আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

কুতুবদিয়ায় শুরু হয়েছে শুঁটকি গুঁড়া উৎপাদন

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় শুঁটকি গুঁড়া উল্লৎপাদন শুরু হয়েছে। চলছে কেনা-বেচা। দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্র সৈকতে মশারী বিছিয়ে আহরিত মাছ গুলো ধুয়ে রোদে শুকিয়ে তৈরি করছে শুঁটকি গুঁড়া। পরে, এগুলো বস্তা ভরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীদের এ শুঁটকি গুড়া বিক্রি করে। এতে ভোলা চিংড়ি, কাঁকড়া, কুঁচিয়া, চামিলা, টেকচাঁদাসহ নানা প্রজাতির মাছ ও পোকা-মাকড় রয়েছে।

তাদের তথ্য মতে, দশক আগে এসব শুঁটকি গুঁড়া উৎপাদন শুরু হয়। তবে, লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় জেলে শ্রমিকেরা এ পণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকেছেন। এখন কুতুবদিয়ার শুঁটকি ৫০-৬০ টি মহলে এ পণ্য উৎপাদিত হয়।

জেলে শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, সাগরে মাছের সঙ্গে জেলেদের জালে ভোলা চিংড়ি, কাঁকড়া, কুচিয়া, চামিলা, টেকচাঁদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ও পোকামাকড় পাওয়া যায়। এগুলো তাদের ব্যয় কমানোর জন্য উপকূলে এনে শুঁটকিতে পরিণত করে। পরে, আলাদা প্রজাতি সনাক্ত করে বিক্রি করা হয়। যা মাছ ও মুরগীর খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করে।


কুতুবদিয়ার শুঁটকি গুঁড়া ব্যবসায়ী উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দিন এবং কৈয়ারবিল ইউনিয়নের রহিমুল্লাহ সহ অনেকেই জানিয়েছেন, কুতুবদিয়ায় কয়েক হাজার মানুষ শুঁটকি গুঁড়া উৎপাদন ও কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত। এখানে অন্তত ছোটোবড়ো ৫০-৬০টি মহলে শুঁটকি গুঁড়া উৎপাদন হয় এবং গোডাউনে মজুদ করে। পরে, সেখান থেকে শুঁটকি গুঁড়া বিক্রি করা হয়। তবে, এসব জেলে শ্রমিকেরা সরকারের কোন সহায়তা পায় না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বাড়ির সুরঙ্গ থেকে যুবলীগ নেতা আটক

বোয়ালখালীতে ঘরের আন্ডারগ্রাউন্ডে সুরঙ্গে লুকিয়ে থাকা যুবলীগ নেতা মো. শওকত হোসেন খোকন ওরফে খোকন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খোকনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে দেয়াল লিখন, পোস্টারিং করে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিল খোকন। তাকে ধরতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, সে অত্যন্ত দুর্ধর্ষ। কৌশলী ভূমিকা পালন করে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছিল। তার গতিবিধি নজরদারির মধ্যে দিয়ে অবশেষে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি জানান, মঙ্গলবার ফজরের নামাজ পরেই খোকনে বাড়ি এলাকায় অবস্থান করে পুলিশ। সে বাড়িতে প্রবেশ করার পরপরই অভিযান শুরু করা হয়। তবে ঘরে তাকে পাওয়া গেল না। পরে ঘরের টাইলসের নিচ দিয়ে তৈরি করা একটি আন্ডারগ্রাউন্ডের সন্ধান মেলে। সেই আন্ডারগ্রাউন্ডের এক সুরঙ্গ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খোকনে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খোকন উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছনদণ্ডী গ্রামের ফারুকী পাড়ার মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বলে জানা যায়।

পল্লবীতে ‘সখী বাহিনী’র পতন: কুখ্যাত ডাকাত সখী হোসেনসহ পাঁচজন আটক, স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়।

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় অবশেষে পর্দা নামলো দীর্ঘদিনের আতঙ্ক ‘সখী বাহিনী’র। ভয়ঙ্কর অপরাধচক্রটির মূল হোতা সখী হোসেনসহ পাঁচ সদস্যকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যায় পল্লবী থানা পুলিশ। অভিযানের একপর্যায়ে সখী বাহিনীর সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাবি কাটার সরঞ্জাম ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সখী হোসেন, চক্রের মূল হোতা; যার নামে একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে।২,সাবির হোসেন সজিব (২৪), রূপনগর থানার মাদক মামলার আসামি।৩.রাজু ওরফে বাদল,
৪.জুয়েল,৫.আসিফ হোসেন।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই চক্রটি পল্লবী, রূপনগর ও মিরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। সখী নিজেকে স্থানীয় ‘ডন’ হিসেবে পরিচয় দিত এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করতো।

পল্লবী থানার এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাদের পেছনে আরও বড় নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল।স্থানীয়দের ভাষায়, “রাতের বেলা ঘর থেকে বের হওয়া দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল। সখী বাহিনী ধরা পড়ার পর এলাকায় এখন শান্তি ফিরেছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ