
চট্টগ্রামে দুটি আলাদা ঘটনায় ২০ ঘণ্টা ব্যবধানে পাহাড়ি ঝরনার কূপে পানিতে তলিয়ে গিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তারা বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রোববার মিরসরাই উপজেলার বড় দারোগাহাটে রূপসী ঝরনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক কলেজ ছাত্র। এর আগে, শনিবার বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোটদারোগাহাট এলাকায় সহস্রধারা ঝরনায় মৃত্যু হয় এক স্কুল ছাত্রের।
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রূপসী ঝরনার কূপে গভীর পানিতে তলিয়ে যাওয়া এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তার নাম আসিফ উদ্দিন (২৪)। তাদের বাসা চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি কামাল গেট এলাকায়। নগরীর ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে সম্মান চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র ছিলেন ওই তরুণ। ওসি বলেন, সকালে পাঁচ বন্ধু মিলে চট্টগ্রাম নগরী থেকে রূপসী ঝরনায় ঘুরতে আসেন। সেখানে তারা ঝরনার পানিতে নামার পর একপর্যায়ে আসিফ গভীরে তলিয়ে যান। প্রথমে বন্ধুরা খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু না পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি।
এর আাগে শনিবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডে সহস্রধারা-২ ঝরনা থেকে তাহসিন আনোয়ার (১৭) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, তাহসিন চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের বাসা চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায়। তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন। মা লুৎফুন নাহার একজন উপসচিব, যিনি জীবন বীমা করপোরেশনে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে আছেন।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাহসিনরা সাত বন্ধু মিলে শনিবার দুপুরে সহস্রধারা ঝরনায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিন বন্ধু ঝরনার পানিতে নেমেছিলেন। তিনজনের মধ্যে তাহসিন পানির গভীরে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
