আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে পাঁচ কারণে মারা পড়ছে হালদা নদীর ডলফিন বাস্তবায়ন দরকার ৮টি সুপারিশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে বিপন্ন হয়ে পড়ছে গাঙ্গেয় ডলফিন।এই নদীতে অস্তিত্বের সংকটে রয়েছে ডলফিন।হালদাতে যে ডলফিনের বিচরণ স্থানীয়ভাবে এগুলোকে হুতুম বা শুশুক বলা হয়। বাংলা নাম গাঙ্গেয় ডলফিন। বিশেষ করে পাঁচ কারণে মারা পড়ছে হালদার স্বাদু পানির ডলফিন। মূলত- আঘাত (ইঞ্জিন চালিত নৌযান, পাথর, দা-লাঠি ইত্যাদি), মাছ ধরা জালে আটকে পড়া, চর্বি সংগ্রহের জন্য হত্যা, দূষণের বিষক্রিয়ায় শিকার এবং প্রাকৃতিকভাবে মারা পড়ছে ডলফিন। বছর বছর মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে আরো বাড়ছে।

এদিকে ২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। ২০১৮ সালে হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরির জরিপ অনুযায়ী, হালদা নদীতে ডলফিন ছিল প্রায় ১৬৭টি। ২০২০ সালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুনরায় জরিপ করা হয় হালদায়। তখন ডলফিন পাওয়া যায় প্রায় ১২৭টি। এরমধ্যে ৩৩টি মারা যায়। সর্বশেষ ২০২২ সালের জরিপে হালদায় ডলফিন মিলেছে প্রায় ১৪৭টি।

গবেষকরা বলছেন, নদীতে মাত্রাতিরিক্ত ইঞ্জিনচালিত নৌযান, মাছ ধরার জাল, দূষণ, অবৈধ শিকার ও ড্রেজার থাকলে বিপন্ন হয় ডলফিনের প্রাণ। নদীর নিম্নাংশে বালুতট, বিভিন্ন খাল এবং অন্য নদীর সঙ্গে সংযোগস্থলেই বেশি বিচরণ করে ডলফিন। হালদায় গত ৮ বছরে যেসব ডলফিন মারা গেছে, তার ৯০ শতাংশেরই শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। জালে আটকা পড়া ডলফিন আধাঘণ্টার মধ্যে মুক্ত করা না হলে সেটির মৃত্যু হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীর বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় গাঙ্গেয় ডলফিন রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এ প্রজাতির ডলফিন খাদ্য শৃঙ্খলে একটি তৃতীয় স্তরের প্রাণি এবং প্রজাতিটি নদী বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। যদিও বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো প্রধান নদীতে প্রজাতিটি পাওয়া যায়, কিছু উজানের নদীসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলো প্রজাতিটির একটি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। গাঙ্গেয় ডলফিন নদী সংরক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি, যাদের সুরক্ষা অন্যান্য নরম আবরণের কচ্ছপ, ঘড়িয়াল এবং মসৃণ-আবরণের শুশুকসহ বিস্তৃত জলজ এবং বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের জীবনধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রজাতিটির সুরক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণ নদীর বাস্তুতন্ত্রের আরও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে, যা প্রকারান্তরে নদীর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ স্থানীয় সম্প্রদায়কে উপকৃত করবে।

জানতে চাইলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, হালদাকে সরকার হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। তারপরও হালদাতে বিপদে রয়েছে ডলফিন। তাই হালদা নিয়ে যত উন্নয়ন কাজ হবে, তাতে সমন্বিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নদীর জীববৈচিত্র্য ঠিক রেখে কাজ করতে হবে। অন্যথায় ডলফিন রক্ষা করা কঠিন হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশে এসব ডলফিন বিপন্ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিপন্ন ডলফিন। তাদের হিসাবে সারাবিশ্বের বিভিন্ন নদীতে এই গাঙ্গেয় ডলফিন আছে সবমিলে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০। সর্বাধিক ডলফিন থাকা চট্টগ্রামের হালদা নদীকেই এত দিন সবচেয়ে নিরাপদ আবাসস্থল বলে ধারণা করে আসছিল সংস্থাটি। কিন্তু তাদের এ ধারণা পাল্টে যাচ্ছে এখন। গত ৮ বছরে শুধু এই নদীতেই ডলফিন মারা গেছে ৪৬টি। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট হালদায় ৪৬তম ডলফিনটি মারা যায়।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত শুধু হালদাতেই গত ৮ বছরে ৪৬টি ডলফিন মারা গেছে। মূলত ৫ কারণে এসব ডলফিন মারা পড়ছে। বিপদে পড়া হালদার ডলফিন রক্ষায় এ মুহূর্তে ৮টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা দরকার। সুপারিশগুলো হচ্ছে- হালদায় ডলফিনের আবাসস্থলকে অভয়ারণ্য ঘোষণা, ড্রেজার ও যান্ত্রিকচালিত নৌকা চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ, জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ, হালদা ও এর শাখা খালের রাবারড্যাম অপসারণ, বন্যপ্রাণি ও মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, সিসি ক্যামেরা দ্বারা নদী মনিটরিং এবং জনসচেনতা বৃদ্ধি।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের ডলফিন প্রজাতির মাঝে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ডলফিন হলো শুশুক। বলা হয়, এরা সত্যিকারের নদীর ডলফিন। বিশেষ আকৃতির লম্বা ঠোঁট, পিঠে ছোট ডানা আর দুই পাশের বড় পাখনার কারণে সাগরের ডলফিন থেকে এরা কিছুটা ভিন্ন।

পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, হালদা ও সাঙ্গু নদীর প্রায় সব জায়গাতেই শুশুকের বাস। শুশুক ছাড়াও বঙ্গীয় অঞ্চলে আরও কয়েক প্রজাতির ডলফিন নদী ও সাগর উভয় স্থানেই দেখা যায়। যেমন ইরাবতী ডলফিন। সুন্দরবনের মিঠা পানির নদী আর বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে এরা বাস করে।নদীসহ যেসব উপকূলীয় জলাশয়ে নদী থেকে মিঠা পানি আসে, সেসব স্থানে ইরাবতী ডলফিন দেখা যায়। সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের জনপথে এরা শুশুকের সঙ্গে মিলেমিশেই থাকে। এছাড়া, গোলাপি ডলফিন মাঝে মধ্যে সুন্দরবনের নদীতে দেখা গেলেও এগুলোর আসলে উপকূলীয় জলভাগে বাস, যেখানে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নদী থেকে মিঠা পানি আসে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় সার কালোবাজারে বিক্রি: ডিলারকে জরিমানা, ১৫ বস্তা সার জব্দ।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে বিসিআইসি ডিলার সেলিম হোসেন কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দিয়ার পাড়া গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দের সার গোপনে চাটমোহরে পাচারের চেষ্টা করছিলেন ওই ডিলার। ভ্যানযোগে সার পরিবহনের সময় স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে গাড়ি আট কে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার সহ গাড়িটি আটক করে।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন,“সার (ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০০৬-এর ১২(৩) ধারা অনুযায়ী ডিলার কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ কৃত ৬ বস্তা ডিএপি, ৭ বস্তা ইউরিয়া ও ২ বস্তা পটাশ সার কৃষি অফিসের হেফাজতে রাখা হয়েছে।”

অভিযানের সময় উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শারমিন জাহান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার সেলিম হোসেন নিয়মিতই সরকারি সার চাহিদার তুলনায় কম দেন এবং বিক্রয় করেন।

উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন, যখন কৃষকরা সার সংকটে ভুগছেন, তখনই কিছু অসাধু ডিলার মুনাফার আশায় সার পাচার করছে। এর আগেও অভিযোগ করা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শারমিন জাহান বলেন, “মানুষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই পারেন। তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এখানে আমার কোনো গাফিলতি নেই। সরকারি সার সরবরাহ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ডিলারদের কার্যক্রম তদারকির জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া আছে। কোথাও অনিয়ম ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই ঘটনাটিও তদন্ত করা হবে। যদি যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সার কালোবাজারে বিক্রি করে থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বোয়ালখালীতে মাদক সেবনের দায়ে ৩ যুবকের কারাদণ্ড।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় মাদক সেবনের অপরাধে ৩ যুবককে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।একই সাথে প্রত্যেককে ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বোয়ালখালী পৌর সভার গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকার এ অভিযান পরিচালনা করে দণ্ডাদেশ প্রদান করেন বোয়ালখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বোয়ালখালী পৌর সদরের আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মদ ওসামা বিন হোসাইন জিয়া (২২), বোয়ালখালী পৌর সদরের আবু সাঈদের পুত্র নাজমুল হাসান (১৯) এবং বোয়ালখালী পৌর সভার পশ্চিম গোমদণ্ডী এলাকার মৃত নুরুন্নবীর পুত্র মোহাম্মদ নায়েম উদ্দিন (২৫)।

বোয়ালখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা বলেন, মাদকদ্রব্য সেবন করে নেশাগ্রস্হ অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অপরাধে তাদের আটক করা হয়। এরপর অভিযুক্তরা তাদের দোষ স্বীকার করেন ও ভবিষ্যতে মাদক সেবন করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন। দোষীদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৯(১)এর গ ধারায় ২ জনকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ জনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় ‘ঘ’ সার্কেলের উপপরিদৰ্শক একে এম আজাদ উদ্দিন বলেন, বোয়ালখালী পৌর সভার গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকার থেকে ইয়াবা সেবন অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। ওই সময় তাদের কাজ থেকে মাদকদ্রব্য সেবনের কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তিন জনকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ