আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে: চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক, নিরাপদ ও টেকসই করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, যানজট নিরসন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার নগরীর ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্য হালিশহর ওয়ার্ডে চৌচালা ও টিজি রোডের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মেয়র জানান, উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং স্থায়ী অবকাঠামো উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, চৌচালা রোডে ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রকল্প শুরুর আগে ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থার ডিজিটাল সার্ভে করে উপযুক্ত আউটলেট নির্ধারণ করা হয়, যা জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।মেয়র বলেন, ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে সঠিক পরিকল্পনা করে আমরা কাজ বাস্তবায়ন করছি। এর ফলে আল্লাহর রহমতে এই বছর এই ওয়ার্ডে কোনো জলাবদ্ধতা হয়নি। ইতোমধ্যে ১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার কাজ শেষ হয়েছে এবং ২৪ কোটি ২২ লাখ টাকার কাজ চলমান রয়েছে। অর্থাৎ মোট প্রায় ৪৩ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ এ ওয়ার্ডে সম্পন্ন ও চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়নকাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতির কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। ঠিকাদাররা যেন মানসম্মত ইট, বালি ও সিমেন্ট ব্যবহার করেন, তা নিশ্চিতে এলাকাবাসীরও ভূমিকা প্রয়োজন। এই রাস্তা আপনাদের, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও টেকসই করে রাখতে হবে।
মেয়র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া কেউ রাস্তা খুঁড়লে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এই উন্নয়ন হচ্ছে—এটি যেন অপচয় না হয়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ, হানিফ সওদাগরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনা গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ১২ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।এরআগে গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পৌরশহরে চেকপোস্ট বসিয়ে তলাশি করার সময় ওই দুইজনকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন— হবিগঞ্জ জেলার মাদবপুর এলাকার অন্তু সাঁওতাল (২৫) ও মো. আব্দুল করিম (১৮)।পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের স্টেশনরোড এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহজনক যানবাহন তল্লাশি করছিলেন এসআই মো. রবিউল আওয়ালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এসময় যাত্রীবেশে থাকা ওই দুই যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ১২ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পরে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ছবি যুক্ত,
মোঃ নূর উদ্দিন মন্ডল দুলাল
নেত্রকোনা।
১২ নভেম্বর ২৫
০১৭১১০০১৭১৯

পূর্বধলায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু।

নেত্রকোণার পূর্বধলায় গাছের ডালের প্রায় ১৪-১৫ ফুট উঁচুতে ঝুলন্ত অবস্থায় লিটন মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের হাঁপানিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মৃত লিটন মিয়া ওই গ্রামের মো. খাদেমুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে প্রতিবেশী মো. সেলিম মিয়া দেখতে পান, লিটন মিয়া একটি আমগাছে পুরনো নাইলনের রশি দিয়ে গাছের ডালের প্রায় ১৪-১৫ ফুট উঁচুতে ঝুলে আছেন। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন, মৃতের পরিবারের সদস্যরা ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে লিটনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।খবর পেয়ে পূর্বধলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন-চার বছর আগে পাইলিংয়ের কাজে অংশ নেওয়ার সময় লিটন পিঠে আঘাত পান। এরপর থেকে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মানসিকভাবেও ভেঙে যান। পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে হতাশার কথাও বলতেন বলে জানা গেছে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ