
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ডোরিয়াকোনা গ্রামের বাসিন্দা কবিরঞ্জন দাস ও তার পরিবার প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকারি রাস্তার পাশে অবস্থিত কয়েকটি পুরোনো গাছের দুর্বল ডাল তাদের মাথার ওপর যেন এক আতঙ্কের ছায়া হয়ে রয়েছে। একটু ঝড়-বৃষ্টি হলেই ভয়ে কেঁপে ওঠেন তারা—কখন না জানি গাছের ভারী ডাল ভেঙে ঘরের ওপর পড়ে, ঘটিয়ে দেয় ভয়াবহ দুর্ঘটনা!
এমন শঙ্কার মধ্যেই দিন কাটছে এই পরিবারের। তাই, জননিরাপত্তা ও নিজের পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কবিরঞ্জন দাস। এ বিষয়ে তিনি গত ১৯ মার্চ কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাতের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায়,কলমাকান্দা–দুর্গাপুর এলজিইডির পাকা সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি পুরোনো গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পড়ে থাকায় এসব গাছের ডালপালা দুর্বল হয়ে গেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক ঝড়-বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি ডাল ভেঙে পড়েছে, যা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারত।
ভুক্তভোগী কবিরঞ্জন দাস জানান, “আমার ঘরের ঠিক পাশেই ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো রয়েছে। গত কয়েকদিনের ঝড়ে বড় একটি ডাল ভেঙে পড়ে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটতে বসেছিল। তাই, আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি যেন দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ ডাল অপসারণ করা হয়।”

এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, “আবেদনটি পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. মমিনুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি এবং আবেদনকারীর দাবি সত্যতা পাওয়া গেছে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।”
এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি, শুধু কবিরঞ্জন দাসের বাড়ির পাশেই নয়, সড়কের আশপাশে থাকা সব ঝুঁকিপূর্ণ গাছ চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। তাদের মতে, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এখন অপেক্ষা দ্রুত প্রশাসনিক উদ্যোগের, যাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটার আগেই সমস্যা সমাধান হয় এবং কবিরঞ্জন দাস ও তার পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন।