আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভারতীয় মদসহ তরুণী আটক।

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোনা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ভারতীয় মদের বোতলসহ এক তরুণীকে আটক করেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা থানা পুলিশ। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী ফারজানা খাতুন ঝুমা (২১)। তিনি নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলার কেরনখলা গ্রামের রজব আলী মেয়ে। জব্দকৃত মাদকের বাজার মূল্য আনুমানিক ১৮ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম জানান, পাঁচ বোতল আইস ব্র্যান্ডের ও দুই বোতল অন্য ব্র্যান্ডের মদসহ সাত বোতল ভারতীয় মদসহ তরুণীকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এরআগে গত বুধবার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্বধলার জারিয়া ইউনিয়নের গোজাখালী কান্দা বাজার এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী ওই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিতোষ ও সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাজাহান কবিরসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যসহ শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের গোজাখালী কান্দা বাজারে চেক পোস্ট স্থাপন এবং সন্দেহজনক একটি যাত্রীবাহী অ্টো রিকশা (সিএনজি) থামানো হয়। তল্লাশীকালে পাঁচ বোতল আইস ব্র্যান্ডসহ সাত বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়। এসব মাদক সাথে থাকার দায়ে ফারজানা খাতুন ঝুমা নামে এক মাদক ব্যবসায়ী তরুণীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

পূর্বধলা থানার ওসি জানান, মাদক ব্যবসায়ী ফারজানা খাতুন ঝুমা দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর সীমান্ত এলাকা থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় মাদক সংগ্রহ এবং এসব মাদক দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ ও কেনাবেচার সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এরই মধ্যে গ্রেফতারকৃত তরুণীকে মাদক মামলায় জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।জিরো টলারেন্স নীতির আলো’কে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান থানার ওসি মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ