আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

করোনা-ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় বিশেষ অভিযান চালাবে চসিক: মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও করোনা প্রতিরোধে আগামী তিন মাসব্যাপী বিশেষ সচেতনতামূলক ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। প্রয়োজনে তিনটি রোগের প্রকোপ না কমা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলে জানান মেয়র।

শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) চত্বরে এক গণসচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এই ঘোষণা দেন তিনি। মেয়র বলেন, বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ একসাথে তিনটি ভাইরাল রোগ মোকাবেলা করা—কোভিডের সংক্রমণ, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। এর মধ্যে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সিজনাল হলেও, সঠিক প্রস্তুতি ও গণসচেতনতা ছাড়া ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।”
তিনি মশক নিধন কার্যক্রম এবং পরিচ্ছন্নতা উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা নিয়মিত মশক

নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। জনগণকে সজাগ থেকে পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের কর্মীদের মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে এবং জনগণের সাথে মিলেমিশে কাজ করছি। এই তিনটি সমস্যার প্রকোপ না কমা পর্যন্ত আমরা বিশেষ সচেতনতামূলক ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবো। আমাদের লক্ষ্য আগামী ৩ মাস জনগণকে সাথে নিয়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও করোনা প্রতিরোধ করা। জনগণের মাঝে ওষুধ কার্যকর না হওয়া নিয়ে যেসব
অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর জবাবে মেয়র বলেন: একই ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মশার মধ্যে রেজিস্টেন্স তৈরি হয়। এজন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণাভিত্তিক নতুন মশা নিধন সমাধান বায়োলজিকাল লার্ভিসাইড ‘বিটিআই’ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছি। ফলাফল ভালো পেয়েছি। যদিও দাম বেশি, তবু এই ওষুধ দিয়ে কম কনসেন্ট্রেশনে কার্যকর ফল পাওয়া যাচ্ছে।

বর্তমানে চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে কোন ওয়ার্ড কমিশনার নেই। তবে তাতে কাজ থেমে থাকছে না বলেও জানান মেয়র। তিনি বলেন: আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও সুপারভাইজাররা ইতিমধ্যেই প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ করছেন। রাজনৈতিক নেতা, পেশাজীবী, মহল্লা সরদার—সবাইকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চলছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। তবে সবাই সুস্থ আছেন এবং গুরুতর কোন রোগী নেই বলে মেয়র জানান। সচেতনতার পাশাপাশি কীটনাশক প্রয়োগের মাত্রাও জোরদার করা হবে এবং প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আইনের প্রয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি

মেয়র জনসচেতনতার উপর জোর দিয়ে বলেন, আপনারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি করুন, আমিও চেষ্টা করছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন জায়গায় নালা, ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার রাখা, লিফলেট বিতরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। অন্যথায়, জনগণের আমরা কোন উপকারে আসতে পারব না। মশার প্রজনন রোধে, কোথাও ডাবের খোসা, বালতি, নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত রাখা যাবে না। এতে পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়। বাসায় টব, বালতিতে দুই তিন দিন পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। খোলা জায়গায় টব রেখে পানি জমা করা যাবে না। কারণ ওখানে পানি জমলেই মশার লার্ভা জন্মাবে।

মেয়র জনগণকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু সিটি কর্পোরেশনের উপর দায় চাপিয়ে না দিয়ে প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। ফুলের টব, ছাদ, বারান্দা—যেখানেই পানি জমে, তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে, সন্ধ্যার পর ফুলহাতা জামা-প্যান্ট পরিধান জরুরি। নামাজের সময়ও যেন স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, বিশেষ করে মসজিদের ভেতরও যেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতর্কতা থাকে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা,ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সেক্রেটারী ডা: বেলায়েত হোসেন ঢালি, ডা. সারোয়ার আলম প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শেখ ফয়সালের স্বপ্ন ছোঁয়ার শুরু গোল্ডেন দিয়ে

নিয়মিত অধ্যয়ন, একাগ্রতা আর স্বপ্ন দেখার সাহস—এই তিনটি বিষয়কে পাথেয় করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শেখ ফয়সাল ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৪৬ পেয়ে ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ সব বিষয়ে ফয়সাল A+ (অর্থাৎ ৮০-এর বেশি নম্বর) পেয়েছে। গণিতে তার নম্বর ৯৮, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৯, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতে ১০০ করে—প্রতিটি বিষয়ের ফলাফলে নিখুঁত স্থিরতা দেখা গেছে।

ফয়সালের বাবা শেখ ফারিদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে কর্মরত। মা তোহমিনা আক্তার একজন গৃহিণী।পিতা শেখ ফারিদ বলেন, আমরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছি। ফয়সালের সাফল্য আমাদের জন্য বিরাট আনন্দ।

মা তোহমিনা আক্তার বলেন, “ফয়সাল ছোটবেলা থেকেই বইপাগল। পড়াশোনার বাইরে সময় কাটে জ্ঞানের খোঁজে। ওর এই আগ্রহ আমাদের আশীর্বাদ মনে হয়।ফয়সালের স্বপ্ন একজন গবেষক বিজ্ঞানী হওয়া।আমি এমন কিছু উদ্ভাবন করতে চাই যা মানুষের জীবনকে সহজ করবে—বিশেষ করে পরিবেশ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে,”—বলেছে ফয়সাল।

তার প্রিয় বিষয় পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত। সে বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি দেখে, অনলাইন কোর্স করে এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।অধ্যয়ন অভ্যাস ও সময় ব্যবস্থাপনা

ফয়সালের প্রতিদিনের রুটিন সময়মাফিক ও নিয়মানুবর্তী। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা লেখাপড়ায় সময় দেয়, আর প্রতি সপ্তাহে একটি দিন শুধুই নিজের মানসিক চর্চা ও জ্ঞানভিত্তিক বইপড়ায় ব্যয় করে।

সে বলে, সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে বইয়ের ঘ্রাণ বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি বিষয়ে বুঝে পড়ি—মুখস্থের উপর নির্ভর করি না।কলেজিয়েট স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “ফয়সাল পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাপরায়ণ। ওর মতো ছাত্র একটা প্রতিষ্ঠানের গর্ব। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সে দেশের সম্পদে পরিণত হবে।

ফয়সালের ইচ্ছা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ বা নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু করা। এরপর তার লক্ষ্য বুয়েট বা আন্তর্জাতিক কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও গবেষণা নিয়ে পড়াশোনা করা।আমি শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য কিছু করতে চাই,”—জানায় শেখ ফয়সাল।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা বেগবান করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান বলেছেন, পরিকল্পিত জনসংখ্যা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম হাতিয়ার। সীমিত সম্পদের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বত্র সচেতনতা তৈরী জরুরী। সুস্থ-সবল জীবন গড়তে হলে কৈশোরে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে সরকার পরিবার-পরিকল্পনা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রাপ্ত বয়সে অনেকে সন্তান নিতে অনীহা প্রকাশ করে, আবার কেউ কেউ দু’য়ের অধিক সন্তান নেয়-এ বিষয়টি নজরে আনা প্রয়োজন। ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, দু’টি সন্তানের বেশী নয়, একটি হলে ভালো হয়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সাম্যের ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ১১ জুলাই উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় কর্তৃক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’।

সভার শুরুতে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবায় বিভাগীয় পর্যায়ে বান্দরবানে রুমা উপজেলা পরিষদ ও জেলা পর্যায়ে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা পরিষদ শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেন।আলোচনা সভায় অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর বিকল্প নেই। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বাড়াতে বর্তমান সরকার নানাবিধ প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির ব্যবহারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারী-বেসরকারী চাকুরিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।

পাশাপাশি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনায় সচেতনতা বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করার কারণে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।

বক্তারা বলেন, নারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে আন্তরিক হতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নসহ লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করতে হবে। নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে।
নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জনবল ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন, যন্ত্রপাতি সংকট সত্ত্বেও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর হার বৃদ্ধি করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে নিরাপদ সেবা দেয়ার জন্য কিভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি সে ব্যাপারে পলিসি নিতে হবে। মানসম্মত পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা গেলে সফলতা অবশ্যই আসবে।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী ও অন্যান্য সেবার বিশেষ অবদানের জন্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ১০ ক্যাটাগরিতে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মোট ২০ জন কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক-ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবু সালেহ মোঃ ফোরকান উদ্দীনের সভাপতিত্বে, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক লিকসন চৌধুরী ও ডা. সোমা চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ, পিডিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে এম এম মামুনুর বাশরী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, ডা. উ খ্যে উইন, এম এম এরশাদ।

বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. শামীমা হাসনাত, সহকারী পরিচালক (পোর্ট ক্লিয়ারেন্স) লোকমান হোসাইন ও অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা’র সিনিয়র পরিচালক স্বপ্না তালুকদার।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা, এফপিএবি, মেরীস্টোপস, বিএভিএস, ঘাসফুল, ইমেজ, ছায়াপথ, আর.এইচ.স্টেপ, বোয়ালখালী মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

 

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ