আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

মিহির কান্তি শীল শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের সঠিক পথ দেখিয়েছেন: স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক প্রয়াত মিহির কান্তি শীলের স্মরণে রচিত স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩ টায় স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকতের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। তিন পর্বের অনুষ্ঠানে ১ম পর্বে সভাপতিত্ব করেন এসএসসি ১৯৭১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জাহিদ হোসেন শরীফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন,

১৯৬৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ডেল্টা হেলথ কেয়ার চিটাগাং লিঃ চেয়ারম্যান ডা. কিউ. এম. অহিদুল আলম, ১৯৭২ ব্যাচের ও রয়েল হসপিটালের পরিচালক ডা. প্রীতি বড়ুয়া, ১৯৭৩ ব্যাচের এম. এ. কাদের আলম, ১৯৭৪ ব্যাচের ও বন বিভাগের সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক মো. সফিউল আলম চৌধুরী, ১৯৭৫ ব্যাচের স্থপতি সঞ্জীব বড়ুয়া, ১৯৭৭ ব্যাচের ও জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম মো. আব্দুস সাকুর, ১৯৭৯ ব্যাচের ও মা ও শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. বাবুল ওসমান চৌধুরী, ১৯৮০ ব্যাচের ও এপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহবুব উল আলম চৌধুরী, ১৯৮২ ব্যাচের ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথ, ১৯৮৫ ব্যাচের ও কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিমুল কান্তি মহাজন, ১৯৮৬ ব্যাচের ও চমেবি’র সার্জারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ মাসুদ করিম।

আলোচনায় অংশ নেন, ১৯৮০ ব্যাচের ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মীর আবুল কালাম, ১৯৯৭ ব্যাচের সৈয়দ মমতাজুল ইসলাম, ১৯৯৮ ব্যাচের ও চুয়েটের প্রফেসর ড. রনজিত কুমার নাথ,২০০০ ব্যাচের ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ ফখরুল আবেদিন, ২০০২ ব্যাচের ও চমেক হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. এস. এম. সাফায়েত হোসেন এবং ২০০৩ ব্যাচের ও চবি’র সহ-অধ্যাপক মুর্শিদ উল আলম প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর এবং একজন ছাত্রের প্রথম নায়ক। কিন্তু প্রিয় শিক্ষক হওয়া অত্যন্ত কঠিন। শ্রদ্ধেয় মিহির কান্তি শীলের সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা ও নৈতিকতার মাধ্যমে সকালের প্রিয় শিক্ষক হয়ে ওঠেন। তিনি সদালাপী, বিনয়ী পরোপকারী মানুষ ছিলেন। আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের শুধু স্বপ্নই নয়, স্বপ্ন পূরণের সঠিক পথ দেখিয়েছেন। সরলতা ও ব্যক্তিত্ব মানুষকে কখনো মরতে দেয় না। মিহির কান্তি শীল তারই প্রমাণ।

অধ্যাপক পঙ্কজ দেব অপু ও এড.বদিউল আলম স্বপনের যৌথ সঞ্চালনায় ২য় পর্বে মোড়ক উন্মোচন ও গ্রন্থালোচনায় সভাপতিত্ব করেন ১৯৬৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও প্রয়াত মিহির কান্তি শীল মহোদয়ের সহপাঠী ইন্দু নন্দন দত্ত। মূখ্য আলোচক ছিলেন, শিক্ষা চিন্তক ও নৃ-গবেষক শামসুদ্দীন শিশির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রয়াত শিক্ষক মিহির কান্তি শীলের কনিষ্ঠ পুত্র ও জ্ঞানালোয় উদ্ভাসিত মিহির কান্তি শীল স্মারকগ্রন্থ – এর সম্পাদক অজয় শীল।

বক্তব্য রাখেন, কবি, ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক অরুন শীল, ১৯৮১ ব্যাচের প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, কাটিরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণ নাথ, আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মুখপাত্র মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, ১৯৭৮ ব্যাচের ও চট্টগ্রাম মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অব.) বদরুন্নেসা সাজু, ১৯৮৪ ব্যাচের ও প্রবর্তক স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনোজ কুমার দেব প্রমূখ। ৩য় পর্ব সম্মাননা

স্মারক প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। প্রয়াত শিক্ষক মিহির কান্তি শীলের সহকর্মী, যাঁদের সাথে তিনি দীর্ঘ ও উল্লেখযোগ্য দিন কাটিয়েছেন, যাঁদের স্মৃতিতে রয়েছে বিশেষ স্মৃতিময় মুহূর্ত, মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রসারে যাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য তাঁদেরকে ‘শিক্ষাশিল্পী মিহির কান্তি শীল স্মৃতি পদক’ তুলে দেয়া হয়। বিশেষ সম্মাননা স্মারক গ্রহন করেন সিএনসি গ্রুপের ন্যাশনাল এক্সেসরিস লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ কৃষানু শর্মা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী চট্টগ্রামে এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায়

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র উদ্যোগে ১১তম বারের মতো “এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা-২০২৫” এনআইটি’র অডিটোরিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এটি. এম. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।

প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২৬৪টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প প্রর্দশিত হয়। এতে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি বিজয়ীর খোঁজ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সকলেই নতুন কিছু শিখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় উদ্ভাবন নিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পই আলাদা এবং একেকটি নতুন চিন্তার প্রতিফলন। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়; এটি হলো কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সবচাইতে কার্যকর মঞ্চ।

ড. এটি. এম. রেজাউল করিম বলেন,দক্ষতা একজন মানুষকে কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং তাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সেই দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের রুপরেখা তৈরী করে। অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় উত্থাপিত সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধানগুলো কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছেন যে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশকে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল চালিকাশক্তি।


ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তির খেলনা নয়, উদ্ভাবন হল মানুষের জীবনকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করার হাতিয়ার। আজকের এই ছোট ছোট ধারণাগুলোই আগামী দিনের বড় বড় শিল্প ও সামাজিক পরিবর্তনের বীজ বপন করছে।প্রতিযোগীতায় মোট ২৬৪ টি প্রজেক্ট অংশ নেয়। প্রজেক্ট সমুহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য মূল্যায়ন দলে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এইচ.এম

. এ আর মারুফ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান মো. দিদারুল আলম মজুমদার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো জাহাঙ্গীর আলম, কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মেহেদী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী নুরুননবী।

বিচারক প্যানেল প্রজেক্ট সমুহ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে টপ টেন নির্ধারণ করে পুরস্কার হিসেবে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জন কারীর মধ্যে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ইমার্জিং প্রজেক্ট হিসেবে চতুর্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরও ৫ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে লাগেজে মিলল ৯০ লাখ টাকার সিগারেট

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাহীন ছয়টি লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের এরাইভাল হলের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কর্নারের পাশ থেকে এসব লাগেজ উদ্ধার করা হয়। জব্দ হওয়া সিগারেট প্রতি কার্টন ১১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্য ধরে মোট ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, লাগেজগুলোর সঙ্গে কোনো যাত্রীর নাম, ট্যাগ বা মালিকানার কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কেউ লাগেজের দাবি না করায় সেগুলোকে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে লাগেজ খুলে ৮০০ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায় এবং তা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লাগেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ