আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখতে হবে : এবি পার্টির জনসমাবেশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী ডবলমুরিং চান্দগাঁও) আসনে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) হতে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী চৌধুরীর সমর্থনে বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সহ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন হায়দার আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এবি পার্টি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত এড. গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, আমার বাংলাদেশ পার্টি চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নেতৃত্বকারী দল।

প্রধান অতিথি ছিলেন, এবি পার্টি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-৫ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম। তিনি বলেন, জাতি অতীতের মিথ্যা আশ্বাস প্রদানকারী চাঁদাবাজি লুটপাট ও ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকে চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ থাকলে ভোটাররা এবি পার্টি-র প্রতীক ঈগল মার্কার প্রার্থীদেরকেই ভোট প্রদান করবেন। এবি পার্টি বহু যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও জননন্দিত প্রার্থীদেরকেই মনোনয়ন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় কমিটির বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১১ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রামের এই বিশাল সমাবেশ প্রমাণ করেছে, এবি পার্টি রাজনৈতিক অঙ্গনে নবাগত হলেও প্রার্থীদেরকে খাটো করে দেখার কোন সূযোগ নাই।

কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাচন ব্রান্ডিং সমন্বয়ক ছিদ্দিকুর রহমান বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে বলেন, ১৪০০ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভের কারণেই ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশে জনগণ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারবেন।

এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম-১০ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত এড. সৈয়দ আবুল কাশেম বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে বলেন, আমাদেরকে যে কোন মূল্যে চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখতে হবে। সভাপতির ভাষণে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন হায়দার আলী চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম-৯ আসনে নির্বাচিত হতে পারলে স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছর যাবত অবহেলা বঞ্চনায় জর্জরিত বৃহত্তর বাকলিয়া, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, টেরিবাজারসহ চট্টগ্রাম-৯ আসনের সমূদয় এলাকায় মেঘা প্রকল্প প্রণয়নের মাধ্যমে আধুনিক নগরীতে পরিণত করবেন।

মহানগর এবি পার্টি-র যুগ্ম সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জায়েদ হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি এবি পার্টর আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী বেগম ফারজানা আলম, এবি পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম বাবুল, চট্টগ্রাম মহানগর এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব জাবেদ ইকবাল প্রমূখ। এর আগে এক র‌্যালী কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় সার কালোবাজারে বিক্রি: ডিলারকে জরিমানা, ১৫ বস্তা সার জব্দ।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে বিসিআইসি ডিলার সেলিম হোসেন কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দিয়ার পাড়া গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দের সার গোপনে চাটমোহরে পাচারের চেষ্টা করছিলেন ওই ডিলার। ভ্যানযোগে সার পরিবহনের সময় স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে গাড়ি আট কে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার সহ গাড়িটি আটক করে।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন,“সার (ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০০৬-এর ১২(৩) ধারা অনুযায়ী ডিলার কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ কৃত ৬ বস্তা ডিএপি, ৭ বস্তা ইউরিয়া ও ২ বস্তা পটাশ সার কৃষি অফিসের হেফাজতে রাখা হয়েছে।”

অভিযানের সময় উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শারমিন জাহান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার সেলিম হোসেন নিয়মিতই সরকারি সার চাহিদার তুলনায় কম দেন এবং বিক্রয় করেন।

উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন, যখন কৃষকরা সার সংকটে ভুগছেন, তখনই কিছু অসাধু ডিলার মুনাফার আশায় সার পাচার করছে। এর আগেও অভিযোগ করা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শারমিন জাহান বলেন, “মানুষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই পারেন। তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এখানে আমার কোনো গাফিলতি নেই। সরকারি সার সরবরাহ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ডিলারদের কার্যক্রম তদারকির জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া আছে। কোথাও অনিয়ম ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই ঘটনাটিও তদন্ত করা হবে। যদি যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সার কালোবাজারে বিক্রি করে থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বোয়ালখালীতে মাদক সেবনের দায়ে ৩ যুবকের কারাদণ্ড।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় মাদক সেবনের অপরাধে ৩ যুবককে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।একই সাথে প্রত্যেককে ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বোয়ালখালী পৌর সভার গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকার এ অভিযান পরিচালনা করে দণ্ডাদেশ প্রদান করেন বোয়ালখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বোয়ালখালী পৌর সদরের আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মদ ওসামা বিন হোসাইন জিয়া (২২), বোয়ালখালী পৌর সদরের আবু সাঈদের পুত্র নাজমুল হাসান (১৯) এবং বোয়ালখালী পৌর সভার পশ্চিম গোমদণ্ডী এলাকার মৃত নুরুন্নবীর পুত্র মোহাম্মদ নায়েম উদ্দিন (২৫)।

বোয়ালখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা বলেন, মাদকদ্রব্য সেবন করে নেশাগ্রস্হ অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অপরাধে তাদের আটক করা হয়। এরপর অভিযুক্তরা তাদের দোষ স্বীকার করেন ও ভবিষ্যতে মাদক সেবন করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন। দোষীদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৯(১)এর গ ধারায় ২ জনকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ জনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় ‘ঘ’ সার্কেলের উপপরিদৰ্শক একে এম আজাদ উদ্দিন বলেন, বোয়ালখালী পৌর সভার গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকার থেকে ইয়াবা সেবন অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। ওই সময় তাদের কাজ থেকে মাদকদ্রব্য সেবনের কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তিন জনকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ