আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের জামায়াতের ইফতার মাহফিল।

প্রেস রিলিজ

মানুষ হত্যা, জাতির সম্পদ লুটপাট করেও আ.লীগের মধ্যে কোন অনুভূতি নেই- এহসানুল মাহবুব জুবায়ের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আমাদের সমাজে শিক্ষিত, ইউনিভার্সিটি ডিগ্রীধারী, কোর্ট প্যান্ট টাই পড়া লোকের অভাব নেই। কিন্তু সমাজে তো দুর্নীতি হচ্ছে, নৈরাজ্য হচ্ছে এখনও হচ্ছে, গত ১৫ বছরেও হয়েছে। আওয়ামীলীগের শাসনামলে রাষ্ট্র তার শক্তি নিয়ে জনগণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শুধু ফ্যাসিবাদ কায়েম হয় নাই! প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন গাজা বিধ্বস্ত করেছে ইসরায়েল আর শেখ হাসিনা আর তার সরকার আমাদের সকল

প্রতিষ্ঠানগুলোকে তছনছ করে দিয়েছে। মানুষ হিং¯্র হলে কতটুকু হতে পারে? শুধু হিজাব আর টুপি দাঁড়ি, ইসলামের কথা মুখে বলেছে। কিন্তু তাদের সমস্ত কার্যক্রম ছিল আল্লাহ তার রাসূল এবং দ্বীনের বিরুদ্ধে। যারা অসংখ্য আলেমকে শহীদ করেছে, হত্যা করেছে, অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে, জাতির সম্পদ লুটপাট করেছে। এইগুলো নিয়ে এখনও তাদের মধ্যে সামান্যতম কোন অনুভূতি নেই। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) স্থানীয় একটি

কমিউনিটি সেন্টারে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
রমজানের তাৎপর্য নিয়ে তিনি বলেন, রমজান মাস শুধু তেলাওয়াতের জন্য নয়, হাফিজদের তেলাওয়াতের জন্য নয়, শুনার জন্য নয়, এটাকে সমাজে মানার জন্য। সমাজে কুরআনের শিক্ষা, আদর্শ, ম্যাসেজ, নির্দেশনা আমরা অনুসরণ করতাম তাহলে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে কোন ধরণের বৈষম্য থাকতো না। আজকে এই সমাজ খুনী সমাজে পরিণত হতো না। আল্লাহর ভয় ছাড়া কখনোও মানুষ আল্লাহর দেওয়া হক আদায় করতে পারেনা। আমরা চাইলে আল্লাহকে মানতে পারি আবার নাও মানতে পারি। মানুষ আল্লাহর হুকুমের বাইরে চলতে পারে। এই কারণে মানুষ আস্তিক হয়, নাস্তিক হয়। আল্লাহ মানুষকে এই স্বাধীনতা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু ও ভয়ঙ্কর এবং নিষ্ঠুর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, অবিশ^াস্য হত্যাকাÐ ঘটানো হয়েছে গত সাড়ে ১৫ বছরে। জুলাই বিপ্লবে যেটা হয়েছে সেটা অকল্পণীয়। শত শত মানুষের লাশ, হেলিকপ্টার থেকে গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড মারা, ¯œাইপার দিয়ে গুলি করা হয়েছে যা অকল্পনীয় দৃশ্য। এটা কি সম্ভব? দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকা, খাজনার টাকা, আপনার আমার দেওয়া টাকা দিয়ে পোষা বাহিনীকে খুনি বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। নির্মম নিষ্ঠুরভাবে সেই কাজটি করা হয়েছে। এই বিপ্লবে আহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের উপরে।

জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইয়ামীর আলীর পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ আব্দুল মান্নান, সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি ও মৌলভীবাজার-৪

আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট আব্দুর রব, জেলা আইনজীবি সমিতির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সহ-সেক্রেটারী মো: আলাউদ্দিন শাহ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও সদর উপজেলা আমীর মো: ফখরুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মৌলভীবাজারের ও হেফাজতে ইসলামের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সবুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সেক্রেটারি ডাঃ এবাদুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের জেলা সেক্রেটারী মো: তামিম হোসেন রুহিন, সহ সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হুসাইন আহমদ।

ইফতার মাহফিলে অর্থসহ কোরআন তেলাওয়াত জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও পৌর জামায়াতের আমীর আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম। ইফতার মাহফিলে অর্থসহ কোরআন তেলাওয়াত জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও পৌর জামায়াতের আমীর আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের দোয়া মাহফিল খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায়

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সিনিয়র সাংবাদিক এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, দেশের গণমাধ্যমের উন্নয়ন, সাংবাদিক সমাজের কল্যাণ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ চিরদিন স্মরণ করবে। বক্তারা ঐতিহাসিক অবদান স্মরণ করতে গিয়ে উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।

১৯৮০ সালে বায়েজিদের শেরশাহ এলাকায় সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি-তে ১৬ একর জমি বরাদ্দ দেন, যা ১৯৮১ সালে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার সরকারের আমলে তা রেজিস্ট্রি করা হয়। ১৯৯৪ সালে প্রেস ক্লাবের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় তৎকালীন মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছিলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রেস ক্লাবের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। আমি অতীতে তাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলাম, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। এখন আবারও অনুরোধ জানাই—বেগম খালেদা জিয়াকে প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হোক।

দোয়া মাহফিলে দেশ ও জাতির শান্তি, কল্যাণ ও স্থিতিশীলতার পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহ আনিস জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, প্রেস ক্লাবের সাবেক লাইব্রেরি সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা।মাহফিল শেষে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যেগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাইবার ভিত্তিক সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) চট্টগ্রাম দক্ষিণ উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনায় জিয়া সাইবার ফোর্স- (জেডসিএফ), চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যেগে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত। গত শনিবার বাদে মাগরিব পটিয়া তৈয়াবিয়া এতিমখানা, হেজখানা, খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক মোঃ আবুল বশর চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব এডভোকেট আজিজুল হক।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী বাহাউদ্দীন ফারুক মুন্না। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত চৌধুরী, কাজী মোঃ বাদশা, নাবিদুর রহমান, মোঃ রবিউল হোসেন আলভী, মোহাম্মদ মাহিম, তানবির জিহান সহ দক্ষিণ জেলার সকল নেত্ববৃন্দ। দোয়া ও মোনাজাতে মহান আল্লাহর দরবারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য রোগ থেকে পরিপূর্ণ সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেও দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ