আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

দক্ষিণ খুলশীতে চসিকের মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রাম।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:




চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশে চলমান মশক নিধনের বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের দক্ষিণ খুলশীতে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

বৃহস্পতিবার পাহাড়তলী ওয়ার্ডের দক্ষিণ খুলশী ১ নম্বর রোডের একটি মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে এ কার্যক্রমের সূচনা করেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের মশক ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী এবং চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা- -কর্মচারীবৃন্দ।

চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরবাসীর স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব রোধে এ বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ধাপে ধাপে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গত ২৯ জুন শুরু হওয়া এই কার্যক্রম আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকার কথা থাকলেও প্রাদুর্ভাব না কমা পর্যন্ত এটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে লাগেজে মিলল ৯০ লাখ টাকার সিগারেট

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাহীন ছয়টি লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের এরাইভাল হলের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কর্নারের পাশ থেকে এসব লাগেজ উদ্ধার করা হয়। জব্দ হওয়া সিগারেট প্রতি কার্টন ১১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্য ধরে মোট ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, লাগেজগুলোর সঙ্গে কোনো যাত্রীর নাম, ট্যাগ বা মালিকানার কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কেউ লাগেজের দাবি না করায় সেগুলোকে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে লাগেজ খুলে ৮০০ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায় এবং তা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লাগেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

সিএমপির ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ১৬ থানার সব ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একযোগে বদলি করা হয়েছে। শনিবার সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠি সূত্রে জানা গেছে, কোতোয়ালী থানার ওসি আব্দুর রহিমকে পাঁচলাইশে, সদরঘাট থানার মো. আব্দুর রহিমকে বন্দর থানায়, বাকলিয়া থানার মো. আফতাব উদ্দীনকে কোতোয়ালীতে, পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. সোলায়মানকে বাকলিয়া থানায়, বায়েজিদ থানার ওসি জসিম উদ্দীনকে চান্দগাঁও থানায়, চান্দগাঁও থানার জাহেদুল কবিরকে বায়েজিদ থানায়,

খুলশী থানার শাহীনুল আমিনকে কর্ণফুলী থানায়, ডবলমুরিং থানার বাবুল আজাদকে চকবাজার থানায়, হালিশহর থানার নুরুল আবছারকে পাহাড়তলী থানায়, আকবরশাহ থানার মো. আরিফুর রহমানকে সদরঘাট থানায়, পাহাড়তলী থানার মো. জমির হোসেন মোহাম্মদ জিয়াকে ডবলমুরিং থানায়, কর্ণফুলী থানার জাহেদুল ইসলামকে খুলশী থানায়, বন্দর থানার ওসি মোস্তফা আহম্মেদক পতেঙ্গা থানায়, পতেঙ্গা থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ সুলতার আহসান উদ্দীনকে হালিশহর থানায়, ইপিজেড থানার কামরুজ্জামানকে আকবরশাহ থানায়, চকবাজার থানায় শফিকুল ইসলামকে সিটিএসবিতে বদলী করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ