আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রামের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত:মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম তথা দেশের রাজনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়াত জননেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রামের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বাকলিয়া শহীদ এনএমএমজে ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন, মোজাম্মেল, জিহাদদের স্মরণে এই শান্তিপূর্ণ বাকলিয়ায় যে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল তৎকালীন মন্ত্রী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল নোমানের। তাঁর সুযোগ্য সন্তান সাইয়েদ আল নোমান তূর্য আজ কলেজটির গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন। এটাই তাঁর পিতার আদর্শ ও কর্মকাণ্ডের বাস্তব প্রমাণ। নোমান ভাই কলেজটির জন্য রাতদিন পরিশ্রম করেছেন। বাকলিয়াবাসীও তাঁদের সঙ্গে ছিল। এটা আমরা ভুলে যেতে পারি না।

ডা. শাহাদাত অভিযোগ করেন, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নোমান সাহেবের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ। এটা খুবই দুঃখজনক। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট মানসিকতা কাজ করে। তারা কলেজের গভর্নিং বডি নিজেদের মতো করে বদলে দেয়।
মেয়র বলেন, নোমান ভাই আমাকে রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ছাত্ররাজনীতিতে যখন আমরা সংগঠন করতাম, তিনি পাশে থাকতেন, আমাদের হাতে কবিতার বই, কলম তুলে দিতেন, যাতে আমরা নবীনদের আকর্ষণ করতে পারি। তিনি ছিলেন উদার মনের, বিচক্ষণ ও দূরদর্শী রাজনীতিক।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে থাকত না, যদি নোমান ভাই সময়মতো দৃঢ় অবস্থান না নিতেন। পাথরঘাটা মহিলা কলেজ, এনায়েতবাজার মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, জেনারেল হাসপাতাল, কর্ণফুলী ব্রিজ সবখানেই তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে শুরু করে আধুনিক চট্টগ্রাম গঠনে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য, সেই আব্দুল্লাহ আল নোমানের নাম ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে।

বাকলিয়া এলাকাবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, আজ যেসব উন্নয়ন দেখছেন বিস্তৃত রাস্তা, উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এর অনেক কিছুই শুরু হয়েছিল নোমান ভাইয়ের হাত ধরে। তাঁর মতো নেতার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, মানবিকতা এবং উন্নয়নচিন্তা আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি সাঈদ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও উপাধ্যক্ষ নুরুল আলম রাজুর পরিচালনায় শোক সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি প্রফেসারিয়াল ফেলো প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এম এ সবুর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,

আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, সাবেক বিএনপি নেতা এস কে খোদা তোতন, আহবায়ক কমিটির সদস্য এস এম আবুল ফয়েজ, মো. কামরুল ইসলাম, জাফর আহমেদ, গভর্নিং বডির সদস্য জাকির হোসেন, মোহাম্মদ সৈয়দ, কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মালেক, রবিউল হাসান চৌধুরী প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কাপাসগোলায় টিসিভি টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শনে যুগ্ম সচিব

‘টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করব টাইফয়েড মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো’Ñশ্লোগানে ১লা নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত কমিউনিটি পর্যায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে স্বাস্থ্য বিভাগে ৪১টি ওয়ার্ডের সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরে কম বয়সে সকল শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা দেয়া হচ্ছে।

১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডে নাজমাঈ ডেমিরেল সিটি কর্পোরেশন দাতব্য চিকিৎসালয় গতকাল ঢাকা হইতে আগত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (জনসাস্থ্য) ডা. শিব্বির আহমেদ ওসমানী কাপাসগোলা ইপিআই জোনের অধীন দেবপাহাড সমাজসেবা কার্যালয়ে ঞঈঠ টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও দেবপাহাড সংলগ্ন বস্তিতে জঈগ করেন, সাথে ছিলেন ডা. ইমং প্রু, ডিভিশনাল কো-ডিনেটর (ডঐঙ), ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চসিক ও ডা. খাদিজা আহমেদ, ঝওগঙ(ডঐঙ)। এ সময় কাপাসগোলা জোনের ইপিআই টেকনিশিয়ান ও বেসরকারি সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

নেত্রকোনায় হুইল চেয়ার বিতরণ।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানীতে অংশ নিয়ে গত বুধবার তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নিকট হুইল চেয়ারের আবেদন করেন।

এরই প্রেক্ষিত মঙ্গলবার সকালে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুন মুন জাহান লিজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন, সর্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা বিনতে রফিক, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা সঞ্জীব চক্রবর্তী প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, প্রতি বুধবার জেলার বিভিন্ন এলাক হতে আগত সাধারন নাগরিকদের জন্য গণশুনানীর কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ