আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের টানেলে বাৎসরিক ক্ষতি ১০০ কোটি টাকা- আবু সুফিয়ান।

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ কিভাবে জনগণের টাকা নয়-ছয় করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে মেগাপ্রকল্পগুলো তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চট্টগ্রামে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল করেছে যার বাৎসরিক ক্ষতি ১০০ কোটি টাকা। এই ক্ষতির দায় কে নিবে?

জনগণের টাকা নষ্ট করে এই ধরণের বিলাসী প্রকল্প কার স্বার্থে করা হয়েছে? বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দেশে এমন উন্নয়ন করেছে যার ফলে তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। উন্নয়নের নামে ঋণের টাকায় বড় বড় মেগা প্রকল্প করে মেগা দুর্নীতির মাধ্যমে তারা লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। লুটপাটের টাকায় দেশের বাইরে বেগমপাড়ায় বাড়ি করে তারা এখন বিলাসী জীবনযাপন করছে। আর জনগণের কাধেঁ চাপিয়ে দিয়ে গেছে ঋণের বোঝা। দেশ ও জনগণের কল্যাণে নয়,

শুধুমাত্র নিজেদের লুটপাটের স্বার্থেই এসব প্রকল্পগুলো নিয়েছিল দুর্নীতিবাজ হাসিনা সরকার। আমরা বলতে চাই, যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিল তাদের প্রত্যেকের বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতে হবে। আগামীতে দেশের জনগণ তাদের বিচার করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজের স্বার্থে, ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে, লুটপাটের স্বার্থে সব ধ্বংস করেছে। আর সেজন্য তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বলিষ্ট নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন করেছি।

আমাদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল বাংলাদেশ আজ স্বৈরাচার মুক্ত। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলে তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার চেষ্টা করছে। তাই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে, এদেশকে রক্ষা করতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণ যাকে সমর্থন করবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ০৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনায় চান্দগাঁও ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে এলাকাবাসীর মাঝে ‘ইফতার সামগ্রী বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইসহাক চৌধুরী, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, চান্দগাঁও থানা বিএনপি নেতা সালামত আলী, মহানগর যুবদলের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন, সাবেক মহানগর ছাত্রদল নেতা নওশাদ আল জাসেদুর রহমান। আহমেদ রিয়াদ উদ্দিন নিজাম এর সভাপতিত্বে ও বদিউল আলম সাইফুল এর

সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন,ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হাকিম, জয়, মো. খোকন, মো. আবছার, মো. আমজাদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ