আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে সবজির বাজার অস্থির কমেছে মাংসের দাম।

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের ছুটির পর চৈত্র সংক্রান্তির পাঁচনকে ঘিরে হরেক রকমের সবজিতে ভরপুর বাজার। তবে হাতে গোনা কিছু সবজির দাম কমলেও বেশির ভাগই বাড়তির দিকে। গেল রমজানজুড়ে নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে সবজির দাম হাতের নাগালে থাকলেও ঈদের পর বদলে গেছে সেই চিত্র। ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রায় সবজি। এগুলোর মধ্যে আবার ঝিঙে, সজনে ও কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। বিশেষ করে কাঁচাবাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে সবজির দাম কিছুটা চড়া। তবে কমেছে সব ধরনের
মাংসের দাম। এছাড়া মুদিপণ্য ও মাছের দাম অপরিবর্তিত আছে। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগপণ্যের দরের এ চিত্র পাওয়া গেছে।ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হলেও বাজারে এখনও ক্রেতার আনাগোণা কম দেখা গেছে। তবে দোকানপাট সব খোলা আছে। পণ্যের সরবরাহও স্বাভাবিক দেখা গেছে।

বাজারে খুচরা পর্যায়ে বেগুন, ঢেঁড়স, পটল প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, করলা ৯০-১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা-ধুন্দল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁয়াজকলি ৩০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তবে আড়তে এসব সবজির দাম প্রতিকেজি ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কম আছে বলে আড়তদারেরা জানিয়েছেন।

এছাড়া খুচরা পর্যায়ে লেবু আকারভেদে ১২০ থেকে ২২০ টাকা, শসা প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। লাল শাক, লাউ শাক, কলমি শাকসহ বিভিন্ন ধরনের শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখনও শীতকালীন সবজি মিলছে প্রচুর পরিমাণে। বাঁধাকপি-ফুলকপির দাম প্রতিকেজি ৩০ টাকার মধ্যে দেখা গেছে।
রেয়াজউদ্দিন বাজারের এক আড়তদার বলেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি। এর মধ্যে ঈদুল ফিতরের বন্ধ গেছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সপ্তাহ দু’য়েক পর দাম আরও কমতে পারে।

ঈদুল ফিতরের আগমুহুর্তে বাজারে চড়া হয়ে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের মাংসের দাম কমে আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে অন্তঃত ৫০ টাকা কমে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকায়। কক মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেছে অন্তঃত ৪০ টাকা। দেশি মুরগি ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেছে অন্তঃত ১৫০ টাকা।

এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা, সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
মাছের মধ্যে আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ মাছ ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা, রুই মাছ ৩৬০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বেলে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০, কালিবাউশ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাঁচকি ৬০০ টাকা, কৈ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, সরপুঁটি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রূপচাঁদা ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

পেঁয়াজের দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে আছে। মান ও আকারভেদে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। এর মধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজ ৪০ টাকা এবং বড় আকারের পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

প্রতি কেজি সাদা আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা, লাল আলু ৩০ টাকায়। নতুন বগুড়ার আলু ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নতুন দেশি রসুন ১২০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হয়েছে।

মুদিপণ্যের মধ্যে ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১২০ টাকা, মাষকলাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকায়

বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৯০ টাকায়।
তবে চালের দর আগের মতোই আছে। বাজারে ২৫ কেজির বস্তা নাজিরশাইল সিদ্ধ (মজুমদার ব্র্যান্ড) ২২০০ টাকা, ভারতীয় নাজিরশাইল (হোয়াইট গোল্ড) ২০৫০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ৫০ কেজির বস্তা ৪২০০ থেকে ৪২৫০ টাকা, ২৫ কেজির বস্তা কাটারিভোগ আতপ ২১৫০ থেকে ২৩০০ টাকা এবং সাধারণ মানের পাইজাম আতপ ১৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাটারিভোগ সিদ্ধ ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ