
রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস-২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই-এ ০২ আগষ্ট ২০২৫ তারিখে ‘জুলাই চিত্র প্রদর্শনী’ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী কর্মী ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং কনস্যুলেট-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোঃ রাশেদুজ্জামান ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে কনসাল জেনারেল-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে জুলাই শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।অনুষ্ঠানে ২০২৪-এর জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অসামান্য ভূমিকার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয় যেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের বিশাল অবদান ও প্রবাসীদের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়।
আলোচনা সভায় অংশ নেয়া প্রবাসী কর্মী, বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্ট অভ্যূত্থানকালীন সময়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এবং দেশ ও কমিউনিটির কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান। এছাড়া, তারা বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে কনসাল জেনারেল জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীদের অসামান্য অবদানের কথা আরও একবার স্মরণ করেন। তিনি এই আন্দোলনে আমিরাতে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশীদের মুক্তির বিষয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি তিনি আমিরাতে বসবাসরত সকল প্রবাসীদের এ দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে কনস্যুলেট-এর সেবার মান উন্নয়নে অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন এবং প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণে কনস্যুলেট সবসময় তাদের পাশে থাকার কথা পূনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে চব্বিশের জুলাই-আগষ্ট মাসে নিহত শহিদদের রুহের মাগফিরাত, আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং দেশের উত্তোরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয় । কাউন্সেলর (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মোঃ আব্দুস সালাম অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা ও সার্বিক পরিচালনা করেন।


চট্টগ্রামের কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র (ওয়ার সিমেট্রি) থেকে ১৮ জন জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ উত্তোলন করে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৮০ বছর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত এসব জাপানি সৈন্যের দেহাবশেষ সমাধি থেকে তোলা হলো। সোমবার বিকেলে জাপান সরকারের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এসব দেহাবশেষ নিয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ কাজে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সহায়তা দিয়েছে।









