আজঃ শুক্রবার ১১ জুলাই, ২০২৫

একহাতি বাইক রাইডার জাবেদের তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল মোটরবাইক নিয়ে সারাদেশ ভ্রমণ করবেন। ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ডান হাত হারিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে যায় বাইক বিলাস। চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে ভেঙ্গে যায় মনের গভীরে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। পারিবারিক বিধি নিষেধের জালে আটকে বন্ধ হয়ে যায় তার বাইক চালানো। লালিত স্বপ্ন ঝরা ফুলের মত খসে পড়লেও থেমে যায়নি জাবেদ জাহাঙ্গির রিপনের উদ্যোম।

শুরু করেন একহাতে মোটরবাইক চালানোর কৌশল রপ্ত করার প্রাণপন চেষ্টা। একসময় পুরোপুরি করায়াত্ত হয় একহাতে বাইক চালানোর কৌশল। এখন তিনি একহাতি বাইক রাইডার।

বলছিলাম সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জাবেদ জাহাঙ্গীর ওরফে রিপনের কথা। যিনি এলাকায় ওয়ান হ্যান্ডেড বাইক রাইডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

একহাতে মোটরবাইক চালিয়ে দেশের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে ভ্রমন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তেঁতুলিয়া থেকে রওনা হয়ে একহাতি বাইক রাইডার জাবেদ ২৩ ঘন্টায় টেকনাফ পৌঁছে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।

জাবেদ জাহাঙ্গীর রিপন জানান, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণের জন্য প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাইক চালিয়ে যাত্রা শুরু করেন। সেখান থেকে তিনি রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা হয়ে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় গিয়ে পৌঁছান। অতপর তেঁতুলিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ২৩ ঘন্টা একহাতে বাইক চালিয়ে দীর্ঘ ৯শ’ ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি টেকনাফ জিরো পয়েন্টে এসে পৌঁছান।

জানা যায়, ২০১৬ সালে জাবেদ জাহাঙ্গীর রিপন বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বাসযোগে যাত্রা করেন। তিনি বাসের ডান পাশের সিটে জানালা দিয়ে ডান হাত বের করে বসেছিলেন। তাদের বাসটি কেরানিহাট ষ্টেশন পার হয়ে সাতকানিয়া রাস্তার মাথায় গিয়ে পৌঁছালে চট্টগ্রামগামী একটি বাসের ধাক্কায় তার ডান হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। এরপর ২ বছর বিরতি দিয়ে ২০১৮ সালে এক হাতে মোটরবাইক চালনো রপ্ত করেন। তখন থেকে বাইক চালিয়ে বিভিন্ন জেলা ভ্রমণ শুরু করে অদ্যাবধি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এখন পর্যন্ত তিনি একহাতে মোটরবাইক চালিয়ে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, ঢাকা, গাজীপুর , নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড়সহ ৫৯টি জেলা ভ্রমণ করেছেন। একযোগে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণের পাশাপাশি বিশ্ব ভ্রমণের স্বপ্ন দেখছেন একহাতি বাইক রাইডার জাবেদ জাহাঙ্গির ওরফে রিপন।

তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণের সময় জাবেদ জাহাঙ্গীর রিপনের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন তারই বন্ধু মো. কায়েস উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি মোটরবাইক চালাতে পারি না। সড়ক দুর্ঘটনার কথা মাথায় আসলে বাইকে চড়তেও আমার ভয় হয়। বন্ধু জাবেদ জাহাঙ্গীর রিপনের অনুরোধ রক্ষার্থে তার মোটরবাইকের পেছনে বসে সফরসঙ্গী হিসেবে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ করেছি ৷ বন্ধু জাবেদ জাহাঙ্গীর রিপন একহাতে মোটরবাইক চালিয়ে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পৌঁছানো অসম্ভবই মনে করেছিলাম। পরে বুঝলাম আমার ধারণা ভুল ছিল। আমি তার এ বিরল ঘটনার সাক্ষী। আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

জাবেদ জাহাঙ্গীর রিপন বলেন, আমি যখন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তখন থেকে মোটরবাইক চালানো শুরু করি। তখন থেকেই মোটরবাইকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ করার স্বপ্ন লালন করছি। তবে ২০১৬ সালে বাস দুর্ঘটনায় আমার ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আমার মন থেকে স্বপ্ন বিচ্ছিন্ন হয়নি। যারফলে আজকের এ বাইক ভ্রমন সম্ভব হয়েছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমার ডান হাত না থাকায় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ আমাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরবাইকের রেজিষ্ট্রেশন ইস্যু করছে না। এতে বিভিন্ন জেলায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে আমি আমার মোটরবাইকটি আমার বাবার নামে রেজিস্ট্রেশন করে ব্যবহার করছি। আমি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি আমাকে যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আমার নামে মোটরবাইক রেজিস্ট্রেশন ইস্যু করা হয় আমি একদিন বিশ্ব জয় করে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারব।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বিদায়ী জুন মাসে ৬৭১ সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত আহত ১৯০২।

বিদায়ী জুন মাসে দেশের গণমাধ্যমে ৬৭১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত, ১৯০২ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই মাসে রেলপথে ৫৪ টি দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত, ১৪ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তথ্যমতে, নৌ পথে ১৮ টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৭৪৩ টি দুর্ঘটনায় ৭৮০ জন নিহত এবং ১৯১৬ জন আহত হয়েছে।

এই সময়ে ২২৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৪৪ জন নিহত, ২১২ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩.৩৮ শতাংশ, নিহতের ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহতের ১১.১৪ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৬০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও ৫৮৮ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বুহস্পতিবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১১ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৯ জন চালক, ১১০ জন পথচারী, ৪৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬০ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন শিক্ষক, ১০৫ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন প্রকোশলী, এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৫ জন পুলিশ সদস্য, ০৫ জন সেনাবাহিনী সদস্য, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন প্রকোশলী, ১১৫ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৪ জন পথচারী, ৮৪ জন নারী, ৪৫ জন শিশু, ৫৬ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন পরিবহন শ্রমিক, ০৮ জন শিক্ষক ও ১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৭৪ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৬.৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৪৮ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.৯৪ শতাংশ বাস, ১২.৭৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৬.৭৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৭.৭০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৯৮ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪১.২৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৯.৬৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১.৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৬.৭০ শতাংশ বিবিধ কারনে, চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.২৯ শতাংশ, এবং ০.৭৪ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বন্দর নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করা দরকার। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। জনগণকে সঠিক তথ্য জানিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে দেশের প্রশ্নে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেবার সম্ভাবনা কমে আসবে। জনগণের অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জাতীয় সংহতি আরও শক্তিশালী হবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি সমন্বিত ও কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা যেতে পারে, যা বন্দরের উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগে সকল অংশীজন যেমন- বন্দর কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনগণ সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে আলোচনা করা উচিত। এতে করে, প্রস্তাবিত পদক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব এবং সুবিধা-অসুবিধাগুলো সবার সামনে উন্মোচিত হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় রাজনীতিক জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, বন্দরের সমস্ত বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনগণের টাকায় হয়েছে। ফলে জনগণের জানার অধিকার আছে কেন, কার স্বার্থে, কি স্বার্থে বন্দরকে বিদেশী কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় দেয়া হবে। বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে এটা সত্য। কিন্তু জনগণের মতামত ছাড়া চাপিয়ে দেয়া পূর্বের সংস্কৃতিকে লালন করে কারও মতামতকে তোয়াক্কা না করে বিদেশী অপারেটর নিয়োগ কোনভাবেই জনগণ মেনে নেবে না।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো চীফ গোলাম মওলা মুরাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, দৈনিক আজাদীর সাবেক বার্তা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, নিউজগার্ডেনের সম্পাদক কামরুল হুদা, চট্টগ্রাম টেলিভিশন রির্পোটার্স নেটওয়ার্কের আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিচ আহমেদ শাহ, বিজনেস বাংলাদেশের ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, সি-প্লাস টিভির সরোজ আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি সহ প্রমুখ।

নতুন বাংলাদেশে মিডিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে জোনায়েদ সাকি বলেন, সাংবাদিকতা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সাংবাদিকদের মুখ্য ও পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে চলমান ঘটনা ও বাস্তবতাকে তুলে ধরা। সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে নেশা সম্পৃক্ত না হলে সে সংবাদ গভীরতা পায় না, সত্যনিষ্ঠ সংবাদের গতি হারিয়ে সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়। ৫ আগষ্ট পরবর্তীতে মিডিয়ার সংস্কার কার্যক্রমে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর মিডিয়ার উপর একক নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে আনতে প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষ, সন্মানজনক বেতনভাতা প্রদান সহ মিডিয়া গ্রুপে একাধিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্ব আনা গেলে মিডিয়া স্বাধীন ভাবে কাজ করে দেশ ও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানেই একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো তৈরির উপাদান রয়েছে। ফলে এটিকে পরিবর্তন, বিচার বিভাগকে স্বাধীন না মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে গণতন্ত্রের মোড়কে একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে উঠে। জুলাই অভ্যাুত্থান পরবর্তীতে এসব মৌলিক সংস্কার না করে নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকাঠামোর পরিবর্তন হলে আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এজন্য একজন ব্যক্তির জীবৎদশায় প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় নির্ধারণ সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে দেশের প্রায় সকল দল ঐক্যমত পোষণ করেছে। এটা আগামীর বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ