আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বৈশাখী উৎসব সম্পন্ন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং জাঁকজমক আয়োজনের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হলো চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বৈশাখী উৎসব। সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাঙালির এক ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে দীর্ঘদিন ধরে আমরা লালন করছি, ধারণ করছি আমাদের হৃদয়ে।

অনুষ্ঠানের ফাঁকে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলার সংস্কৃতি যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে এর ইতিবাচক দিকসমূহ সকলের কাছে তুলে ধরতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে পরিণত করতে হবে। এই শহর আমার আপনার সকলের। চট্টগ্রাম নগরীকে বাসযোগ্য এবং সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে গণমাধ্যম কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। নগরীর উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমানসহ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে চট্টগ্রামে কর্মরত সকল গণমাধ্যম কর্মীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তাঁরা বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাইবিপ্লব পরবর্তী সময়ে একটি বৈষম্যহীন সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যমকর্র্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আমরা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সকলের অংশগ্রহণে স্বতস্ফূর্তভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারছি। এটা আনন্দের। তিনি কষ্ট করে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সকলের জন্য উন্মুক্ত। সকল সদস্যকে স্বতস্ফূর্তভাবে সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান। উপস্থিত অতিথি এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সম্প্রীতির দেশ। এখানে বাঙালির সংস্কৃতিকে লালন করা হয়।

বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম এবং গোলাম মাওলা মুরাদ, ওয়াহিদ জামান, আবু মোশাররফ রাসেল, হাসান মুকুল, মোহাম্মদ আলী, এ কে এম জহুরুল ইসলাম, মুহাম্মদ আজাদ, শান্তনু বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম ।

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নাজিমউদ্দিন, বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. খুরশীদ জামিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, রোটারিয়ান জসীম উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল শিকদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রেস ক্লাবের সদস্য শাহনেওয়াজ রিটন। সঞ্চালনা করেন সোহাগ কুমার বিশ্বাস ও ফারুক মুনির।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা করিম, মিরাক্কেল তারকা আরমান, ফাহমিদা ইয়াসমিন, প্রিয়াংকা, অপূর্ব বড়ুয়া, অনামিকা’সহ ডজন খানেক সংগীত শিল্পী। আবৃত্তি শিল্পী মোস্তাক খন্দকার আবৃত্তি পরিবেশন করেন। মুকাভিনয় করেন কর্ণফুলী থিয়েটার। বৃন্দাবৃত্তি পরিবেশন করেন শব্দচারী আবৃত্তি অঙ্গন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

টেলিপ্যাবের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন নন্দিত নির্মাতা মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ।

টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- টেলিপ্যাব’র আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সংগঠনটি বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট নির্মাতা শিল্পোদ্যোক্তা ও পর্যটক মীর ফখরুদ্দিন ছোটন । দেশের শিল্প সংস্কৃতির নিবেদিতপ্রাণ ব্যতিক্রমী এই নির্মাতা বিগত দিনের সাংগঠনিক অবদানকে যথোপযুক্ত মূল্যায়ন করবার জন্য টেলিপ্যাবের সকল ভোটারের দোয়া ও অকুণ্ঠ সমর্থন কামনা করেছেন । সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে নির্বাচিত আর্কাইভ সম্পাদক হিসেবেও টেলিপ্যাবের উন্নয়নে সুনামের সাথে কাজ করেছেন প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ।

পলিমাটির জনপদ দ্বীপজেলা ভোলার গুণীসন্তান মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ভোলা জেলা জাসাসের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন ।নতুনত্বের আলোকসন্ধানী সৃষ্টি সুখের উল্লাসে উজ্জীবিত পরিশীলিত নির্মাতা ফখরুদ্দিন ছোটন জানান-‘আমি বরাবরই দেশের বাইরে নাটকের শুটিং করতে পছন্দ করি। এ জন্য অনেকেই আমাকে বিদেশি প্রযোজক বলে থাকেন। লোকেশনের ভিন্নতা আনতেই মূলত এই কাজটি আমি করে থাকি। কারণ এই উত্তরা আর পূবাইলের কিছু লোকেশন দেখতে দেখতে দর্শকরা বিরক্ত হন। সেই জায়গা থেকে আমার এই ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা শুরু থেকেই চলমান রয়েছে। তাছাড়া আমি চাই আমার নাটকে অনেক জনপ্রিয় স্টার থাকবে, গ্লামার থাকবে। যদিও আমি নতুনদের সুযোগ দিয়ে থাকি।’

দেশের বাইরে নিজের প্রযোজিত নাটকের শুটিং করার কারণ প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন প্রযোজক ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মীর ফখরুদ্দীন ছোটন। নিজের প্রযোজিত নাটক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রতিটি নাটকেই কোনো না কোনো বার্তা দিয়ে থাকি। পাশাপাশি চেষ্টা করি নতুন নাট্যকার, অভিনেতা-অভিনেত্রীর সুযোগ দেওয়ার। কারণ নতুনদের সুযোগ না দিলে দর্শকরা একই মুখ দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। তবে অনেক চ্যানেল ঈদের সময়গুলোতে বলে দেয় গুটিকতক শিল্পীকে নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু আমি এই চর্চার পক্ষে নই| নতুন, পুরনো সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। চরিত্রের প্রয়োজনে যাকে দরকার তাকে নিতে হবে। এতে কাজেও ভিন্নতা আসবে, নতুন শিল্পী তৈরি হবে।’

নিয়মিত কাজের পাশাপাশি ঈদের সময়গুলোতে প্রযোজক-নির্মাতা-শিল্পীদের কাজের পরিধি বাড়ে কয়েকগুণ। সেই জায়গা থেকে নিজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘আমার প্রযোজিত গুটিবাজি ধারাবাহিকটি প্রচারিত হচ্ছে। পাশাপাশি উগান্ড ফোর, টাকা কোনো সমস্যা না ধারাবাহিক দুটির কাজ চলছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে সম্প্রতি একটি একক নাটকের কাজ দেশের বাইরে শেষ করলাম। এতে আমি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছি। এর বাইরে আরও বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং সামনে শুরু করব।’

নিয়মিত প্রযোজনার বাইরে টেলিপ্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ববান নেতা মীর ফখরুদ্দিন ছোটন, সংগঠনটির কার্যক্রম নিয়ে আরও বলেন, ‘টেলিপ্যাবের সদস্য হওয়া ছাড়া যেন কেউ নাটক নির্মাণ করতে না পারেন এবং সংগঠনের সব প্রযোজক যাতে কাজ পান সেই চেষ্টা করব । টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে আমাদের বকেয়া পাওনা নিয়েও কাজ করছি। এছাড়াও সংগঠনের স্বার্থে সামনে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছি । ইনশাআল্লাহ সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হতে পারলে পরিকল্পনাগুলোকে ঢেলে সাজাবো ।

চট্টগ্রামে নিয়োগে অনিয়ম, জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুদকের হানা।

চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নকল-নবিশ নিয়োগে অনিয়ম, বিভিন্ন কাজে ঘুষ দাবি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পরিচালিত অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তারা অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন। বুধবার দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাইয়েদ আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান শেষে সাইয়েদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এখানে জেলা রেজিস্ট্রার আগে যিনি ছিলেন মিশন চাকমা ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এবং জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ ছিল ওখানে অফিস সহকারী এবং প্রধান সহকারী তারা হোতা ছিল এখানে টাকা-পয়সা তারা কালেকশন করে। এছাড়া চাকরির পদোন্নতি নিয়ে অভিযোগ ছিল। সন্দ্বীপে কিছু নকল-নবিশের নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ছিল। সবগুলো আমরা রেকর্ডপত্র চেয়েছি এবং পেয়েছি।

নকল-নবিশ নিয়োগে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেক আগে থেকেই নকল-নবিশ নিয়োগ বন্ধ ছিল। তারপরও আইজিআরের পারমিশন ছাড়া এখানে নকল-নবিশের নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আইজিআর একটি শোকজ করা হয় এবং সাময়িকভাবে নিয়োগটি বাতিলও করা হয়। আমরা জিনিসটা দেখবো এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিনা। আর্থিক অনিয়ম ঘটেছে

অবশ্যই। এখানকার কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তাদের আমরা ব্যক্তিগত নথি তলব করেছি। তাদের নামে কোনো ধরনের সম্পদ আছে কি-না, সেটাও দুদক খতিয়ে দেখবে। আমরা বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর জমা দেব। আর আরও কিছু রেকর্ডপত্র আমরা সংগ্রহ করবো। স্বন্দ্বীপে ১৯ জন নকল-নবিশ নিয়োগ দেওয়া হয়। সেটা নিয়ম অনুযায়ী হয়নি যতটুকু আমরা চিঠিতে দেখেছি। বাকি অভিযোগগুলোর বিষয়ে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দেব।

নামজারির জন্য ঘুষ দাবি করা হয় বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আছে, আমরাও শুনেছি। আমরা যখন সরেজমিনে আসি তখন সবাই অ্যালার্ট হয়ে যায়। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মানুষের ভেতরে সচেওতনতা তোইরির চেষ্টা করছি। যেন ঘুষ চাইলেই না দেয়। আমরা ক্যাশ ড্রয়ার তল্লাশি করেছি। সেরকম টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি। কিছু ডকুমেন্টস পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো।

জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে দালালদের আধিপত্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আজকে এসে এ পর্যন্ত দালালদের দেখিনি। আমরা নিজেরাই দেখলাম সবকিছু। তারপরও দালাল পাওয়া গেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ