আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে পেশাজীবীদের সোচ্চার অংশগ্রহণ জনগণকে আশা জুগিয়েছিল

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রাম'র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি), চট্টগ্রাম শাখার আয়োজনে আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি কনফারেন্স হলে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ পেশাজীবি প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি। এবং সঞ্চালনা করেন বিএসপিপি চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ডা.খুরশীদ জামিল।

সভায় বক্তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে পেশাজীবীদের করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় পেশাজীবীদের সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২৪ সালের জুলাই নতুন করে গণজাগরণের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই মাসে জনগণের মধ্যে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন, এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া ব্যবহার নিয়ে।

এই ক্রান্তিকালে দেশের বিবেক বলে পরিচিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) সামনে আসে জাতিকে পথ দেখাতে। তারা চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং স্পষ্ট ভাষায় সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে প্রতিবাদ করেন।

চট্টগ্রামে পেশাজীবী মতবিনিময় সভা:জুলাই বিপ্লব স্মরণে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এই মতবিনিময় সভায়। এছাড়া বক্তারা
বিএসপিপির পক্ষে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
অবিলম্বে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মোঃ নসরুল কদির চৌধুরী বলেন, “জনগণের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সুশাসন ও গণতন্ত্র। পেশাজীবীদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জনগণের পাশে দাঁড়ানো।”

ডা. খুরশীদ জামিল বলেন, স্বাস্থ্যখাতে রাজনীতির থাবা সাধারণ রোগীদের জীবনকে বিপন্ন করেছে। আমরা চিকিৎসকরা সবার আগে মানুষের পক্ষে কথা বলব।”

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই—আমরা আর চুপ করে থাকব না। আমরা সত্য বলব, জনগণের কথা বলব, এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।

এই জুলাই বিপ্লব আমাদের নতুনভাবে শেখাচ্ছে—কীভাবে সাহসিকতা ও নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে হয়। আমরা চাই, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হোক।”

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার বলেন,জুলাই বিপ্লবে চট্টগ্রামের আইনজীবীদের সাহসী ভূমিকা ছিল। জুলাই মাসে যখন দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়ে পড়েছিল, তখন দেশের অন্যান্য শ্রেণির পেশাজীবীদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের আইনজীবীরা অসামান্য সাহসিকতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁরা আদালতের ভেতরে ও বাইরে—উভয় ময়দানে ছিলেন সোচ্চার। সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার, গ্রেপ্তারকৃত রাজনৈতিক কর্মী ও সাংবাদিকদের পক্ষে দাঁড়িয়ে আইনজীবীরা প্রমাণ করেছেন—ন্যায়বিচার ও সংবিধান রক্ষার শেষ ভরসাস্থল এখনো জীবিত।

অনুষ্ঠানের সভাপতি জাহিদুল করিম কচি বলেন, এই মুহূর্তে পেশাজীবীদের ঐক্যই পারে দেশকে নতুন গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে। আর সেই ঐক্য ও সংগ্রামে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডা. জসিম উদ্দিন, ডা. তমিজ উদ্দিন, ডা. ইছা চৌধুরী, ডা. সারোয়ার আলম, ডা. ইমরুজ উদ্দীন, ডা. শামীম আলম মামুন, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, ডা. সাকিরুর রশীদ, ডা. হাসান উল বান্না, ডা. সায়েফ উদ্দিন সোহাগ, ডা. রিফাত কামাল রনি, ডা. আসিফ এবং ডা. তাশফীদ।

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি ও বিচার অঙ্গনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান আলী চৌধুরী, মহানগর পিপি মফিজুল হক ভুঁইয়া, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, স্পেশাল পিপি এম ইউ নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, তৌহিদুল ইসলাম, নুরুল করিম এবং মো. ওসমান।

প্রকৌশলী প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম, ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহীদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মো. আমিনুর রহমান (সুমন), ইঞ্জিনিয়ার মিসবাউল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ আলম এবং ইঞ্জিনিয়ার মামুনুল বাশরী।

সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুস্তফা নঈম (বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম, কালের কণ্ঠ), সালেহ নোমান সাধারন সম্পকদক সিএমইউজে, হাসান মুকুল (চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ, দিনকাল), এবং জাহাঙ্গীর আলম (চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ, বিজনেস বাংলাদেশ)।

ব্যাংকার প্রতিনিধি ছিলেন মেহেরাজ হোসেন খান এবং মিনহাজ উদ্দীন আহমেদ।শিক্ষক সমাজের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন এম এন শাপা ও মো. আবদুল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তি লায়ন জসিম উদ্দীন, সালাহ উদ্দীন আলী প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ