আজঃ শুক্রবার ১৩ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শহীদদের বিভিন্ন স্মৃতি সংগ্রহ করেছেন উপদেষ্টা ফারুকী।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ব্যবহৃত পোশাক ও ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। রোববার সকালে উপদেষ্টা নগরীর লালখান বাজারে শহিদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র বাসায় যান। এসময় সেখানে তার মায়ের কান্নায় বেদনাবিধূর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শান্ত’র মা উপদেষ্টার হাতে ছেলের পোশাক ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র তুলে দিয়ে ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।
এসময় সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

বলেন,জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদদের ব্যবহৃত জিনিস স্মৃতি আকারে সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে এটা শুরু হয়েছে। এটার জন্য বড় টিম তৈরি হয়েছে। যারা সারা দেশজুড়ে আগামী দেড় মাস কাজগুলো করবে। এটার জন্য কমিটি হয়েছে, অনেকগুলো সাব কমিটি হয়েছে। আশা করি, আগামী দেড় মাসের মধ্যে কাজগুলো শেষ করে ৫ অগাস্টের মধ্যে জুলাই জাদুঘর ওপেন করতে পারব।

শান্ত’র মাকে সান্ত্বনা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেকটা ফ্যামিলিতে কিন্তুৃ. তাদের চোখের দিকে তাকালে এটা আপনি সহ্য করতে পারবেন না। এই যে তাদের বেদনাটা আমরা এখানে দেখলাম। আমাদের কাজ হবে জুলাই জাদুঘর যে ভিজিট করবে তার কাছে সেটা ট্রান্সফার করা। এ ট্রান্সফার করার মাধ্যমে আমরা যে ১৬ বছর দুঃশাসনের মধ্যে ছিলামৃ জুলাই শুধু বীরত্বের নয়, একই সঙ্গে বেদনারও গল্প। সে গল্প যেন একই পরিমাণ বেদনা নিয়ে যেন জাদুঘরের ভিজিটরের কাছে যায়। এটা আমাদের কাজ। এ কাজ করার জন্য আমরা শহিদদের কিছু অবজেক্ট কালেক্ট করছি।

শুধু অবজেক্ট না, যে শূন্যতা উনি (শান্তর মা) ফিল করছেন সে শূণ্যতা যেন আমাদের ফটো ডকুমেন্টশন সিরিজে উঠে আসে সেটার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। অবজেক্ট নেওয়া এবং এ শূণ্যতাকে কিভাবে ধারণ করা যায় সে কাজটা আমরা চট্টগ্রাম থেকে শুরু করলাম। তবে এ ধরনের কাজ করতে সময় লাগে। কিন্তু আমাদের হাতে সময় কম। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, সরকার বিচারের ব্যাপারে সবচাইতে ফোকাসড। আমি নিজেতো সরকারের বাইরে ছিলাম। এখন সরকারে ঢোকার পর বুঝতে পারি নিয়মতান্ত্রিক জটিলতা কত ভয়াবহ। ধরেন আমি দৌঁড়ায় ১০০ মিটার গতিতে। নিয়ম আমাকে টেনে ধরে বলে দৌড়াও স্লো ম্যারাথনের গতিতে। এটা বাস্তবতা। সে বাস্তবতার মধ্যেই আপনারা জানেন যে আজ থেকে একটা মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। এটা লাইভ বর্ডকাস্ট করা হচ্ছে টেলিভিশনে। যাতে করে সবাই জানতে পারে এখানে কী হচ্ছে। আমরা কোনো অন্যায় বিচার চাই না।

কারণ বাংলাদেশে জুলাইতে যে জুলুম হয়েছে এবং আগের ১৬ বছর যা হয়েছে এটা কোনটা বানোয়াট ঘটনা না, আমাদের চোখের সামনে ঘটেছে। আমরা একটা শক্ত বিচার চাই। সেই ন্যায় বিচার হলে আপনারা দেখবেন অপরাধী তার প্রাপ্য শাস্তি পাবে। আজকে প্রসেসটা শুরু হয়েছে। আমি নিশ্চিত প্রত্যেকটা মামলার বিচার হবে।
তিনি বলেন, খুনী এখনও বলছে সে কোনো খুন করেনি। তাদের মধ্যে ন্যুনতম অনুশোচনা নাই। জুলাই জাদুঘরের কাজ হবে খুনীর সব অপরাধ জাতির সামনে তুলে ধরা। যেন ৫০ বছর পর আমরা যখন কেউ থাকব না, তখনকার প্রজন্ম তারা যেন জাদুঘরে গিয়ে দেখতে পায় আসলে কী হয়েছিল।

শান্ত’র বাসা থেকে সার্কিট হাউজে ফিরে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী শহীদ শহিদুল ইসলাম ও মো. ফারুকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের ব্যবহার্য সামগ্রী গ্রহণ করেন। এর আগে, শনিবার তিনি কক্সাবাজারের চকরিয়ায় চট্টগ্রামে নিহত ওয়াসিম আকরামের বাড়িতে গিয়েও তার ব্যবহার্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহীতে আজীবন বহিষ্কার ২ বি, এন, পি নেতা।

রাজশাহীতে দলীয় শৃংখলা ভংগের কারণে, ২ বি,এন পি, নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে ।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে রাজশাহীতে বিএনপির দুই নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।বুধবার (১১ জুন) জেলা বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম এবং উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। 

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু সাইদ (চাঁদ), সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (মার্শাল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন। 

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, আনোয়ারুল ইসলাম একজন প্রধান শিক্ষককে স্কুলে যেতে দিচ্ছেন না। এ জন্য শোকজ করেছিলাম। তিনি জবাব দিলেও সেটি গ্রহণযোগ্য না। তাই তাকে বহিষ্কার করা হলো। এছাড়া রফিকুল ইসলাম দুই সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা করেছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তাই তাকেও বহিষ্কার করা হলো।

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনার সম্ভাব্য নতুন সংক্রমণ মোকাবেলায় চট্টগ্রামের সব স্বাস্থ্যখাত-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করতে হবে। বুধবার চসিক নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় মেয়র নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সচেতন থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সময় মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে আগের মতো এবারও সফলভাবে করোনা মোকাবেলা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যারা কেউ বিদেশফেরত নন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তারা সংক্রমিত হয়েছেন,এটি স্থানীয় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত।
সভায় সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিপিসিআর টেস্ট চালু থাকবে। নগরের বিভিন্ন স্থান ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও থাকবে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালকে দ্রুত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন এবং চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সারোয়ার আলম, চিকিৎসক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা উল্লেখ করে মেয়র আরো বলেন, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস আবারও সকলে মেনে চলতে হবে। চসিক একটি সার্ভিস সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে নাগরিকরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন বলেও মেয়র জানান।
তিনি আরও বলেন, গতবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্ক, টিকা ও মেডিকেলসামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করেছে। এবার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট দল নিয়মিত বাজার তদারকিতে থাকবে। চসিকের ম্যাজিস্ট্রেটরাও প্রয়োজন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ