আজঃ বুধবার ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

দীর্ঘ আড়াই যুগ পানির অভাবে ‘মরুভূমি’ সিডিএ-কর্ণফুলী হাউজিং সোসাইটি

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

অবশেষে পানি সরবরাহে পাইপলাইন স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ছবি-১-২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কর্ণফুলী নদীর বামতীরে সিডিএ-কর্ণফুলী হাউজিং সোসাইটি দীর্গ প্রায় আড়াই যুগ ধরে পানির অভাবে ‘মরুভূমি’ হয়ে আছে। অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে চলমান পানি সংকট নিরসন হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি প্রকল্প থেকে পানি সরবরাহের জন্য পাইপলাইন স্থাপনে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর আগে গত ৩০ জুলাই কর্ণফুলী আবাসিকে ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পের পানি সরবরাহের বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও কর্ণফুলী আবাসিক প্লট মালিক সমিতির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর বামতীরে ১৯৯৪ সালে একটি আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এই আবাসিকে এখন পর্যন্ত নির্মিত হয়নি একটি ভবনও। দিনদুপুরেও যেখানে যেতে ভয় করে। আবাসিকের ভেতরে নেই কোন সড়কবাতি। সড়কগুলো ভেঙে ইট উঠে গেছে। সাধারণ মানুষের খুব একটা চলাচল নেই। তাই স্থানীয়দের কাছে এটি এখন জঙ্গল হিসেবে পরিচিত। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধুমাত্র পানির অভাবে ভবন মালিকরা এখানে ভবন নির্মাণ করতে আগ্রহী হননি। পানির সংকট কেটে গেলে বিদ্যুৎসহ অন্য সমস্যাও কেটে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, প্রায় ৩১ বছর ধরে পানির অভাবে ‘মরুভূমি’ হয়ে আছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্ণফুলী আবাসিক এলাকা। প্রায় তিন দশক পর ।বশেষে সেখানে সম্ভাবনা উঁকি দিতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার থেকে কর্ণফুলী আবাসিকে পানি নিয়ে গেলে এ আবাসিকে জনবসতি গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, পাইপলাইনের জন্য আমরা ওয়াসাকে ইতোমধ্যে পরিশোধ করেছি। ওয়াসা তাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের সাবেক পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, সিডিএ থেকে আমাদের পেমেন্ট করা হয়েছে। পাইপলাইনের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেখানে পাইপলাইন যেতে আরও ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপর কর্ণফুলী আবাসিকের বাসিন্দারা ওয়াসা থেকে পানি সরবরাহের জন্য অর্থ পরিশোধ করে দরখাস্ত দিলে ওয়াসা ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

উন্নত সমাজ বিনির্মাণে বেগম রোকেয়া নারী জাতিকে পথ দেখিয়েছেন : জেলা প্রশাসক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, নারী সমাজের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। কুসংস্কারমুক্ত উন্নত সমাজ বিনির্মাণে তিনি নারী জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। সমাজের বড় অংশ নারী এবং প্রত্যেক মেয়েরাই একেকজন বেগম রোকেয়া। এই নারী জাতি ছাড়া দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার আদর্শ ও উদ্দেশ্য ধারণ করে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজ অদম্য চিন্তা-ভাবনায় অনেকদূর এগিয়ে গেছে। সামনে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। বেগম রোকেয়ার মতো প্রত্যেক নারী নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও অদম্য নারী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আমিই বেগম রোকেয়া’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রযুক্তির এই দিনে নারী-পুরুষ উভয়কে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। অদম্য নারীরা অনেক ক্ষেত্রে ত্যাগ ও প্রতিকুলতাকে পেছনে ফেলে জীবন-সংগ্রাম করে এগিয়ে গেছে। সৎ মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাস থাকার কারণে তারা দেশে আজ স্বাবলম্বী হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছে। সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশ দিয়ে তারা আজ অদম্য নারী হিসেবে সরকারিভাবে সম্মাননা পাচ্ছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন এবং বাল্য বিবাহ রোধসহ প্রত্যেক অনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে নারীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।

তিনি বলেন,আমাদের একজন বেগম রোকেয়া আছেন। তিনি তাঁর সময়ের প্রতিকুলতা জয় করে নারীর জন্য কিছু করার কথা ভেবেছেন। সমাজে নারীদের মর্যাদার আসন দেয়ার জন্য বেগম রোকেয়া। যারা সাফল্য পেয়েছেন তারা দীর্ঘ সময় ধরে অনেক পরিশ্রম করে সফল হয়েছেন। আমরা নারীদের জন্য কাজ করছি। তাদেরকে হারিয়ে যেতে না দেওয়া, সামনে তুলে আনা ও সফল হতে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।

অনুষ্ঠান শেষে জেলা পর্যায়ে চার ক্যাটাগরিতে ৪ জন অদম্য নারীকে উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে সনদপত্রসহ সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। সম্মাননাপ্রাপ্ত সফল নারীরা হচ্ছেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী বোয়ালখালী পৌরসভা এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের রোহাই পাড়ার রতন দাশের মেয়ে শিপ্রা দাশ, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল আলিমের মেয়ে আসমা আকতার রুনা,

সফল জননী নারী সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা সেকান্দর কোম্পানী বাড়ির মোহাম্মদ হোসাইনের স্ত্রী রেজিয়া বেগম এবং নির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে জীবন সংগ্রামের জয়ী নারী সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার আবদুস সাত্তারের মেয়ে জান্নাতুল আদন। অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত সফল নারীরা তাদের জীবন-সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অসরকারী সংস্থা ইপসা’র কর্মকর্তা সেতার রুদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও অদম্য নারী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানঁ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া চৌধুরী।

বক্তব্য রাখেন অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইলমা’র প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু ও প্রত্যাশী’র সহকারী পরিচালক মোঃ সেলিম। অনুষ্ঠানে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলার নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, কোন কাজকেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। নারীদের প্রতি কোন ধরণের বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবিচার আমরা কামনা করি না। তারা দেশের উন্নয়নের অংশীদার।

তিনি আরও বরেন, সময় ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে একজন বেগম রোকেয়ার জন্ম হয়েছে। আমি যে কাজ করি তার চেয়ে আমার স্ত্রীর কাজগুলো অনেক কঠিন ও পরিশ্রমের। বেগম রোকেয়া নারী সমাজের জন্য সূর্য। নারী জাগরণের পথিকৃৎ হয়ে তিনি বিশ্বে স্বাক্ষর রেখেছেন। কুসংস্কার ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে বেরিয়ে আসতে বেগম রোকেয়া নারীদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তাই নারীদের মর্যাদা দেয়ার পাশাপাশি নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসন ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারী-পুরুষ উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বেও সকল নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানান তিনি।

বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরীফ উদ্দিন উপস্থিত সবাইকে নিজের পরিবারের সন্তানদের প্রতি কোন ধরণের বৈষম্য না করার আহবান জানান। তিনি বলেন, পরিবারে আমরা যদি সহিংসতা ও বৈষম্য দূর করে সন্তানদেও সুশিক্ষিত করতে পারি তাহলে রাষ্ট্র সুনাগরিক পাবে এবং দেশ এগিয়ে যাবে।

চট্টগ্রামে ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি ভাড়া বাসা থেকে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার রাতে বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা সহকর্মীদের।

মৃত নাঈম বিশ্বাস (২৫) চট্টগ্রামের এপিবিএন-৯ (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) এ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিবার নিয়ে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার চক্রেসো কানন আবাসিক এলাকায় তিনি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায়।

এদিকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে এপিবিএন- ৯ এর পুলিশ সুপার (এসপি) দীপকজ্যেতি খীসা জানান, বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নাঈম বিশ্বাসকে উদ্ধার করেন সহকর্মী এপিবিএন সদস্যরা। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন নাঈম বিশ্বাস। তার স্ত্রীও পুলিশ কনস্টেবল।

পুলিশ সুপার বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে দাম্পত্য ঝগড়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর নাঈম ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। প্রাথমিকভাবে আমাদেরও মনে হচ্ছে নাঈম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ