আজঃ বুধবার ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

মানবিক সহায়তায় আশার আলো অসহায়দের পাশে জেলা প্রশাসক।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চোখে আলো ফেরানোর স্বপ্ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার ঠান্ডা মিয়া ও আমেনা খাতুন দম্পত্তির মেয়ে বিবি আয়েশা। চিকিৎসকরা জানান, তার চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাঁচটি ইনজেকশন প্রয়োজন হলেও অর্থাভাবে তিনি নিতে পেরেছেন মাত্র দুটি।

প্রতিটি ইনজেকশনের দাম সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। অসুস্থ স্বামী মুক্তার আহমেদকে নিয়ে তার জীবনযাপন আরও দুর্বিষহ। একমাত্র ছেলে আলাদা থাকেন, খবর নেন না। মেয়েও ব্যস্ত নিজ সংসারে। ফলে অসহায় এই দম্পতির দেখভালের কেউ নেই।


শেষ ভরসা হিসেবে তিনি আজ বুধবার ( ১৭ ডিসেম্বর) দেখা করেন সারাদেশে মানবিক ডিসি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে। তার কথা শুনে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা দেন।সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিবি আয়েশা বলেন, “ডিসি স্যার আমার কথা মন দিয়ে শুনেছেন। শুধু সাহায্যই নয়, দোয়া করতে বলেছেন।”

একইভাবে পটিয়ার দক্ষিণ মনসা কুসুমপুরা ইউনিয়নের নুর জান্নাত হোসেন রাজমী হরমোনজনিত জটিল রোগে ভুগছে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজমীর শারীরিক গঠন চার বছরের শিশুর মতো। প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ইনজেকশন প্রয়োজন।


এর আগে সহায়তার আশ্বাস পেলেও কিছুই পাননি বলে অভিযোগ পরিবারের। এবার জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আশার আলো দেখছেন তার মা দিলোয়ারা বেগম।সাতকানিয়ার মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী দুজনেই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তাদের পাঁচ বছরের সন্তান মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা ব্যয়ে নিঃস্ব এই পরিবারও জেলা প্রশাসকের গণশুনানিতে সহায়তা পান।

চট্টগ্রাম বধির সংঘের সদস্য এস এম মোজাফফর হোসেন বলেন, “এমন মানবিক ডিসি আমরা আগে দেখিনি।”
জেলা প্রশাসন জানায়, বুধবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে ২৭ জন সেবাপ্রত্যাশীর সমস্যা শোনা হয় এবং চারজন গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা, ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এস আলম গ্রুপের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ্ওই টাকা আত্মসাৎ মামলায় গ্রুপটির কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরেক মামলায় ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দুইটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।বুধবার দুদক চট্টগ্রাম-১ কার্যালয়ে মামলা দুটি করা হয়েছে বলে সংস্থাটির উপ পরিচালক সুবেল আহমেদ জানিয়েছেন।

দুটি মামলার মধ্যে একটিতে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ২ হাজার ৩২ কোটি ৩০ লাখ ৪৫ হাজার ৯১৮ টাকা ৪০ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে দুদক। এ মামলায় সাইফুল আলম মাসুদকে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আব্দুল্লাহ হাসান, সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল আলমমহ এসআলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন পরিচালক ও জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে জনতা ব্যাংক থেকে ২০০৯ সালের ২৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৬ মার্চ পর্যন্ত কোভিড প্রণোদনা, এলটিআর লোনসহ বিভিন্ন উপায়ে ঋণ নিয়ে সুদেআসলে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অপর মামলা এস আলাম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের নামে ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৬ মার্চ বিভিন্ন ভাবে ঋণ নিয়ে সুদে-আসলে ১ হাজার ১৫২ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার ১০৭ টাকা ৫২ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই মামলায় এস আলাম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের পরিচালক শাহানা ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসকাত আহমেদ, জনতা ব্যাংকের ২হ জনসহ মোট ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের সূর্য সন্তান, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সংবর্ধনা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ৩৮ জন পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যকে সম্মাননা প্রদান করেছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এসব পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সের সিভিক সেন্টারে ‘পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলায় জন্ম নেওয়া মোট ৩৮ জন পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মাননা তুলে দেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন।

অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর বীর সদস্যদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়েই আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করেছি। পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা জাতির গর্ব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

তিনি বলেন, পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের সূর্য সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করাই বর্তমান ও আগামীর পুলিশ সদস্যদের নৈতিক দায়িত্ব। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আমন্ত্রিত অতিথিরাও উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ