আজঃ শুক্রবার ১৩ জুন, ২০২৫

র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার মৃত্যু নিয়ে স্ত্রী,র কিছু কথা।

নিজস্ব প্রতিবেদক

আত্মহননের পর র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ফরিদপুরে পলাশের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা বলছেন – শাশুড়ি তাকে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করতে দেয়নি। ছেলেকে ছোট বাচ্চার মতো নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেন।
গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে সুস্মিতা বলেন – ‘ওর (পলাশ) আমার হাতের রান্না ভাল খাইত এজন্য আমার শাশুড়ি একপর্যায়ে আমার রান্নাই বন্ধ করে দিল। আমার শাশুড়ির ইথিক্স ছিল, ছেলে বিয়ে করবে বউ তাড়াতাড়ি বাচ্চা হয়ে যাবে। বউ সংসার আর বাচ্চা নিয়ে থাকবে, আর সে তার ছেলেকে নিয়ে থাকবে। আমার শাশুড়ি আমার স্বামীর যে ৩৫ বছর বয়স হলো ওকে নিজ হাতে খাইয়ে দিত।

যেদিন পলাশ গেল,ওইদিন সকালেও ওর মা ওকে খাইয়ে দিছে আড়াইটা বছর ধরে আমিও দেখতেসি যে, একটা বাচ্চা ছেলেকে যেভাবে তার মা প্যামপার করে ঠিক ওভাবে,প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ও কি পোশাক পরবে, ও কি পোশাক কিনবে, ও কোনটা পরে অফিসে যাবে না যাবে, ও কখন কি খাবে না খাবে, কখন ঘুমাবে, কখন ঘুম থেকে উঠবে, সবটা ওর মা নিয়ন্ত্রণ করত।
আর আমার স্বামী সেটা মেনে নিত। তো আমার একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে হল, এটা তো খুব প্রক্সি।

এক পর্যায়ে আমি আইডিন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছিলাম যে, আমি তো ওর বউ। কিন্তু আমার অস্তিত খুঁজে পাচ্ছিলাম না ওদের মাঝখানে। তারা মা-ছেলে দুজনে কথা বলত, আমি যখন ওদের মাঝে যেতাম তখন থেমে যেত। এটা কেমন ব্যবহার?’তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নির্লোভী ছিল। ও সৎ ছিল। ও আমাকে পছন্দ করে বিয়ে করসে। কিন্তু ও অনেক বেশি মাতৃভক্ত ছিল।

আমি সেটাকে অ্যাপ্রিসিয়েটও করতাম। কারণ আমিও তো একদিন মা হব। আমার সন্তানও তাহলে বাবার মত হবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন দেখলাম আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমি খুব আদর যত্ন করতাম ওকে, ওর মাকে। কিন্তু ওরা না আমাকে বুঝত না। আমার স্বামী আমাকে প্রচুর ভালবাসত। কিন্তু ওই যে একটা বয়সের গ্যাপ, ওই জন্য ও আমাকে বুঝত না।’তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের ৬-৭ মাস পর থেকে আমি বলা শুরু করি যে, কী, কোনো সমস্যা বা তোমার মেন্টালিটি এমন কেন?

তোমারই তো বউ আমি। তুমি পছন্দ করে আনসো, আমি যেহেতু আসি নাই। তাহলে তোমার কি কখনও ইচ্ছে করে না যে বউকে নিয়ে একটু থাকি বা বউকে একটু আলাদা করে সময় দেই। ও বলত যে না, বউকে আলাদা করে টাইম দেওয়ার কি আছে? মা আছে, আমি আছি, তুমি আছ- যা করব একসাথে করব। বউকে তো রাতে ভালবাসা যাবে, রাতে তো একসাথে ঘুমাই, তখনই ভালোবাসব। আমি বলতাম, বউকে মানুষ শুধু রাতে ঘুমানোর জন্য ভালবাসার জন্য বিয়ে করে? বড় কোনো শখ, আহ্লাদ কিচ্ছু থাকে না?’

এর আগে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় র‌্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা ‘আত্মহত্যা’ করেন। চট্টগ্রাম নগরীর র‌্যাব- ৭ এর নগরের বহদ্দারহাট ক্যাম্পে নিজ অফিস কক্ষে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। পলাশ সাহার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। পারিবারিক কলহের জেরে পলাশ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তার সুইসাইড নোটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহীতে আজীবন বহিষ্কার ২ বি, এন, পি নেতা।

রাজশাহীতে দলীয় শৃংখলা ভংগের কারণে, ২ বি,এন পি, নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে ।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে রাজশাহীতে বিএনপির দুই নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।বুধবার (১১ জুন) জেলা বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম এবং উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। 

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু সাইদ (চাঁদ), সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (মার্শাল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন। 

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, আনোয়ারুল ইসলাম একজন প্রধান শিক্ষককে স্কুলে যেতে দিচ্ছেন না। এ জন্য শোকজ করেছিলাম। তিনি জবাব দিলেও সেটি গ্রহণযোগ্য না। তাই তাকে বহিষ্কার করা হলো। এছাড়া রফিকুল ইসলাম দুই সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা করেছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তাই তাকেও বহিষ্কার করা হলো।

রাজশাহী বিভাগে সবচেয়ে বেশী কোরবানি হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগে সবচাইতে বেশী কোরবানি হয়েছে ।ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে বিপুলসংখ্যক গবাদিপশু কোরবানি করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সরকারি হিসাব বলছে, এ বছর সারাদেশে কোরবানি দেওয়া হয়েছে ৯১ লাখেরও বেশি পশু।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৫ সালের ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়া হয়েছে মোট ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু। এর মধ্যে গরু ও মহিষ মিলিয়ে কোরবানি হয়েছে ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি, ছাগল ও ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি, আর অন্যান্য পশু ছিল ৯৬০টি।

প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর জানায়, স্তরায়িত দৈব নমুনা পদ্ধতির (স্ট্র্যাটিফায়েড র‍্যান্ডম স্যাম্পলিং) মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এ হিসাব তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার একটি ছোট, একটি মাঝারি এবং একটি বড় গ্রাম থেকে কমপক্ষে এক শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করা ।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার সর্বাধিক পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। মোট কোরবানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১টি। এরপর রয়েছে ঢাকা বিভাগ, যেখানে কোরবানি হয়েছে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি পশু। চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি গবাদিপশু।

অন্যদিকে, সবচেয়ে কম কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে- সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩টি। এরপর ময়মনসিংহ বিভাগে, যেখানে কোরবানি হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি পশু।বাকি বিভাগের কোরবানির সংখ্যা:রংপুর: ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি খুলনা: ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪টি বরিশাল: ৪ লাখ ৭৮৩টি

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর প্রায় ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি গবাদিপশু অবিক্রীত থেকে গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর পশু উৎপাদন তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এই পশুগুলো আগামীতে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার, পারিবারিক অনুষ্ঠান বা অন্য প্রয়োজনে কাজে লাগবে। হয়তো আগামী বছর আরও বেশী পশু কোরবানি হতে পারে ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ