আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

আরও ২০০টি ছোট প্রকল্প নেয়া হচ্ছে :চসিক মেয়র

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সামনে আরও ২০০টি ছোট প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সোমবার দুপুরে আগ্রাবাদের হোটেল এমব্রোশিয়ার বিপরীতে বিদ্যুৎ ভবনের সামনের অংশে প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন।

পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, ১৯৯৮ সালে নির্মিত এই বক্স কালভার্টটি তৎকালীন সরকারের অপরিকল্পিত প্রকল্প ছিল, যেখানে ভবিষ্যতে পরিষ্কার-পরিচর্যার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। ফলে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এটি অব্যবহৃত এবং বন্ধ অবস্থায় ছিল। আমরা এখন লালমিয়া ছড়া, নাসিরখালসহ পুরো নেটওয়ার্ক খনন ও সংস্কারে হাত দিয়েছি।

মেয়র জানান, ইতোমধ্যে ১৭টি স্ল্যাবের মধ্যে ৭টি উন্মুক্ত করে পরিষ্কারের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১০টির কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ শেষ হতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এ বছর ১৯০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হলেও জলাবদ্ধতার মাত্রা আগের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। মহান আল্লাহর রহমতে আমরা ইতিবাচক ফল দেখতে পাচ্ছি। সামনে আরও ২০০টি ছোট প্রকল্প হাতে নিচ্ছি, যার মাধ্যমে নগরের খাল-নালা পরিষ্কার অব্যাহত থাকবে।

ডা. শাহাদাত আরও জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রকল্পে আগ্রাবাদের পুরনো বক্স কালভার্ট উন্মুক্ত করে খাল খননের কাজ চলছে। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত, কারণ এখানে বিষাক্ত গ্যাস ও গ্যাসলাইন রয়েছে। তাই ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫০টির বেশি নালা ও খাল পরিষ্কারের কাজ চসিক সম্পন্ন করেছে। ১৬০০ কিলোমিটার নালার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়মিতভাবে চলবে। তিনি সেনাবাহিনী, সিডিএ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার মো. এনামুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খান, চসিক ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ