আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপি ও ওয়ার্ডের নবগঠিত কমিটি নিয়ে বিতর্ক, ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভে উত্তপ্ত ভাঙ্গুড়া।

প্রভাষক গিয়াস উদ্দিন সরদার পাবনা প্রতিনিধি।

ে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অভিযোগ দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়া ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও পারিবারিক আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে রাতের আঁধারে কমিটি গঠন করা হয়েছে।এতে ইউনিয়ন বিএনপি’র ভেতরে তীব্র অস্থিরতা দেখা দিয়েছে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওয়ার্ড কমিটি তৈরিতে ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নানের স্বাক্ষর পাওয়ার থাকলেও তার স্বাক্ষর ছাড়াই আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মোজাম ও সদস্য সচিব ওয়াজ উদ্দিন ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ড কমিটির তালিকা রাতের আঁধারে প্রস্তুত করে উপজেলা বিএনপি’র কাছে জমা দেন। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের পরামর্শ বা আলোচনা না করে গোপনে এই কমিটি গঠন করা হয়।

এতে দীর্ঘদিনের সংগ্রামী নেতারা নিজেদের অবহেলিত মনে করছেন। তারা দ্রুত এই ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবিতে চলতি বছরের ২৬ আগস্ট শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করে ইউনিয়নের ১৯টি গ্রাম ঘুরে নেতাকর্মীদের মতামত নেন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরদিন ২৭ আগস্ট আবারো নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতারা অষ্টমনিষা বাজারে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। সেখানে উপস্থিত নেতারা ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, যদি বিতর্কিত ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহ্বায়কদের বহিষ্কার করে কমিটি সংস্কার না করা হয়, তবে তারা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

এরপর ৩০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে তারা তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা ত্যাগী নেতারা অভিযুক্তদের আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তোলা বিভিন্ন ছবি ও পোস্টার প্রদর্শন করেন। এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। সাধারণ নেতাকর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

অষ্টমনিষা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যদি আরও বাড়ে তবে ইউনিয়নে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ব্যবসায়ী মহল বলছে, এর ফলে বাজার-ঘাটের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হবে। অনেকেই মনে করছেন, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিলে তরুণ প্রজন্মও রাজনীতি থেকে বিমুখ হয়ে পড়বে।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি’র ভেতরে দীর্ঘদিনের সংগ্রামীদের অবমূল্যায়ন করে যদি বিতর্কিত কমিটি বহাল থাকে তবে তা শুধু ইউনিয়ন নয়, উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ভাঙ্গুড়ার রাজনীতি নতুন সংঘাতের দিকে যেতে পারে।

৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: আলেপ আলী বলেন, “অভিযুক্তদের আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি আছে, সেসব প্রমাণ সবার সামনে এসেছে। অথচ তাদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়বো এবং সংগঠন ভাঙনের মুখে পড়বে।”

৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমরা রাজপথে লড়েছি, মামলা-মোকদ্দমা খেয়েছি, জেল খেটেছি। অথচ আমাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগপন্থীদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।”

২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, “আমি জেল খেটেছি। যাদেরকে দিয়ে কমিটি করা হয়েছে তারা কোনো দিন বিএনপি’র আন্দোলনে ছিল না।”

১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: আব্দুস সামাদ খান, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: জহুরুল ইসলাম ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ উদ্দিন বলেন, আমরা কত জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কতরাত বাড়ি থেকে পালিয়ে থেকেছি। অথচ কমিটিতে নেতারা আমাদের মূল্যায়ন করছে না। মূল্যায়ন পাচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন। এভাবে চলতে থাকলে একসময় বিএনপি’র রাজনীতি হারিয়ে যাবে।

ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মান্নান বলেন, উপজেলা বিএনপি’র নেতারা অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপি’র যাকে আহবায়ক দিয়েছেন তিনি সাবেক জামাত নেতা এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিল করে চলেছেন। এবং যাকে সদস্য সচিব করেছেন তিনি ২০১২ সালে যুবদলের সেক্রেটারি ছিলেন। এর পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সভাপতি কে ব্যবসায়িক পার্টনার বানিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকেছে। কিন্তু বিএনপি’র কোন দলীয় কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। অথচ তাকেই সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিএনপি’র রাজনীতি পরিবেশ নোংরা ও ঘোলাটে হয়েছে এবং অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপি’র মধ্যে যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এর থেকে যদি কোন সাংঘর্ষকের রূপ নেয় তাহলে আমি মনে করব যে এর জন্য দায়ী উপজেলা বিএনপি।

সদস্য সচিব ওয়াজ উদ্দিন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমি সবসময় দলের সঙ্গেই ছিলাম, ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। কেউ যদি আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততা প্রমাণ দিতে পারে আমি স্বইচ্ছায় আমার সদস্য সচিব পদ থেকে সরে দাঁড়াবো।”

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মোজাম বলেন, “আমি কখনোই জামাতের সাথে জড়িত ছিলাম না। মূলত আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রতিপক্ষ এ ধরনের কথাবার্তা বলছে। এবং আমি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রভাষক জাফর ইকবাল হিরোক বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে মৌখিক এবং লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি।

উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নূর মুজাহিদ স্বপন বলেন, অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপি’র ওয়ার্ড কমিটি কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে এমন একটা অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিবের বাড়ি এই ইউনিয়নে তাই তাকে সঙ্গে নিয়েই আমরা এই বিষয়টা নিষ্পত্তি করবো।

এদিকে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপি ও ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। ত্যাগী নেতারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারা কোনোভাবেই বিতর্কিত কমিটি মেনে নেবেন না। অন্যদিকে অভিযুক্ত নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করছেন। এখন দেখার বিষয় উপজেলা ও জেলা বিএনপি কী পদক্ষেপ নেয় এবং এ সংঘাত কীভাবে নিরসন করা হয়।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে : জামায়াত আমির।

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্খার বিজয় হবে কুরআনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিকে এই অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। দেশের সবকিছু তারা ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। বাংলাদেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিল রঙ দিয়ে শুয়ে ছিল। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।
আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

৮ দলের প্রধানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইসলামি শক্তিকে কেউ নিস্তব্ধ করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামপন্থীদের। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা কবে না।তিনি বলেন, আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চট্টগ্রামকে ইসলামের ঘাঁটি বানাই। চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। ৮ দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।

এটিএম আজহার বলেন, বাংলাদশ এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে বিদেশিরা এখানে পড়ালেখা করতে আসবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ি।খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়ের মাধ্যমে কোরআনের শাসন শুরু হবে। সোনার বাংলাদেশ দেখা শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখা শেষ- এবার আল কোরআনের বাংলাদেশ দেখতে চাই, ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের অধিকার চাই, মালিকানা কায়েম করতে চাই। গরিব মেহনতী মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ইসলাম যে বৈষম্যহীনের কথা বলা হয়েছে। পুঁজিবাদর অর্থ ব্যবস্থা করব দিয়ে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ও মালিকানা কায়েম করতে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার কবর তৈরি করে সেই ধ্বংস স্তূপের ওপর আল্লাহর কুরআনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিগত দিনগুলো শুধু উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়েছে। কিন্তু নিজেরাই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই তো উন্নয়ন। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সমাবেশে ৮ দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আলাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, খেলাফত মজসিলের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল আববার, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোতালেব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মুজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হোসেনপুরে বিএনপি নেতার খাবার বিতরণ।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়-কিশোরগঞ্জের-হোসেনপুরে পাঁচশত অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠ পৌর বিএনপির সভাপতি একে. এম. শফিকুল হক শফিকের উদ্যোগে নতুন বাজার মোড়ে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার মাসুম বাবুল, পৌর ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, পৌর ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোল্লা, জেলা জাসাস সদস্য স্বপন মিয়া, পৌর সদস্য সচিব রিমন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক পৌর রুমান মিয়া,

পৌর বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জজ মিয়াসহ পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।এ সময় পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এ কর্মসূচিতে অবস্থিত অসহায় মানুষরা খাবার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ