আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

ক্রমান্বয়ে স্বাভাভিক হচ্ছে বন্দরের কন্টেইনার জট।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম বন্দরে একের পর এক কন্টেনাই জট ক্রমান্বয়ে স্বাভাভিক হচ্ছে। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে বন্দরের কার্যক্রম চলতে থাকায় দু’দিনের মধ্যে কনটেইনার জট পরিস্থিতি আর থাকবে না বলে জানা গেছে। এর আগে ঈদুল আজহার টানা সরকারি ছুটিতে খালাস ঠিকমতো না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪৫ হাজার কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে।

তবে ছুটি শেষে জাহাজ ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং এবং খালাস আগের নিয়মে ফিরে যাচ্ছে। বন্দরকেন্দ্রিক শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোতে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরুর পর বন্দর থেকে আমদানি কনটেইনার ডেলিভারি এবং রফতানি কনটেইনার প্রবেশের হার বেড়েছে।

বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজারেরও বেশি আমদানি কনটেইনার বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে। এ গতি অব্যাহত থাকলে সর্বোচ্চ ক্রমান্বয়ে কনটেইনার জট পরিস্থিতি আর থাকবে না। বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে) কনটেইনার রাখার জায়গা আছে। তবে ৪০ হাজার টিইইউসের বেশি কনটেইনার ডেলিভারির জন্য বন্দরের ভেতরে অপেক্ষমাণ থাকলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়ে এবং দ্রুত জট পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত রোববার কর্মদিবস শুরুর প্রথম দিনেই পুরোদমে ডেলিভারি শুরু হয়েছে। আইসিডিগুলো থেকেও কনটেইনার আসছে। ডেলিভারি রেট বেড়েছে। সোমবারও পুরোদমে কার্যক্রম চলছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ছুটি শেষে খোলার প্রথমদিন রোববার (১৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্দরের অভ্যন্তরে আমদানি-রফতানি পণ্যবোঝাই ও খালিসহ মোট কনটেইনার ছিল ৪৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে)।

সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে ২৪৩৬ টিইইউস কনটেইনার। জেটিতে ১০টি জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস চলছিল। জাহাজগুলোতে মোট ৪২০০ টিইইউস কনটেইনার আছে। এছাড়া জেটিতে প্রবেশের অপেক্ষায় বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অপেক্ষমাণ আছে আরও ১০টি জাহাজ, যাতে কনটেইনার আছে ১০ হাজার টিইইউস।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেন, সরকারি ছুটির শেষদিন অর্থাৎ গত শনিবার থেকেই বন্দরে কাজের গতি বেড়েছে। স্টেকহোল্ডাররা সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন, সবার কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।

জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গত ৫ জুন থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়, যা ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০দিন ছিল। এত দীর্ঘ ছুটির কারণে বন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি এবং আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাবের আশঙ্কা করে আসছিলেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। এ আশঙ্কাকে আমলে নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে সম্ভাব্য অচলাবস্থা মোকাবিলায় ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এ সিদ্ধান্তের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে শুধুমাত্র ঈদের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কিন্তু এরপর থেকে আগের মতোই ২৪ ঘণ্টা সচল আছে বন্দর।তবে ছুটিতে কলকারখানা বন্ধ থাকায় এবং বেসরকারি ডিপোগুলোতে শ্রমিক সংকটের কারণে কনটেইনার ডেলিভারির হার ‘অস্বাভাবিক’ কমে গিয়েছিল। এতে কনটেইনার খালাসের জন্য নোঙ্গর করা জাহাজকে জেটিতে অতিরিক্ত একদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছিল।

বন্দর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, সরকারি ছুটি শুরুর দিন গত ৫ জুন বন্দরে কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছিল ৪ হাজার ১২২ টিইইউস। এদিন জাহাজে রফতানি কনটেইনার তোলা হয়েছিল ৯ হাজার ৭২০ টিইইউস আর আমদানি কনটেইনার জাহাজ থেকে নামানো হয়েছিল ৫ হাজার ৪১১ টিইইউস।

কিন্তু ঈদুল আজহার আগের দিন ৬ জুন থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। এদিন মাত্র ৫২১ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়। ঈদের দিন ৭ জুন বিকেল ৪টা থেকে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হলেও বন্দর থেকে কোনো কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি। তবে কনটেইনার জাহাজ থেকে ডেলিভারি হয় ৩০৮ টিইইউস।
ঈদের পরদিন ৮ জুনও কোনো কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি। ৯ জুন ৪৩১ টিইইউস, ১০ জুন ১ হাজার ৩৮১ টিইইউস, ১১ জুন ১ হাজার ৭৮১ টিইইউস ডেলিভারি হয়।

ঈদের ছুটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসের পরিমাণও কমে যায়। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন আমদানি কনটেইনার নামানো হয় ৫ হাজারের মতো। কিন্তু ৫ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫৪৪ টিইইউস এবং সর্বনিম্ন ২ হাজার ৩১১ টিইইউস আমদানি
কনটেইনার জাহাজ থেকে খালাস হয়। টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটির শেষ দিন শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্দরের ইয়ার্ডে জমে থাকা কনটেইনারের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৪১৬ টিইইউস। এর পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি বাদে আরও দুই হাজার কনটেইনার জমা হয়। এ হিসেবে বন্দরের ধারণক্ষমতার ৮০ শতাংশ জায়গায় কনটেইনার জমে গেছে।

ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেন, আজ সোমবারও সারাদিন গতিতে ডেলিভারি হচ্ছে। তবে ৪৪ হাজারের বেশি কনটেইনার জমলেও বন্দরের কাজে তেমন প্রভাব পড়েনি। এখন যেভাবে কাজের গতি বেড়েছে, এই জটটাও আশা করছি আর থাকবে না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বিদায়ী জুন মাসে ৬৭১ সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত আহত ১৯০২।

বিদায়ী জুন মাসে দেশের গণমাধ্যমে ৬৭১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত, ১৯০২ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই মাসে রেলপথে ৫৪ টি দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত, ১৪ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তথ্যমতে, নৌ পথে ১৮ টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৭৪৩ টি দুর্ঘটনায় ৭৮০ জন নিহত এবং ১৯১৬ জন আহত হয়েছে।

এই সময়ে ২২৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৪৪ জন নিহত, ২১২ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩.৩৮ শতাংশ, নিহতের ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহতের ১১.১৪ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৬০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও ৫৮৮ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বুহস্পতিবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১১ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৯ জন চালক, ১১০ জন পথচারী, ৪৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬০ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন শিক্ষক, ১০৫ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন প্রকোশলী, এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৫ জন পুলিশ সদস্য, ০৫ জন সেনাবাহিনী সদস্য, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন প্রকোশলী, ১১৫ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৪ জন পথচারী, ৮৪ জন নারী, ৪৫ জন শিশু, ৫৬ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন পরিবহন শ্রমিক, ০৮ জন শিক্ষক ও ১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৭৪ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৬.৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৪৮ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.৯৪ শতাংশ বাস, ১২.৭৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৬.৭৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৭.৭০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৯৮ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪১.২৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৯.৬৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১.৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৬.৭০ শতাংশ বিবিধ কারনে, চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.২৯ শতাংশ, এবং ০.৭৪ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

চট্টগ্রামে বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ, পাইকারি-খুচরায় দামের তফাত

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পেঁয়াজ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল নগরবাসী। এখন পেঁয়াজের বাজারের চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। পাইকারীতে এক দাম, খুচরায় আরেক দাম। বিশেষ করে এক কেজি পেঁয়াজেই কিনা খুচরা ব্যবসায়ীরা লাভ করছেন ২০ টাকার বেশি। কদিন ধরেই চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারখ্যাত খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু সেই পেঁয়াজ কিনা খুচরা বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০টাকায়। দামের এমন তফাতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তাঁরা খুচরা বাজারগুলোতে প্রশাসনের তদারকির অনুরোধ জানিয়েছেন।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ বেশ ভালো ছিল। দামে কোনো হেরফের হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছিল পণ্যটি। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়ার বাজারের মেসার্স কাজী স্টোরের স্বত্বাাধিকারী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমলেও দাম বাড়েনি। আগের দামেই মানভেদে পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি আগামী কদিন এই দাম অব্যাহত থাকবে। তবে গত সোমবার থেকেই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। পুরো সপ্তাহজুড়ে তাই খাতুনগঞ্জে ৪০-৪৫টাকাতেই বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। কিন্তু সেই দাম কমার সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা পেঁয়াজের খুচরা বাজারে শিগগির তদারকি কার্যক্রম চালাবো।
বহদ্দারহাট ও কর্ণফুলী মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে পাইকারির চেয়ে এত বেশি দামে বিক্রি করার তেমন কোনো কারণ দেখাতে পারেননি খুচরা বিক্রেতারা। বহদ্দারহাটের রাঙ্গুনিয়া স্টোরের দোকানি মোহাম্মদ সাহেদের কাছে দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে বলেন, বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

একই কথা বলেন কর্ণফুলী মার্কেটের আরেক খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, আগের সপ্তাহে কেনা পেঁয়াজই বিক্রি করছেন। যেহেতু ৫০-৫৫ টাকায় কিনতে হয়েছে সেজন্য মানভেদে ৬০-৭০টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

তবে ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁরা বলছেন পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এটি বেশিদিন সংরক্ষণ করে রেখে বিক্রির পণ্য না। পাইকারি বাজারের প্রভাব দিনে দিনে না হলেও এক দুদিনের মধ্যে খুচরা বাজারে পড়ার কথা। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পুরনো দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।

বহদ্দারহাটে পেঁয়াজ কিনতে এসে তাই ক্ষোভ ঝাড়লেন গৃহিনী হালিমা বেগম। তিনি বলেন, পত্রিকা-টিভিতে পেঁয়াজের দাম কমার খবর পড়ছি-শুনছি কদিন ধরে। কিন্তু বাজারে এসে দেখছি উল্টো চিত্র। আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে প্রশাসনের তদারকি না থাকার সুযোগে ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধে আমাদের ঠকাচ্ছে।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরাও মনে করেন পাইকারি বাজারের পাশাপাশি খুচরা বাজারেও নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, আমরাও শুনতে পাচ্ছি পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারগুলোতে সেটির প্রভাব এখনো পড়েনি। আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এটা অনেক সময়েই হয়ে থাকে। প্রশাসন খুচরা বাজারে তদারকি বাড়ালে আশা করি দাম কমবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ