আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সব স্টেকহোল্ডারকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে হলে পোর্ট ইউজারস ফোরাম কার্যকর করা জরুরি

চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবসাবান্ধব করতে হবে:চসিক মেয়র।

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবসাবান্ধব করতে হবে। দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ পরিচালিত হয় এই বন্দর ঘিরে। তাই বন্দরকে ঘিরে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের যথাযথ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তিনি

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাথে আগ্রাবাদ সিএন্ডএফ টাওয়ারস্থ এসোসিয়েশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত সিএন্ডএফ কার্যক্রমে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিরসন’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ শফিউল আজম খান।

সভাপতি এস এম সাইফুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড। দুই হাজার আট শতাধিক সিএন্ডএফ এজেন্ট ও তাদের আট হাজারের বেশি কর্মচারী আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সাথে সরাসরি যুক্ত থেকে নিরলসভাবে কাজ করে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সিএন্ডএফ এজেন্টদের বিরূদ্ধে যেসব কালো আইন করা হয়েছে তা বাতিলে মেয়রের সহযোগিতা চান। তিনি মেয়রের কাছে সিএন্ডএফ এজেন্টদের ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের জন্য এসোসিয়েশন কার্যালয়ে একটি সিটি কর্পোরেশন বুথ স্থাপনের দাবী জানান।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সব স্টেকহোল্ডারকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে হলে পোর্ট ইউজারস ফোরাম কার্যকর করা জরুরি। এ লক্ষ্যে তিনি মেয়রকে পোর্ট ইউজারস ফোরামের দায়িত্ব গ্রহণের আহবান জানান, যেন মেয়রের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে বন্দর সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।

এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরের নালা-নর্দমা ও খালসমূহ পরিষ্কারে ত্বরিত পদক্ষেপের ফলে এ বছর নগরবাসী জলাবদ্ধতার কষ্ট থেকে রেহাই পেয়েছে। এজন্য তিনি মেয়রকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

জানান। তিনি আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সিএন্ডএফ কার্যক্রমে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরে বন্দরের চারগুন হারে স্টোররেন্ট কমানো, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সার্ভার সমস্যা, বাজেটে বিভিন্ন এইচ.এস.কোড পরিবর্তনে শুল্কায়ন সমস্যা, স্টীভিডোরদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, শ্রমিক সরবরাহে অনিয়ম ও বকশিস দাবী, বন্দর গেইট এলাকায় যানজট নিরসন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল সমস্যা ইত্যাদি বিষয়ে মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, এ শহরকে ক্লিন, গ্রীন, হেলদি ও সেইফ সিটিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। মনোরেল, ওয়ান সিটি টু টাউন, ইকো সিটি, পর্যটন জোন, ৪১টি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, আবর্জনাকে সম্পদে রূপান্তর, স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিস্কার-পরিচ্ছনতা
বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ নানা উন্নয়নমুখী

পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বন্দর গেইট এলাকায় যানজট নিরসনে পুলিশের এডিসি ট্রাফিক ও ডিসি পোর্টকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহবান জানান। বন্দরের অস্বাভাবিক স্টোররেন্ট কমাতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নে সিএন্ডএফ এজেন্টদের তাৎক্ষণিক সেবা দিতে এসোসিয়েশন কার্যালয়ে সিটি কর্পোরেশনের বুথ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন স্কেল সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বন্দরকে ব্যবসাবান্ধব করার জন্য যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, বিজিএমইএ পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, বাফা’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন। উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের জয়েন্ট কমিশনার মোঃ মারুফুর রহমান ও চপল চাকমা, বিজিএমইএ এর পরিচালক এনামুল আজিজ চৌধুরী, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোঃ আমিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আলহাজ্ব মোরশেদুল আলম কাদেরী, বিসিএসআইআর এর সায়েন্টিক অফিসার সম্রাট মোহাইমিনুল ইসলাম ও মোঃ রিফাত হোসেন সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এসোসিয়েশনের উপদেষ্টামন্ডলী ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সিএন্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শেখ ফয়সালের স্বপ্ন ছোঁয়ার শুরু গোল্ডেন দিয়ে

নিয়মিত অধ্যয়ন, একাগ্রতা আর স্বপ্ন দেখার সাহস—এই তিনটি বিষয়কে পাথেয় করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শেখ ফয়সাল ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৪৬ পেয়ে ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ সব বিষয়ে ফয়সাল A+ (অর্থাৎ ৮০-এর বেশি নম্বর) পেয়েছে। গণিতে তার নম্বর ৯৮, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৯, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতে ১০০ করে—প্রতিটি বিষয়ের ফলাফলে নিখুঁত স্থিরতা দেখা গেছে।

ফয়সালের বাবা শেখ ফারিদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে কর্মরত। মা তোহমিনা আক্তার একজন গৃহিণী।পিতা শেখ ফারিদ বলেন, আমরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছি। ফয়সালের সাফল্য আমাদের জন্য বিরাট আনন্দ।

মা তোহমিনা আক্তার বলেন, “ফয়সাল ছোটবেলা থেকেই বইপাগল। পড়াশোনার বাইরে সময় কাটে জ্ঞানের খোঁজে। ওর এই আগ্রহ আমাদের আশীর্বাদ মনে হয়।ফয়সালের স্বপ্ন একজন গবেষক বিজ্ঞানী হওয়া।আমি এমন কিছু উদ্ভাবন করতে চাই যা মানুষের জীবনকে সহজ করবে—বিশেষ করে পরিবেশ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে,”—বলেছে ফয়সাল।

তার প্রিয় বিষয় পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত। সে বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি দেখে, অনলাইন কোর্স করে এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।অধ্যয়ন অভ্যাস ও সময় ব্যবস্থাপনা

ফয়সালের প্রতিদিনের রুটিন সময়মাফিক ও নিয়মানুবর্তী। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা লেখাপড়ায় সময় দেয়, আর প্রতি সপ্তাহে একটি দিন শুধুই নিজের মানসিক চর্চা ও জ্ঞানভিত্তিক বইপড়ায় ব্যয় করে।

সে বলে, সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে বইয়ের ঘ্রাণ বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি বিষয়ে বুঝে পড়ি—মুখস্থের উপর নির্ভর করি না।কলেজিয়েট স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “ফয়সাল পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাপরায়ণ। ওর মতো ছাত্র একটা প্রতিষ্ঠানের গর্ব। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সে দেশের সম্পদে পরিণত হবে।

ফয়সালের ইচ্ছা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ বা নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু করা। এরপর তার লক্ষ্য বুয়েট বা আন্তর্জাতিক কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও গবেষণা নিয়ে পড়াশোনা করা।আমি শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য কিছু করতে চাই,”—জানায় শেখ ফয়সাল।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা বেগবান করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান বলেছেন, পরিকল্পিত জনসংখ্যা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম হাতিয়ার। সীমিত সম্পদের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বত্র সচেতনতা তৈরী জরুরী। সুস্থ-সবল জীবন গড়তে হলে কৈশোরে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে সরকার পরিবার-পরিকল্পনা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রাপ্ত বয়সে অনেকে সন্তান নিতে অনীহা প্রকাশ করে, আবার কেউ কেউ দু’য়ের অধিক সন্তান নেয়-এ বিষয়টি নজরে আনা প্রয়োজন। ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, দু’টি সন্তানের বেশী নয়, একটি হলে ভালো হয়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সাম্যের ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ১১ জুলাই উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় কর্তৃক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’।

সভার শুরুতে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবায় বিভাগীয় পর্যায়ে বান্দরবানে রুমা উপজেলা পরিষদ ও জেলা পর্যায়ে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা পরিষদ শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেন।আলোচনা সভায় অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর বিকল্প নেই। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বাড়াতে বর্তমান সরকার নানাবিধ প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির ব্যবহারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারী-বেসরকারী চাকুরিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।

পাশাপাশি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনায় সচেতনতা বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করার কারণে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।

বক্তারা বলেন, নারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে আন্তরিক হতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নসহ লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করতে হবে। নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে।
নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জনবল ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন, যন্ত্রপাতি সংকট সত্ত্বেও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর হার বৃদ্ধি করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে নিরাপদ সেবা দেয়ার জন্য কিভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি সে ব্যাপারে পলিসি নিতে হবে। মানসম্মত পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা গেলে সফলতা অবশ্যই আসবে।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী ও অন্যান্য সেবার বিশেষ অবদানের জন্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ১০ ক্যাটাগরিতে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মোট ২০ জন কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক-ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবু সালেহ মোঃ ফোরকান উদ্দীনের সভাপতিত্বে, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক লিকসন চৌধুরী ও ডা. সোমা চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ, পিডিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে এম এম মামুনুর বাশরী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, ডা. উ খ্যে উইন, এম এম এরশাদ।

বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. শামীমা হাসনাত, সহকারী পরিচালক (পোর্ট ক্লিয়ারেন্স) লোকমান হোসাইন ও অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা’র সিনিয়র পরিচালক স্বপ্না তালুকদার।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা, এফপিএবি, মেরীস্টোপস, বিএভিএস, ঘাসফুল, ইমেজ, ছায়াপথ, আর.এইচ.স্টেপ, বোয়ালখালী মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

 

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ