আজঃ সোমবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ২৬ মার্চ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ শাহনওয়াজ।চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির অন্যতম সদস্য গ্লোবাল টেলিভিষনের ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম

প্রেসক্লাব শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ওয়াল্ড প্রেস কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক গ্রন্থাগার সম্পাদক ও বর্তমানশৃঙ্খলা ও ব্যবস্থপনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,দৈনিক আজাদীর সাবেক বার্তা সম্পাদক এ কেএম জহুরুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব সভাপতির বক্তব্যে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার ইতিহাসকে যতই বিকৃতি করুক নাকেন শহীদ জিয়াকে গণমানুষের হৃদয় থেকে মুছতে পারবে না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার জানাযায় চট্টগ্রাম ও ঢাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢলপ্রমাণ করে জিয়া কত জনপ্রিয় ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়েনের সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদসংস্থা (বাসস) চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ শাহনওয়াজ বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সূর্যসন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে নিয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়ে যে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছিল স্বাধীনতা যুদ্ধেরনায়কদের নিয়ে এ ধরনের নোংরামী রনজির পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাওয়াযা বেনা।তাদের এতহীন প্রচেষ্টার পরও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি।দেশে যার যেম তাদর্শথাকুকনা কেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অখন্ডতার সাথে কোন আপোষ করা যাবে না।

বীর মুক্তি যোদ্ধা মইনুদ্দিন কাদেরী শওকত বলেন, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে পেশা জীবিদের মধ্যে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। সাংবাদিক রাযূগপৎ ভাবে মুক্তি যুদ্ধের সময় সশস্ত্র ও কলম যুদ্ধ করেছেন। রণাঙ্গনে অনেক সাংবাদিক পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছেন। অনেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে আলোক উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল, নিউজ গাডেন সম্পাদক কামরুল হুদা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সদস্য সাংবাদিক ওয়াহিদ জামান, দৈনিক মানবকন্ঠের সাবেক ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ আলী, বিজনেস বাংলাদেশের ব্যুরো প্রধান জাহাঙ্গীর আলম, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর সিনিয়র রিপোর্টার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্টার নাসিরুদ্দীন রকি, দৈনিক পূর্বদেশের ক্যামেরা পার্সন জাহেদুল তালুকদার।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে নাম মাত্র ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ফার্মেসি, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ম-নীতি না মেনেই চলছে ওষুধের ব্যবসা। অধিকাংশ ওষুধের দোকানের নেই কোনো ড্রাগ লাইসেন্স। ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফার্মাসিস্টের স্থলে সাধারণ কর্মচারীরাই বিক্রি করছেন ওষুধ।ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না এসব ফার্মেসিতে। ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন এসব ফার্মেসিতে বিক্রি করা হচ্ছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। অনেকেই
এসব ফার্মেসির ওষুধ সেবন করে নানা ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়ছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রতিনিয়তে এসব ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভা ও কধুরখীল,পশ্চিম গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, আমুচিয়া, চরনদ্বীপ, শ্রীপুর-খরনদ্বীপ, আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, হাটা-বাজারে, আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে প্রায় দুই শতাধিক ফার্মেসি। এর মধ্যে অধিকাংশ ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স নেই। লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসিতে অদক্ষ বিক্রয় কর্মীরা ওষুধ বিক্রি করছেন।

স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন ফার্মেসিতে আর বিশেষজ্ঞ লোকের দরকার হয় না। ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা বলে দেন কোন ওষুধ কী কাজে লাগে- সেই অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি হয়। এ ছাড়া অনেক ওষুধের দোকানে নিম্নমানের ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা ওষুধ বিক্রি করে দেন। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ভালোমানের ওষুধের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি কমিশন নেওয়া হচ্ছে। এতে বেশি লাভের আশায় ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রিতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষও কোন ওষুধটি আসল ও কোনটি ভেজাল তা চিহ্নিত করতে অপারগ। এর ফলে এ ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বাণিজ্য দিন দিন জমজমাট হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অসচেতন রোগীদের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে উল্লিখিত ওষুধের একই গ্রুপের নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করার অভিযোগও রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাফরিন জেরিন জিতি বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে অবহিত করে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

একের পর এক ক্ষতিগ্রস্থ বিদেশ ফেরত যাত্রীরা ছিনতাইয়ের স্বর্গরাজ্য আট কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ে

চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ে ছিনতাইকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পতেঙ্গা ও লালখান বাজার ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে মাঝখানে কোথাও উঠার সুযোগ না থাকলেও একের পর এক ছিনতাই হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়েতে কয়দিন বিরতির পর পর ঘটছে ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনা। আর এসব ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে বিদেশ ফেরত যাত্রীরা। এদিকে পতেঙ্গা ও বন্দর থানা পুলিশ দিনে এবং রাতে দুই শিফটে ডিউটি করছে এক্সপ্রেসওয়ের উপর।কিন্তু ছিনতাইকারীদের দৌরত্ব থামছেনা।

এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ওসি কাজী মো. সুলতান আহসান উদ্দিন জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে দিনের বেলায় পতেঙ্গা ও রাতের বেলায় বন্দর থানার দুটি টহল দল পালাক্রমে ডিউটি করছে।পুলিশ সজাগ রয়েছে। অন্যদিকে ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ জানান, ফ্লাইওভারে উঠে ডিউটি করার আমাদের সুযোগ নেই। কারণ আমাদের উঠতে হলে পতেঙ্গা অথবা লালখান বাজারে যেতে হয়। তবে সম্প্রতি পতেঙ্গা ও বন্দর থানা পুলিশ ফ্লাইওভারে ডিউটি করে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে যেসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে- তার ১০টি যদি আপনি এনালাইসিস করেন- প্রায় সবগুলোই ঘটছে রাত ১০টার পর থেকে ভোরের মধ্যে। কারণ সেখানে আলোকায়ন, সিকিউরিটি ফোর্স, নজরদারির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। যারা অপরাধী তাদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাও হচ্ছে না।

তিনি বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন। পুলিশের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি মোটরসাইকেল পেট্রোলিং বাড়ানো যায়। যারা টোল আদায় করেন- তারাও প্রাইভেট সিকিউরিটি ফোর্স রাখতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা জরুরি- অপরাধীদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে নজর দিলে সেখানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে আসবে।
জানা গেছে, তিন বছর আবুধাবি থেকে দেশে আসে সুমন দাশ। নগরীর দেওয়ানবাজারের বাসিন্দা অমল দাস ছেলেকে আনতে যান চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে। দীর্ঘদিন কাছে পাওয়া ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা প্রবাসী সুমনের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। গত ৬ আগস্ট রাত নয়টায় নগরীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ওই রাতে পরিচিত একজন ট্যাক্সি চালক নিয়ে বিমানবন্দর থেকে সুমনকে আনতে গিয়েছিলেন তার বাবা। রাত আনুমানিক নয়টায় বিমান বন্দর থেকে বের হয়ে ট্যাক্সি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে। কিছুদূর চলার পর পেছন দিক থেকে আসা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস ট্যাক্সিকে ধাওয়া করে। ট্যাক্সিটি না থামলে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে থামায়। মাইক্রোবাস থেকে মুখোশ পরা ৮/৯ জন ছেলে নেমে প্রথমে ট্যাক্সির কাঁচ ভেঙ্গে দেয়। তারা অস্ত্রের মুখে সুমনকে জিম্মি করে নগদ ৫০ হাজার টাকা, পাসপোর্ট ও লাগেজ কেড়ে নেয়। পরে তারা সুমনকে স্বর্ণ দেয়ার জন্য চাপ দেয়। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ট্যাক্সি চালককে ছেড়ে দিয়ে সুমন ও তার বাবাকে মাইক্রোতে তুলে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সুমনের কাছ থেকে তারা নগদ টাকা, পাসপোর্ট, লাগেজ সবকিছু কেড়ে নিয়ে রাত ১২ টার সময় ছেড়ে দেয়। পরে সীতাকুণ্ড এলাকায় ডেকে নিয়ে সুমনকে তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়।

গত ২৭ অক্টোবর সকাল দশটায় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরেন ইমরান মুন্না। সোলেমান নামে এক আত্মীয় বিমানবন্দর থেকে মুন্নাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের বহনকরা সিএনজি ট্যাক্সি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাঠগড় বাজার অংশে পৌঁছালে তাদের গতিরোধ করা হয়। অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের অন্য একটি গাড়িতে তুলে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ঘণ্টাখানেক পর অক্সিজেন এলাকা থেকে অপহৃত মুন্নাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বায়েজিদ থানা থেকে সদ্য বদলিকৃত ইপিজেড থানার ওসি মো. মো. কামরুজ্জামান জানান, ঘটনার পর পর অক্সিজেন এলাকা থেকে সুমন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। প্রবাসীর খোয়া যাওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়েছিল। ঘটনার শিকার মুন্নাকে মামলা করার জন্য অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি মামলা করতে রাজি হননি।

এদিকে দুবাইয়ের চায়না মার্কেটের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হাটহাজারীর মেখলের বাসিন্দা শাহাব উদ্দিন রনি গত ১৪ জুলাই ভোরে তিনি শাহ আমানত বিমানবন্দরে নামেন। বড় ভাইকে আনতে বিমান বন্দরে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। তিনিও দুইমাস আগে বাইরাইন থেকে দেশে আসেন। সাহাব উদ্দিন জানান, বিমান বন্দর থেকে বের হয়ে সকাল সাড়ে আটটায় দুইভাই প্রাইভেটকারে হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ের টোল বক্স পার হয়ে আনুমানিক দ্ইু কিলোমিটার যেতেই একটি কালো মাইক্রোবাস তাদের প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে।

মাইক্রো থেকে সাত আটজন যুবক নেমে ছুরি দিয়ে প্রথমে গাড়ির চাকা ফাংচার করে দেয়। আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর বয়সী এসব যুবকদের হাতে হাতে ওয়াকিটকি ও অস্ত্র ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে ১০০ গ্রাম স্বর্ণের অলংকার, একটি স্যামসাং ট্যাব, একটি আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স, একটি স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রাসহ মোট পাঁচটি মুঠোফোন, ৫০০০ ইউএস ডলার, ৪৫০০ দিরহাম ও নগদ টাকা কেড়ে নেয়। এতে প্রায় ২৬ লাখ টাকার ক্ষতির শিকার হন তিনি। এ বিষয়ে প্রবাসী শাহাব উদ্দিন বলেন, তারা আমাদের দুই ভাইকে খুবই মারধর করেছে। নিরাপদ মনে করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমর ধারণা ভুল ছিল বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ