আজঃ রবিবার ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

এএসপি সত্যজিৎ কুমারের আগমন এবং ওসি সিরাজুল ইসলামের বিদায়ে লালমোহন প্রেসক্লাবের অবিমিশ্র এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ।

রিপন শান #

বাংলাদেশ পুলিশ লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলামের বিদায় এবং লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ এর আগমন উপলক্ষ্যে এক অবিমিশ্র বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে লালমোহন প্রেসক্লাব ।

বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও লালমোহন প্রেসক্লাবের আহবায়ক সোহেল আজিজ শাহীন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও লালমোহন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ শহিদুল ইসলামের হাওলাদারের স্বাগত বক্তব্য ও দৈনিক ইনকিলাবের লালমোহন প্রতিনিধি এসবি মিলনের সঞ্চালনায় ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় লালমোহন প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- দৈনিক মাতৃজগতের ডেপুটি ম্যানেজিং এডিটর ও দৈনিক অমৃতালোকের ফিচার এডিটর কবি রিপন শান এবং দৈনিক ইনকিলাবের ভোলা জেলা প্রতিনিধি শিক্ষাবিদ জহিরুল হক সেলিম ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- লালমোহন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রাম এর লালমোহন প্রতিনিধি মোঃ মাহবুব আলম, লালমোহন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নবনিযুক্ত সভাপতি ও দ্বীপকণ্ঠ নিউজ সম্পাদক মাহমুদ হাসান লিটন, লালমোহন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আমজাদ হোসেন খান, দৈনিক যুগান্তরের লালমোহন প্রতিনিধি জসিম জনি , লালমোহন প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমোহন সময় সম্পাদক শাহীন আলম মাকসুদ, দৈনিক আমার দেশ ও বাংলাদেশ বাণীর লালমোহন প্রতিনিধি মাওলানা আজিম উদ্দিন খাঁন, লালমোহন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য মোঃ মাকসুদ উল্লাহ ও মো: জসিম উদ্দিন, দৈনিক সংবাদের লালমোহন প্রতিনিধি শাহীন কুতুব, দৈনিক জনকন্ঠের লালমোহন প্রতিনিধি জাহিদ দুলাল, দৈনিক মানবজমিন ও ডেইলি অবজারভার এর লালমোহন প্রতিনিধি হাসান পিন্টু,


তরুণ প্রভাষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, দৈনিক খোলাকাগজের লালমোহন প্রতিনিধি মোঃ মুশফিকুর রহমান, দৈনিক রূপালি বাংলাদেশ এর লালমোহন প্রতিনিধি ইব্রাহিম আকাশ, দৈনিক বাংলার কণ্ঠের লালমোহন প্রতিনিধি আকবর জুয়েল অভি, দৈনিক বরিশাল বার্তার লালমোহন প্রতিনিধি মোঃ ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে হাকিম আহমেদ (২১) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর ) রাতে তাকে অসুস্থ অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে জানান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে পয়জনিংয়ের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় তার বন্ধু হযরত উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।
নিহত হাকিম আহমেদ খলিসাকুন্ডি ডিগ্রী কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী।সে দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের চকঘোগা পূর্বপাড়ার মোঃ হাসিবুল ইসলামের ছেলে। অসুস্থ অপরজন হলেন মোঃ হয়রত (২০)। সে একই গ্রামের বিচার উদ্দিনের ছেলে।

নিহত শিক্ষার্থীর চাচাতো ভাই মাসুম জানান, হাকিম তার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামের একটি লিচু বাগানে বসে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের দৌলতপুর হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাকিমের মৃত্যু হয়। এবং তার বন্ধু হযরত উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

বিচার ব্যবস্থায় মৌলিক রূপান্তর ইতিহাসে মাইলফলক : চট্টগ্রামে প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দ্রুত ও আধুনিক বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি ডেডিকেটেড বা বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার আহ্বান করে এসেছিল, যা শিগগিরই বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। তিনি বলেন, গত দেড় বছরে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সাংবিধানিক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিচার ব্যবস্থায় যে মৌলিক রূপান্তর সাধিত হয়েছে, তা দেশের বিচারিক ইতিহাসে এক মাইলফলক। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এক নতুন প্রাতিষ্ঠানিক যুগে প্রবেশ করেছে।

শনিবার সকালে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে-ভিউ হোটেলের কনফারেন্স কক্ষে বাণিজ্যিক আদালত নিয়ে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে ‘অপারেশনালাইজিং কমার্শিয়াল কোর্ট’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়নের মাধ্যমে বহুদিনের দ্বৈত প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা দূর হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবারের মতো পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন লাভ করেছে। এর ফলে বিচার বিভাগ এখন নিজস্বভাবে পদসৃজন, বাজেট বরাদ্দ, প্রশিক্ষণ উন্নয়ন, নীতিমালা প্রণয়নসহ বিচার সংস্কারকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই ধারা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
প্রধান বিচারপতি অন্তবর্তী সরকারের প্রশংসা করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবসমূহ সরকার দ্রুততার সঙ্গে অনুমোদন করেছে, যা শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যকে প্রতিফলিত করে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ