আজঃ শুক্রবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

শ্রুতিলেখক নেই, কিছুই লিখতে পারেননি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাত শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

শ্রুতিলেখক না পাওয়ায় চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় বসেও কিছুই লিখতে পারেননি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাত শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথমদিনে নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছিলেন তারা। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাত পরীক্ষার্থী চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগ এলাকার রহমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, শ্রুতিলেখক নিয়োগের নীতিমালা হচ্ছে, তাকে সর্বোচ্চ অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া হতে হবে এবং বয়স ১৮ বছরের নিচে হতে হবে। কিন্তু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা যাদের শ্রুতিলেখক হিসেবে ঠিক করেছিলেন, তাদের সবাই এসএসসি কিংবা এর ওপরের শ্রেণির শিক্ষার্থী। যে কারণে পরীক্ষার আগে বিদ্যালয় থেকে তাদের এসব শ্রুতিলেখককে অনুমতি না দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে একেবারে পরীক্ষার আগে এ সিদ্ধান্ত জানানোর কারণে নতুন শ্রুতিলেখক ঠিক করতে পারেননি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা।

পরীক্ষার্থী যমজ দুই ভাই-বোন রূপসা খানম ও মো. মারুফের অভিভাবক মো. জসিম বলেন, শ্রুতিলেখক অষ্টম শ্রেণি কিংবা এর নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থী হতে হবে, এটা আমাদের জানা ছিল না। আমার ওয়াইফ এবং বড় ছেলে স্কুলে নিয়মিত যায়। তাদের আগেভাগে কিছু বলা হয়নি। শেষমুহুর্তে এসে নিয়মের কথা বলে আমাদের বিপদে ফেলে দেয়া হয়েছে।

হাবিবুল হক নামে এক পরীক্ষার্থীর মা শারমিন আক্তার বলেন, আমাদের নীতিমালার কথা আগে বলা হয়নি। এজন্য অষ্টম শ্রেণির ওপরের শিক্ষার্থীকে শ্রুতিলেখক হিসেবে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু গত সোমবার স্কুল থেকে বলা হয়েছে তারা পারবে না। শ্রুতিলেখক হতে পারবে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। অথচ আগে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও শ্রুতিলেখক হিসেবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে বারবার অনুরোধ করেছি। শিক্ষাবোর্ডেও গিয়ে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কেউ আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কিছুসময় বসে থেকে কিছু লিখতে না পেরে একপর্যায়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাত পরীক্ষার্থী কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। পরে অভিভাবকরা তাদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, শ্রুতিলেখক হিসেবে যাদের নেওয়া হয়েছিল, তাদের জন্য বোর্ডের অনুমতি ছিল না। শ্রুতিলেখকদের কেউ কেউ ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র ছিল। নীতিমালার বাইরে তো আমরা বিষয়টি অনুমোদন করতে পারি না। এছাড়া অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নের ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা ছিল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চৌদ্দগ্রামে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪দিনব্যাপি বইমেলার উদ্ভোধন।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ৪দিন ব্যাপি ভ্রাম্যমান বইমেলার শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও ফিতা কেটে মেলার শুভ উদ্ভেধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমা।

বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের ইউনিট ইনচার্জ দেবজ্যোতি মন্ডলের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মীর হোসেন, চৌদ্দগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক বেলাল হোসাইন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিছুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক শাহিন আলম, বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক মনিরুজ্জামান, বিক্রয় কর্মকর্তা আবুল কাশেম বাবুল।

ভ্রাম্যমান বইমেলাটি আগামী ২৬শে এপ্রিল পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চলমান থাকবে। এই সময়ে ভ্রাম্যমান বইমেলা থেকে পছন্দের বই ক্রয়, বইপড়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান থাকবে। মেলা কমিটি আরও জানায়, আগামী ২৬শে এপ্রিল সমাপনী দিনে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে।

টেলিপ্যাবের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন নন্দিত নির্মাতা মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ।

টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- টেলিপ্যাব’র আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সংগঠনটি বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট নির্মাতা শিল্পোদ্যোক্তা ও পর্যটক মীর ফখরুদ্দিন ছোটন । দেশের শিল্প সংস্কৃতির নিবেদিতপ্রাণ ব্যতিক্রমী এই নির্মাতা বিগত দিনের সাংগঠনিক অবদানকে যথোপযুক্ত মূল্যায়ন করবার জন্য টেলিপ্যাবের সকল ভোটারের দোয়া ও অকুণ্ঠ সমর্থন কামনা করেছেন । সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে নির্বাচিত আর্কাইভ সম্পাদক হিসেবেও টেলিপ্যাবের উন্নয়নে সুনামের সাথে কাজ করেছেন প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ।

পলিমাটির জনপদ দ্বীপজেলা ভোলার গুণীসন্তান মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ভোলা জেলা জাসাসের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন ।নতুনত্বের আলোকসন্ধানী সৃষ্টি সুখের উল্লাসে উজ্জীবিত পরিশীলিত নির্মাতা ফখরুদ্দিন ছোটন জানান-‘আমি বরাবরই দেশের বাইরে নাটকের শুটিং করতে পছন্দ করি। এ জন্য অনেকেই আমাকে বিদেশি প্রযোজক বলে থাকেন। লোকেশনের ভিন্নতা আনতেই মূলত এই কাজটি আমি করে থাকি। কারণ এই উত্তরা আর পূবাইলের কিছু লোকেশন দেখতে দেখতে দর্শকরা বিরক্ত হন। সেই জায়গা থেকে আমার এই ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা শুরু থেকেই চলমান রয়েছে। তাছাড়া আমি চাই আমার নাটকে অনেক জনপ্রিয় স্টার থাকবে, গ্লামার থাকবে। যদিও আমি নতুনদের সুযোগ দিয়ে থাকি।’

দেশের বাইরে নিজের প্রযোজিত নাটকের শুটিং করার কারণ প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন প্রযোজক ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মীর ফখরুদ্দীন ছোটন। নিজের প্রযোজিত নাটক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রতিটি নাটকেই কোনো না কোনো বার্তা দিয়ে থাকি। পাশাপাশি চেষ্টা করি নতুন নাট্যকার, অভিনেতা-অভিনেত্রীর সুযোগ দেওয়ার। কারণ নতুনদের সুযোগ না দিলে দর্শকরা একই মুখ দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। তবে অনেক চ্যানেল ঈদের সময়গুলোতে বলে দেয় গুটিকতক শিল্পীকে নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু আমি এই চর্চার পক্ষে নই| নতুন, পুরনো সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। চরিত্রের প্রয়োজনে যাকে দরকার তাকে নিতে হবে। এতে কাজেও ভিন্নতা আসবে, নতুন শিল্পী তৈরি হবে।’

নিয়মিত কাজের পাশাপাশি ঈদের সময়গুলোতে প্রযোজক-নির্মাতা-শিল্পীদের কাজের পরিধি বাড়ে কয়েকগুণ। সেই জায়গা থেকে নিজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘আমার প্রযোজিত গুটিবাজি ধারাবাহিকটি প্রচারিত হচ্ছে। পাশাপাশি উগান্ড ফোর, টাকা কোনো সমস্যা না ধারাবাহিক দুটির কাজ চলছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে সম্প্রতি একটি একক নাটকের কাজ দেশের বাইরে শেষ করলাম। এতে আমি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছি। এর বাইরে আরও বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং সামনে শুরু করব।’

নিয়মিত প্রযোজনার বাইরে টেলিপ্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ববান নেতা মীর ফখরুদ্দিন ছোটন, সংগঠনটির কার্যক্রম নিয়ে আরও বলেন, ‘টেলিপ্যাবের সদস্য হওয়া ছাড়া যেন কেউ নাটক নির্মাণ করতে না পারেন এবং সংগঠনের সব প্রযোজক যাতে কাজ পান সেই চেষ্টা করব । টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে আমাদের বকেয়া পাওনা নিয়েও কাজ করছি। এছাড়াও সংগঠনের স্বার্থে সামনে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছি । ইনশাআল্লাহ সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হতে পারলে পরিকল্পনাগুলোকে ঢেলে সাজাবো ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ