আজঃ শুক্রবার ১১ জুলাই, ২০২৫

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে না আনলে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বৈষম্যবিরোধীদের

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পাশাপাশি সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বানও জানান তারা। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যোগে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এতে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলা ও তরুণদের ভূমিকা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা একটি ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতিকে নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে নিয়েছে। বৈষম্য, দমন-পীড়ন ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এই আন্দোলনে তরুণ প্রজন্ম অসাধারণ সাহস ও নেতৃত্বের গুণাবলী প্রদর্শন করেছে। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। অভ্যুত্থান পরবর্তীতে দেশ গঠনে তরুণদের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশজুড়ে তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, লুটপাট হওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধার, বাজার নিয়ন্ত্রণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে।

সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও হুঁশিয়ারি করে বক্তারা বলেন, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য কিছু কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো—গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সংবিধান পুনর্গঠনে সরকারকে সহযোগিতা প্রদান, অর্থনীতি পুনর্গঠন ও লুণ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধারে সহযোগিতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশে থাকা, বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় তরুণদের রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নগর কমিটির আহ্বায়ক রিজাউর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ, মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজা, উত্তর জেলা আহ্বায়ক ইয়াছির আরফিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক জোবাইর হোসেন, মহানগরের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রাশেদুল আলম, মহানগর যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ফরহাদ বিন হাবিব ইমন, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব মো. রইছ উদ্দিন ও তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা এবং দক্ষিণ জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যম শাকপুরা গ্রামের চলাচল অযোগ্য লালচাঁদ বিহার সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। লালচাঁদ বিহার সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার চলাচল অযোগ্য অংশ সংস্কার করে খানাখন্দ সারিয়ে তোলা হয়। এতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু। দীর্ঘদিন পর শাকপুরা ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের এ সড়কটি ব্যক্তি অর্থায়নে সংস্কার করা হচ্ছে। এ সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে মধ্যম শাকপুরা ধ্রুবতারা তরুণ সংঘের সদস্যবৃন্দ।

জানা গেছে, প্রায় এক দশক ধরে সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। এনিয়ে এলাকাবাসী পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি, ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও সড়কটি সংস্কারের উদ্যােগ নেওয়া হয়নি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে শাকপুরা ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোনাফ আস্ত গোপনে চলে যান ।

স্থানীয়রা জানান, শাকপুরা এলাকার অন্যতম যাতায়াতের এ সড়কটি টিআর বরাদ্দ দিয়েও সংস্কার করা যেতো। গত ১৭ বছরে এ সড়কের জন্য টিআর বরাদ্দ জোটেনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়নি কোনো বরাদ্দ। অথচ শাকপুরা এলাকার বসতি শূন্য বিলের মাঝে সেতু ও সড়ক নির্মাণ কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বিগত দিনের টিআর এবং কাবিখা বরাদ্দের তালিকা জন সম্মুখে আনা দরকার।

স্থানীয় বাসিন্দা অধীর বড়ুয়া জানান, শাকপুরা এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ লালচাঁদ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছিলো। সম্প্রতি এলাকাবাসী এটি সংস্কারের উদ্যােগ নেওয়ায় সেই ভোগান্তি লাঘব হলো। স্থানীয় ইউপি সদস্য অনুপ দাশ বলেন, সড়কটি উন্নয়ন করা খুবই প্রয়োজন ছিলো। যদিও বিগত সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চললেও সরকারিভাবে এ সড়কের সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে ব্যক্তি উদ্যােগে এর সংস্কারের কাজ চলছে শুনে ভালো লাগছে।

চট্টগ্রামে ছয় বছরে অন্ততঃ ১৫ জনের মৃত্যু, ফের নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু

চট্টগ্রাম মহানগরে নালায় পড়ে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে হালিশহর আনন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।ওই শিশুর নাম হুমায়রা (৩)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদ্ধার শেষে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শিশুটিকে আর বাঁচানো যায়নি। এদিকে গত ছয় বছরে চট্টগ্রাম মহানগরে খাল-নালায় পড়ে অন্ততঃ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর মো. সেলিম জানান, শিশুটি বাড়ির পাশের একটি দোকানে যাওয়ার সময় খোলা একটি নালায় পড়ে যায়। নালার স্ল্যাবটি তোলা থাকায় ওপরে পানি জমে ছিল, ফলে নালাটি বোঝা যায়নি। অসাবধানতাবশত শিশুটি সেখানে পা রাখলে পানির স্রোতে ভেসে যায়।

তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে নালায় পড়ে যেতে দেখে আশপাশের কয়েকজন উদ্ধারের চেষ্টা করলেও পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হলে আমাদের উদ্ধারকর্মীরা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তারা দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে নগরীর চকবাজারের কাপাসগোলায় হিজড়া খাল সংলগ্ন নালায় যাত্রীবাহী একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পড়ে যায়।

অটোরিকশায় মায়ের কোলে ছয় মাস বয়সী শিশুসহ তিন যাত্রী ছিলেন। বাকিরা উদ্ধার হলেও শিশুটি তলিয়ে যায়। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর সেহেরিশ নামে ছয় মাস বয়সী মেয়েটির লাশ মেলে ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার দূরে চাক্তাই খালে।এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে সিটি করপোরেশন নগরীর সব খাল-নালার পাড়ে বাঁশের বেস্টনী দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ছয় বছরে নগরে খাল-নালায় পড়ে অন্ততঃ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২ জন, ২০২১ সালে ৫, ২০২৩ সালে ৩, ২০২৪ সালে ৩ জন এবং চলতি বছর এ পর্যন্ত ২ জন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ