, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে।

ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, চট্টগ্রামের এই বইমেলাতে সব ধরনের বই প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। যেটা গত ১৭ বছর ছিল না। তখন জাতীয়তাবাদী চেতনার কোন প্রকাশকের বই ও কবিতা প্রকাশিত হতে দেওয়া হয়নি। সব সময় একটি বিশেষ দেশকে প্রাধান্য দেওয়া হতো। এবারের বইমেলার আয়োজন দেখে অনেক স্বস্তি পেয়েছি। এখানে সব শ্রেণী পেশার মানুষকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেজন্য সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানাই।

আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ নতুন আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এমনই এক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ দিনটি বাংলাদেশের মানুষের অস্তিত্বে মিশে আছে এবং থাকবে চিরদিন। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো জাতি তাদের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দেয়নি।

এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, হারন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, আবুল হাশেম, ইস্কান্দর মির্জা, মো. সালাউদ্দিন, মো. কামরল ইসলাম, মশিউল আলম স্বপন, জাফর আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, জাসাসের আহ্বায়ক এম এ মুসা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ শিপন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদ বলেছেন, খুনি হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদের সহযোগী এই প্রেতাত্মারা দেশ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। এটি শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব নয়, বরং দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পাঁচলাইশ থানা যুবদলের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে মুরাদপুরস্থ আপন গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অসহায় ও নিম্ন আয়ের লোকজনের মধ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি সবসময় দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করে এসেছে। এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি আমৃত্যু কষ্ট করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের হারানো ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, যাতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করা যায়।

পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী সাকির সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, রাজন খান, ওমর ফারুক, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন মুকুল, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. সাহেদ, জহিরুল ইসলাম জহির, সহ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ কামাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য প্রফেসর সাইদুল হক সিকদার, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিদোয়ান হোসেন জনি, শাহিদুল ইসলাম মাসুম, এনামুল হক চৌধুরী কামাল, শহিদুল ইসলাম কুট্টি, মিল্লাত হোসেন, হুমায়ূন আহমেদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. জাবেদ হোসেন, মোহাম্মদ নাসির, আরিফুল ইসলাম ইলু, মো. হাসান তোফা, কোরবান আলী রহিম, মাইনুদ্দিন মামুন, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ ইউনুস, মো. মোরশেদ, সোলায়মান হোসেন মনা, জাবেদ হোসেন, মোহাম্মদ হানিফ, তোফাজ্জল হোসেন, খোকন মোল্লা, আবুল বাশার, জসিম উদ্দিন তালুকদার, মো. ফারুক, নুরুল হক, মো. সুমন, হানিফ রানা, রাসেল আহমেদ, মাসুদ রানা, জীবন মিয়া, মোহাম্মদ জাহিদ, সানি আহমেদ, মোহাম্মদ হোসাইন, মো. মাসুদ, মোহাম্মদ জসিম, মাইনুদ্দিন, রাজু রায়হানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন।

পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডাঃ আব্দুল মজিদ কে আহবায়ক ও সাবেক প্যানেল মেয়র এসএম ইমদাদুল হক কে সদস্য সচিব করে ১৩ সদস্যের উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন ১ নং যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুজ্জামান মুকুল, যুগ্ম আহবায়ক আবুল হোসেন, কাজী সাজ্জাদ আহমেদ মানিক, সম্মানিত সদস্য এসএম এমদাদুল ইসলাম,

সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন ডাবলু, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জিএম আব্দুস সাত্তার, বেনজির আহমেদ লাল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, আবু তালেব ও এডভোকেট একরামুল হক বিশ্বাস।

অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আসলাম পারভেজ কে আহবায়ক এবং সাবেক পৌর আহবায়ক সেলিম রেজা লাকি কে ১ নং যুগ্ম আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্যরা হলেন যুগ্ম আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, সাবেক পৌর সদস্য সচিব মোস্তফা মোড়ল ও এসএম মোহর আলী।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ