আজঃ শনিবার ২২ মার্চ, ২০২৫

উচ্ছৃঙ্খল’ যুবকের মারধরের শিকার এসআই, গ্রেফতার-২

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ভূয়া পুলিশ’ অভিহিত করে হেনস্থার পর তার কাছে থাকা ওয়াকিটকি, মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়

চট্টগ্রাম মহানগরীতে ‘উচ্ছৃঙ্খল’ কিছু যুবকের মারধরের শিকার হয়েছেন পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই)। যুবকরা তাকে ‘ভূয়া পুলিশ’ অভিহিত করে হেনস্থার পর তার কাছে থাকা ওয়াকিটকি, মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। এ ঘটনা আবার তারা মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। শুক্রবার রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানার আউটার রিং রোডে সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয় জনতা দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

গ্রেফতার দুজন হল, সাইমন (২৭) ও আলী ইমাদ (২২)। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ওয়াকিটকি, মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার শিকার এসআই ইউসুফ আলী পতেঙ্গা থানায় কর্মরত আছেন। নৌ পুলিশ থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি পতেঙ্গা থানায় যোগ দেন বলে জানা গেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) মাহমুদা বেগম সোনিয়া বলেন, সৈকতে বসে কয়েকজন যুবক মাদক সেবন করছে বলে তথ্য আসে ট্রিপল নাইনে (৯৯৯)। সেখানে আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে ডিউটি করছিলেন এসআই ইউসুফ। ট্রিপল নাইনের তথ্যে তিনি এগিয়ে গেলে দুই যুবক প্রথমে তাকে ভূয়া পুলিশ বলে চেঁচামেচি শুরু করে।এরপর তারা নিজেদের আরও লোকজন সেখানে নিয়ে আসেন৷ তারা এসআই ইউসুফকে ঘিরে মব ভায়োলেন্সের মতো ঘটনা ঘটায়। এডিসি মাহমুদা জানান, ইউনিফর্ম পরা একজন পুলিশ সদস্য হেনস্থার শিকার হচ্ছেন দেখে সমুদ্র সৈকত এলাকার লোকজন সেখানে যান। তারা হেনস্থাকারীদের দুজনকে ধরে পিটুনি দেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে লকার থেকে স্বর্ণ গায়েব’র ঘটনায় স্বামীসহ গৃহকর্মী গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলাইশে একটি বাসা থেকে হারিয়ে যাওয়া চাবি দিয়ে লকারে থাকা প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েবের ঘটনায় স্বামীসহ ওই গৃহকর্মী ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে। এদিকে, তাদের গ্রেফতারের পর চুরি যাওয়া দশ ভরির মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার। এছাড়া, স্বর্ণ বিক্রির নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে নগরের কদমতলী রওশন মসজিদ গলি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, গৃহকর্মী জাহেদা বেগম (৩০) ও তাঁর স্বামী নুরুল আলম (৩২)। জাহেদা বেগম সুবর্ণা আবাসিক এলাকাস্থ সামারা ভবনের ৪র্থ তলার শাহানাজ বেগমের বাসায় কাজ করতেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, বাসার গৃহকর্মী ও তাঁর স্বামী মিলে হারিয়ে যাওয়া পুরোনো চাবি দিয়ে লকার থেকে স্বর্ণালংকার চুরি করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শাহানাজ বেগমের বাসা থেকে লকারের হারিয়ে যাওয়া একটি পুরোনো চাবি দিয়ে ১৫ লাখ টাকার ১২৩ গ্রাম স্বর্ণ চুরি করে গৃহকর্মী জাহেদা বেগম। চুরির কাজে তার স্বামী নুরুল আলম তাকে সহযোগিতা করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি স্বর্ণের গলার হারের ভাঙ্গা অংশ, ১ জোড়া স্বর্ণের কানের ঝুমকা, ১টি কালো ও নীল রংয়ের বেঙ্গলের নতুন ৭ ড্রয়ার বিশিষ্ট ওয়ারড্রপ, ১টি গাঢ় আকাশি ও বেগুনি রংয়ের টিনের কিচেন রেক, ১৫টি বিভিন্ন সাইজের এ্যালুমিনিয়ামের নতুন হাড়ি-পাতিল ও ঢাকনা, ৩ সেট নতুন থ্রি-পিস এবং স্বর্ণ বিক্রির নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ