
নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী বাজারে চলমান প্রকল্পের কাজে বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে একজন নিহতহ হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম সজল।সজলের বাড়ী পাবনার সাথীয়া থানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নারায়নগঞ্জ কর্তৃপক্ষের এজায়গাটি পাঁচরুখী বাজারে। এখানে সওজ এর
ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পাশেই রয়েছে আব্দুল মালেক মডার্ণ হাসপাতাল। হাসপাতালটিরও অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষের দেয়া তথ্যে জানা যায়। দূর্ঘটনাস্থল থেকে সজলের মৃত দেহ ডাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে,এমনটাই
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।


মোহাম্মদ জসিম নামে এক ব্যক্তির সড়কের পাশে তার এক শতাংশ জায়গা রয়েছে। উক্ত জায়গায় সড়ক ও জনপথের বিনা অনুমতিতে ১৫ থেকে ২০ ফুট গর্ত করা হয় এক্সেবেটর দিয়ে। এর ফলে বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়ে যায়। এতে করে হাই ভোল্টেজে বিদ্যুৎ লাইনে জড়িয়ে শ্রমিক সজলের মৃত্যু হয়। বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে মডার্ণ হাসপাতালের মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে অকেজো যায়, একই সাথে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় হাসপাতালের প্রায় ১ কোটি টাক্ষা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার পরদিন উক্ত এলাকায় ৫.৭ মাত্রার ভুমিকম্প হওয়ায় ফ্লাইওভারের কাজটিও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে মোহাম্মদ জসিমকে ফ্লাইওভার প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মাটির গর্ত না করার নিষেধ করলেও কিন্তু মোহাম্মদ জসিম অফিস আদেশকে তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে উক্ত জায়গায় কাজ চলমান রাখে। ফলে হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারের সাথে স্পর্শ লেগে শ্রমিক সজল মারা যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কোন লোক দূর্ঘটনাস্থলে আসেনি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দেখেছেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।


হাজী আব্দুল মালেক মডার্ণ হাসপাতালের মো. আল আমিন প্রধান জানান, ঢাকা-সিলেটের মহাসড়কে অবস্থিত নারায়নগঞ্জ আড়াই হাজার উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় আমার মালিকানাধীন একটি বেসরকারী হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতালের সামনের পশ্চিম দিকে রয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। সংযত কারণে সড়কের পাশে জায়গাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নারায়নগঞ্জের। সওজের জায়গা দখলে রেখে আমার হাসপাতালের আসা যাওয়া বাধাগ্রস্থ করতে মোহাম্মদ জসিম রাস্তার পাশে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসহ ১৫ থেকে ২০ ফুটের একটি গর্ত করে। এতে আমার হসাপাতাল ভবনের লাগোয়া গর্তের মাটি ধসে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি আমার হাসপাতালে হেলে পড়ে এবং আমার সপ্তম তলা বিশিষ্ট ভবনটি ক্ষতি হবার সম্ভবনা দেখ দিয়েছে এবং নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারও ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
মো. আল আমিন প্রধান আরো জানান, মোহাম্মদ জসিম সড়ক বিভাগের ওই জায়গা দখল করায় আমার হাসপাতালে চলাচলে বাধাগ্রস্থের বিষয়টি ইতিপূর্বে লিখিতভাবে আড়াই হাজার থানায় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। উক্ত বিষয়ে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা নং-৩২৪/২০২৫ দায়ের করেছিলাম। আদালত মোহাম্মদ জসিমকে এ মামলা থেকে অব্যহতি দিলেও আড়াই হাজার থানায় সহকারী কমিশনার (ভূমি),কে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত জায়গাটি সরকারের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
একই সাথে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে বলেন। কিন্তু জসিম রাস্তার পাশে নিজের এক শতক জমির পাশে সড়কের জায়গায় গর্ত করে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা নষ্ট করছেন এবং আমার হাসপাতালের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন। ইতিপূর্বে আমার দেয়া অভিযোগ প্রশাসন ও ভূমি অফিস জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করলে এ দূর্ঘটনা ঘটতোনা, এমনকী রাষ্ট্রীয় স্থাপনাও নষ্ট হতোনা।
এ ব্যাপারে আড়াই হাজার থানার কর্তৃপক্ষ যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করেবেন বলে গণমাধ্যমকে আশ্বস্থ করেছেন। বিদ্যুত বিভাগও আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এমনটি গন্যমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা। সড়ক বিভাগ নারায়নগঞ্জ জানান, আমরা সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
অভিযোগে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের দূর্নীতিগ্রস্থ কোন এক কর্মকর্তার সহযোগিতার করণে সরকারী এ জায়গা মোহাম্মদ জসিম দখলে রেখে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।,













