আজঃ সোমবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোনায় পাহাড় না কেটেই রাস্তায় উন্নয়ন।

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোনা।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের একটি পুরোনো পাহাড়ি পথকে চলাচলযোগ্য করতে গিয়ে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি, কাটা হয়নি গাছও। সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলো সরিয়েই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী সুবেন ঘাঘড়ার টিলা থেকে চৈতানগর মহসিন মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ কয়েক দশক ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এবং পর্যটকদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্ষায় কাঁদায় মাখা পিচ্ছিল এই পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে স্থানীয় প্রশাসন কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সমতলকরণ ও মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে।

লেংঙ্গুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “এটি বহু পুরোনো চলাচলের রাস্তা। এখানে কোনো নতুন পাহাড় কাটা হয়নি। ঝড়ে ভেঙে পড়া কিছু গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে সংস্কারকাজ চলছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের চাওয়া ছিল এই পথটি উন্নয়ন করার—এখন সেটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে।”

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা পুরোনো এই পথে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে। আশপাশে পাহাড় কাটা বা গাছ কাটার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, এটি পুরোনো পথ, নতুন করে কিছুই ধ্বংস করা হয়নি।

এই পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন নব্বই বছরের ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর সদস্য সুবেন মানখিন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাবা-দাদার সঙ্গে চলাফেরা করেছি। অনেক কষ্ট করে চলতে হতো। এখন রাস্তা সংস্কার হওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

স্থানীয়রা—তপন সাংমা, চুহিন হাজং, জুই ঘ্রা, পীযূষ বণিক ও রফিকুল ইসলাম—সবাই বলেন, “এটি পুরোনো রাস্তা, নতুন করে কিছুই কাটা হয়নি। বরং আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য যেই পথে আমরা আগে চলতাম, সেটাই উন্নয়ন করা হচ্ছে। এজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে তারা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে লেংঙ্গুরা বনবিভাগের বিট অফিসে কর্মরত বনরক্ষী আখতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, “এই রাস্তা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। পুরোনো রাস্তাটিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি।”

স্থানীয়দের অভিমত, উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগণের স্বার্থ—উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই প্রকল্পে সেই ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে বলে তারা মত দিয়েছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাউজানে সরকারি রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম গুজরা এলাকায় সরকারি রাস্তার ওপর অনুমোদনবিহীন নকশায় বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, জাল কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণ করে স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় জনসাধারণ ভবনটি ভেঙে রাস্তা উন্মুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাফর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাউজানের নোয়াপাড়া পশ্চিম গুজরার আহমদুর রহমানের বাড়ির আলাউদ্দিনের পুত্র নুরুল ইসলাম ও তার পুত্ররা— মো. জাহেদুল ইসলাম, মো. শাহেদুল ইসলাম, নিজামুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম— যৌথভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি রাস্তা বন্দোবস্তে নিয়ে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে আসছেন।

তবে সরকারি নথি অনুযায়ী, উক্ত জায়গাটি পশ্চিম গুজরা এলাকার মৃত আছদ আলীর পুত্র হাজী আকাম উদ্দিন বন্দোবস্ত মামলা মূলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বৈধভাবে বন্দোবস্তে নিয়েছিলেন। এটি মূলত সরকার ঘোষিত জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা হওয়ায় তিনি জীবদ্দশায় রাস্তা দখল না করে সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রেখেছিলেন।

১৯৯৭ সালের ২ মার্চ আকাম উদ্দিন নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে জায়গাটির কোনো ওয়ারিশ না থাকায় তা স্থানীয় জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত সরকারি রাস্তা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

অভিযোগ রয়েছে, দুই বছর আগে নুরুল ইসলাম নিজেকে মৃত আকাম উদ্দিনের পালকপুত্র দাবি করে উক্ত জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। স্থানীয়রা রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নির্মাণ বন্ধের অনুরোধ করলেও তিনি তা অগ্রাহ্য করে জোরপূর্বক দুই তলা ভবন নির্মাণ করেন এবং এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় মো. জাফর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (উত্তর), চট্টগ্রামে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৭ ধারায় মামলা (নং-৭২/২০২৫, রাউজান) দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী এস.এম. ছানাউল করিম তদন্ত পরিচালনা করে ২৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উক্ত তফসীলোক্ত জায়গাটি সত্যিই আকাম উদ্দিন বন্দোবস্তে নিয়েছিলেন, তবে নুরুল ইসলাম তার কোনো ওয়ারিশ নন। আর.এস. ও পি.এস. রেকর্ড অনুযায়ী জায়গাটি “রাস্তা” শ্রেণিভুক্ত সরকারি সম্পত্তি। সুতরাং ব্যক্তিগত মালিকানা দাবি করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ আইনত অপরাধ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “তফসীলোক্ত জায়গাটি আর.এস. ও পি.এস. জরিপ অনুযায়ী সরকারিকৃত রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত। উক্ত জায়গায় নির্মাণাধীন ভবন আইনগতভাবে অননুমোদিত, যা চলাচল ব্যাহত করছে। অতএব, বন্দোবস্ত বাতিল করে ভবন উচ্ছেদপূর্বক জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভবন নির্মাণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, মসজিদ ও মাদরাসামুখী মুসল্লি এবং সাধারণ পথচারীরা বাধ্য হচ্ছেন বিকল্প পথে চলাচল করতে।

এ প্রসঙ্গে এলাকার সচেতন মহল বলছেন, “রাস্তাঘাটের ওপর ব্যক্তিগত দখল বন্ধ করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। রাস্তা জনগণের সম্পদ— একে কেউ ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না।”

তারা আরও বলেন, “প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপে উক্ত রাস্তা দখলমুক্ত করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সকলের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাস্তা যেন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে না থাকে, সে বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, সরকারি রাস্তার ওপর কোনো স্থাপনা নির্মাণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন— দ্রুত তদন্ত সমাপ্ত করে ভবনটি উচ্ছেদ, রাস্তা দখলমুক্ত করা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

চলাচলের জন্য উন্মুক্ত সরকারি রাস্তা সকলের মৌলিক অধিকার— এই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এখন প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে রাউজানবাসী।

কালিয়াকৈরে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর বাস টার্মিনাল এলাকায় শুক্রবার সকালে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান।

তিনি বলেন, অটোরিকশা চালক ও শ্রমজীবী মানুষ দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি সব সময় পাশে থাকবে।

এ সময় গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিনার উদ্দিনসহ শ্রমিক ফেডারেশনের বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ