আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফ্যাসিবাদের দোসর দলবাজ সাংবাদিকরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে ।

প্রেস রিলিজ

তথ্য উপদেষ্টার গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যের আলোকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বিবৃতি

মাননীয় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার গণমাধ্যমে দেওয়া একটি বক্তব্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ‘ দখল করা’ সংক্রান্ত তথ্য উপদেষ্টার মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যদের মর্মাহত করেছে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, তথ্য উপদেষ্টাকে গণহত্যার উষ্কানিদাতা, ফ্যাসিবাদের দোসর দলবাজ সাংবাদিকরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে । প্রকৃত পক্ষে ৫ই আগস্ট বিকেলে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে ভারতীয় দালাল ও ফ্যাসিবাদের দোসর মুক্ত করেছিলো। সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে তালা লাগিয়ে দেয়। সৃস্ট অচলাবস্থা নিরসনে তৎকালীণ তথ্য উপদেষ্টা জনাব নাহিদ ইসলামের নির্দেশে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন অনুযায়ী ছাত্র জনতার আকাঙ্খার উপর ভিত্তি করে ২০২৪-এর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন কমিটি ঘোষণা করা হয়। গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করা, মুখরোচক সংবাদ পরিবেশন করে গণহত্যায় উষ্কানি দেয়া ছাড়াও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে পাশ্ববর্তী একটি দেশের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনসহ বিভিন্ন বিতর্কিত দিবস উদযাপন করে আসছিলো সংঘবদ্ধ চক্র।

চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের পাশাপাশি সর্বস্তরের ছাত্র জনতা তিন যুগ ধরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গজিয়ে উঠা দলবাজ চক্র- ফ্যাসিবাদের দোসর মুক্ত প্রেসক্লাব দেখতে চায় বলেই সরকার সেই উদ্দ্যেগ নিয়েছিলো। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা নিরসনে গ্রহনযোগ্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিক নেতাদের সমন্বয়ে অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছিলো।

কিন্তু সম্মানিত তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্যে চট্টগ্রামের ছাত্র জনতার অর্জনকে ‘দখল’ তকমা দিয়ে ছাত্রজনতার গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া চট্টগ্রামের ছাত্র জনতার অবদানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়েছে।

উল্লেখ করা প্রয়োজন অন্তবর্তী কমিটি গঠনকল্পে বিবদমান সাংবাদিকদের দুইপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন করে নাম দিতে বলা হলেও তৎকালীন কমিটি নাম জমা না দিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে সময় নিয়ে প্রতারণা করে আদালতের দারস্থ হন। ইতিমধ্যে ৩১ শে ডিসেম্বও ২০২৪ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে পুরোনো কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ (২ বছর) হয়ে যায়।

বছর জুড়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির নেতৃত্বে অধিকার বঞ্চিত প্রকৃত সাংবাদিকদের সদস্য পদ প্রদান, গণহত্যায় উষ্কানিদাতা সাংবাদিক নামধারী আওয়ামী লীগ কর্মীদের বহিষ্কার, ভবন থেকে বিতর্কিত কর্ণার ও ব্যক্তির ছবি অপসারণ, বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন করে জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হল করা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সমন্বয়কদের স্বীকৃতি স্মারক প্রদান’সহ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজে ইতিবাচক সফলতা দেখিয়েছে।

মাননীয় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের দেয়া মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নির্বাচন করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করলেও প্রকৃতচিত্রে ভিন্ন। মনে রাখা প্রয়োজন ছাত্র জনতা- সাংবাদিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ফ্যাসিবাদের ঘাঁটির পতন হয়েছিলো । যাচাই বাছাই করে প্রেসক্লাবে নতুন যোগ্য সদস্য অন্তভূক্তকরণ, সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার , সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুমোদন গ্রহনের আবেদন, ভোটার তালিকা তৈরির মতো প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে প্রেসক্লাবের নির্বাচন চায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী সাংবাদিকরা। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গণ অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে সমাবেশ ডাকাসহ গণহত্যায় উষ্কানিদাতাদের কোন স্থান হবে না মর্মে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অধিকাংশ সমন্বয়ক, ছাত্রনেতারাও। কারণ এসব দোসর সাংবাদিকরাই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে ভূমিকা না রেখে ফ্যাসিস্ট’ হাসিনাকে আরও হিংস্র হতে সাহস যুগিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রক্ত ঝরানোর ইন্ধনদাতা ‘দালাল’ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে সেই স্মারকলিপিতে।

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জুয়া চলছে মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি আপত্তিকর। আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন, ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবেও দীর্ঘসময় ধরে হাউজি খেলা চলে আসছে। সরকার অনুমোদিত হাউজির জন্য প্রেসক্লাবের হল ভাড়া দেয়া কোনভাবেই আইনের ব্যত্যয় নয়। বরং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দীর্ঘদিন ধরে ( আগের কমিটির সময়ও) হাউজির জন্য হলরুম ভাড়া দেয়া হয়ে আসছে – এটি নতুন কিছু নয়। ভাড়ার টাকায় প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ ছাড়াও সদস্যদের কল্যাণে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা করার রীতিও পুরোনো।

প্রসঙ্গত, প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান। এ প্রেসক্লাব বরাবরই দেশ ও জাতির দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে ভারতীয় তাঁবেদারীর ইজারাদার ও আওয়ামী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে এর পবিত্রতা ও ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এখনো চট্টগ্রামে ফ্যাসিবাদের দোসর একজন কথিত সাংবাদিককেও আইনের আওতায় আনা হয়নি। অথচ সাংবাদিক নামধারীরা জুলাই আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছিলো, নারী সাংবাদিকদের অপদস্ত করেছিলো। এদের কাউকে আইনের আওতায় না এনে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।


চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গাঙ্গেয় বদ্বীপের সংগীত ব্যক্তিত্ব যোগী স্বপন কুমার দাশ’র রচিত আধ্যাত্মিক ও দেহতত্ত্ব বিষয়ক গান নিয়ে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক কিরন শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলক ও প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম এর পরিচালক মো.মাহফুজুল হক। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর প্রখ্যাত সাধক শ্রীমৎ স্বামী সত্যানন্দ ব্রহ্মচারী’জীকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ‘খুঁজি তাঁরে’ অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা রাখাল চন্দ্র ঘোষ (যুদ্ধকালিন কমান্ডার), আব্দুর রহিম (লোক ও মরমি শিল্পী), রূপম ভট্টাচার্য (সাংবাদিক), স ম জিয়াউর রহমান(সাংবাদিক), দিদারুল ইসলাম (সংগীত পরিচালক ও কন্ঠ শিল্পী), তন্দ্রা দাশগুপ্তা, সংগীত শিল্পী সঞ্জয় রক্ষিত সহ প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত

ছিলেন পাপিয়া আহমেদ (সংগীত প্রযোজক বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম), অপু বর্মন (সংগীত শিল্পী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং সংগীত শিক্ষক জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম), অপু সেনগুপ্ত (বিশিষ্ট গীতিকার বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন), দীপ্ত দত্ত সংগীত শিল্পী (বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন)।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, খ্যাতনামা মরমি কন্ঠ শিল্পী শিমুল শীল, বাউল শিল্পী বাবুল শীল, অভিষেক দাশ, বাউল জুয়েল দ্বীপ, শিউলী চৌধুরী, আনন্দ প্রকৃতি(মো:তৌহিদুল ইসলাম), আধাত্মিক শিল্পী সুরনাথ, কাওয়ালী শিল্পী মেঘলা। ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি প্রতিযোগিতার সেরা কন্ঠ শিল্পী বাঁধন ঘোষ, ইন্দ্রিলা ঘরজা, মিম দাশ, অধরা চৌধুরী রাত্রি, আরাধ্যা মজুমদার, সৈয়দ রাসতিন, অরূপ কুমার শীল, ঊর্মি নাগ সংগীত পরিবেশন করেন।

যন্ত্র সংগীত শিল্পীতে ছিলেন- কীবোর্ডে রুবেল ঘোষ, অক্টোপ্যাডে পাপন, তবলায় উৎস, বাংলা ঢোলে হৃদয় বাঁশিতে নিলয়। সংগীত তত্বাবধানে যোগী স্বপন কুমার দাশ, অনুষ্ঠান তত্বাবধানে মো: মোহসীন(সাধারণ সম্পাদক, ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি সংসদ)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো: সাইফুর রহমান ও ববিতা ইসলাম।

তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে : জামায়াত আমির।

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্খার বিজয় হবে কুরআনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিকে এই অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। দেশের সবকিছু তারা ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। বাংলাদেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিল রঙ দিয়ে শুয়ে ছিল। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।
আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

৮ দলের প্রধানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইসলামি শক্তিকে কেউ নিস্তব্ধ করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামপন্থীদের। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা কবে না।তিনি বলেন, আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চট্টগ্রামকে ইসলামের ঘাঁটি বানাই। চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। ৮ দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।

এটিএম আজহার বলেন, বাংলাদশ এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে বিদেশিরা এখানে পড়ালেখা করতে আসবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ি।খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়ের মাধ্যমে কোরআনের শাসন শুরু হবে। সোনার বাংলাদেশ দেখা শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখা শেষ- এবার আল কোরআনের বাংলাদেশ দেখতে চাই, ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের অধিকার চাই, মালিকানা কায়েম করতে চাই। গরিব মেহনতী মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ইসলাম যে বৈষম্যহীনের কথা বলা হয়েছে। পুঁজিবাদর অর্থ ব্যবস্থা করব দিয়ে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ও মালিকানা কায়েম করতে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার কবর তৈরি করে সেই ধ্বংস স্তূপের ওপর আল্লাহর কুরআনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিগত দিনগুলো শুধু উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়েছে। কিন্তু নিজেরাই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই তো উন্নয়ন। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সমাবেশে ৮ দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আলাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, খেলাফত মজসিলের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল আববার, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোতালেব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মুজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ