আজঃ বুধবার ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

রিকশায় চড়ে মনোয়ান নিতে ডিসি অফিসে আমির হামজা।

হৃদয় রায়হান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিকশায় চড়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে এসে মনোনয়ন কিনলেন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আমির হামজা। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রিকশাযোগে ডিসি কার্যালয়ে পৌঁছান তিনি। এসময় তার সঙ্গে স্বল্পসংখ্যক নেতাকর্মী ছিলেন।

বিতর্কিত বক্তব্যে নিয়মিত আলোচনায় থাকা ইসলামী বক্তা ও জামায়াতে নেতা আমির হামজা সম্প্রতি অনেকটাই নীরব। গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে না তার চটকদার বক্তব্য। আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, এমন কাজ থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করছেন। আজকে রিকশাযোগে এসে আবারও নজর কাড়লেন গণমাধ্যম কর্মীদের।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর আমির হামজা বলেন, অনেকে চাচ্ছে নির্বাচন পিছিয়ে যাক এবং দেশটা অন্যের হাতে যাক। নির্বাচিত সরকার না এলে কি হয় আমরা তো দেখেছি। সুতরাং নির্বাচনে যে তারিখ ঘোষণা আছে আশাকরি সে তারিখই নির্বাচন হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে মাঠে আছি, সে হিসেবে নির্বাচনের পরিবেশ যেভাবে চলছে এভাবে চললে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মাজহারুল হক মমিন ও খায়রুল ইসলাম রবিন, কুষ্টিয়া শহর জামায়াত আমির এনামুল হক, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শরিফুল ইসলাম, সেক্রেটারি ডা. রায়হান আলী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান বোরহান ও আলী মুজাহিদ।

এছাড়া কুষ্টিয়া শহর শিবিরের সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, সাবেক সভাপতি সেলিম রেজাসহ জামায়াত ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বীরের বেশে আসছে ফিরে তারেক রহমান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কাছে বার বার পরাজিত হয়েছেন পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তিনি সুদূর লন্ডনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে পতন ঘটিয়েছেন হাসিনার ফ্যাসিবাদের। দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনের সংগ্রাম, ত্যাগ ও নির্বাসনের কঠিন অধ্যায় পেরিয়ে তিনি আজ আবার বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রে। তাঁর প্রত্যাবর্তন কেবল একজন নেতার ফেরা নয়-এটি গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রতীক। খুনী হাসিনা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান, দেশপ্রেমিক চেতনা ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা-সব মিলিয়ে তারেক রহমান আজ কোটি মানুষের আশার নাম।

এক-এগারো সরকারের কুশীলবদের ষড়যন্ত্রে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে নির্যাতনের শিকার হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সপরিবার লন্ডনে পাড়ি জমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান; পরে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। প্রায় ১৭ বছর ধরে লন্ডনে আছেন তিনি। সেখান থেকেই নিজ বাসায় বসে অনলাইনে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন দিনরাত নিরলসভাবে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছেন তিনি।

একটি ছোট রুম, থাকে থাকে সাজানো বই, একটি চেয়ার, একটি টেবিল-টেবিলের উপর ডাইরি, কলম, আর একটি কম্পিউটার সঙ্গী করে-আমাদের প্রিয় নেতা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে প্রবাসের মাটিতে থেকেও দলের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এই সীমিত পরিবেশে থেকেও তিনি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন, দেশ-বিদেশে নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর নিয়েছেন, দেশের মানুষের দুঃখ-কষ্টে পাশে থেকেছেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, সংকট দূরীকরণে নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছেন।

খুনী হাসিনার একটি স্বপ্ন ছিলো বিএনপি ভেঙে টুকরো টুকরো করবে কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কাছে খুনী হাসিনা বার বার পরাজয় বরণ করেন। ফিনিক্স পাখির মতো বার বার বিএনপির নেতা-কর্মীরা গায়েবি মামলার বেড়াজাল, গুম-খুন শতো কষ্ট উপেক্ষা করে প্রিয় নেতা তারেক রহমানের ডাকে রাজপথে নেমে আসে বার বার।

দেশবিরোধী অপতৎপরতা দেমে নেই তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঠেকাতে এবং আগামী নির্বাচন যাতে যথাসময়ে হতে না পারে সেজন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলমান। একদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র অসুস্থতার সময় তারেক রহমান কেনো দেশে আসে নাই মায়া কান্নার নাটক অন্যদিকে যখনই দেশে আসতে সব ঠিক করলেন তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি, দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

গত ১২ ডিসেম্বর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চে মুখপাত্র ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরীফ ওসমান বিন হাদি’র উপর নির্মম ভাবে দিনে-দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত পলাতক খুনী হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী হাদির মাথায় গুলি করেন। শহীদ হাদির জানাজার লাখো লাখো মানুষের জনস্রোত বলে দেয় এদেশের জনগণ বাংলাদেশ পন্থী এরা কারো গোলামী করবে না। তারেক রহমানের ঘোষণা সবার আগে বাংলাদেশ আজ ১৮ কোটি মানুষের হ্নদয়ে ধ্বনিত হচ্ছে।

বিএনপি ১২ ডিসেম্বর রাতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বার্তা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভার্চুয়াল মাধ্যমে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও অংশ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সব সময় চাঙা রেখেছেন, আগলে রেখেছেন। বিএনপি সহ দেশের মানুষ উনার বক্তব্যে, দিক, নির্দেশনাতে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন। খুনী হাসিনা গং উনার নেতৃত্ব কে সব সময় ভয় পেতো, তাই তারেক রহমানের নামে নানাবিধও প্রোপাগান্ডা অতীতের ন্যায় বর্তমানেও চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্র এখনও চলমান যা এদেশের মানুষের পাশাপাশি সারাবিশ্বের গণতান্ত্রিগামী মানুষ অবগত।

জুলাই যোদ্ধা ওসমান শরীফ হাদি ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছিল অন্তর্র্বতী সরকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যুর কাছে হার মানলেন বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পরেই ঢাকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শাহবাগে জমায়েত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

একটি দেশবিরোধী চক্র আবারও মেতে উঠে নতুন খেলায়। প্রথম আলো-ডেইলি স্টার অফিস ভাংচুর, আগুন দেয় ছায়ানট ভবনে। সব কিছুর পিছনেই দেশবিরোধী চক্রের হাত রয়েছে। তারেক রহমান দেশে আসলে নির্বাচন হবে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। এটা পলাতক হাসিনার বন্ধু রাষ্ট্র সহজে মেনে নিতে পারছে না। জিয়া পরিবারকে এদেশের জনগণের ভালোবাসা থেকে দুরে রাখতে সব আয়োজন করেছিলো হাসিনা গং। কিন্তু সত্য চিরন্তন জিয়া পরিবারই এদেশকে আপন করে নিয়েছে সকল সংকটে দেশের আপামর জনসাধারণের পাশেই ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এদিকে তারেক রহমান কে অভ্যর্থনা জানাতে গঠন করা কমিটির প্রধান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত বাণিজ্যক ফ্লাইটে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসছেন। ওইদিন ফ্লাইটটি ১১টা ৫৫ মিনিটে অবতরণ করবে তারেক রহমান কে বরণ করে নিতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যাপক প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

নানা অরাজনৈতিক সংগঠন ও দেশের আপামর জনসাধারণ তারেক রহমান কে স্বাগত জানাতে ঢাকার রাজপথে নেমে আসবে কারণ উনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি শুধু বিএনপির নেতা নন ১৮ কোটি মানুষের নেতায় পরিণত হয়েছেন। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রুপসা থেকে পাথুরিয়া আজ তারেক রহমানের আগমনে উচ্ছ্বসিত। চারিদিকে আজ একই রব বীরের বেশে আসছে ফিরে তারেক রহমান। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা সব ই একসূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এই ১ম তারেক রহমান বগুড়া-৬ থেকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।

সুদীর্ঘ প্রবাস জীবন ছেড়ে মা, মাটি ও মানুষের ডাকে এদেশ বির্নিমানে তারেক রহমান জনগণের পালস বুঝে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যাবেন এটা আমাদের সকলের চাওয়া। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র সুযোগ্য সন্তান, যিনি আজ নিজ যোগ্যতায়, নিজ কর্মগুনে, নেতৃত্বগুনে এদেশের আপামর জনসাধারণের কন্ঠস্বরে পরিনত হয়েছেন।

বাংলাদেশের স্টেটসম্যানে পরিনত হয়েছেন। ফ্যাসিস্টমুক্ত নতুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাহেন্দ্রক্ষণ এক অনন্য গৌরবময় অধ্যায়। দীর্ঘ লড়াই, ত্যাগ ও প্রত্যাশার পর গণমানুষের আকাঙ্খা ধারণ করে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন জাতির জন্য আশার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। লাল-সবুজের পতাকায় মোড়ানো মাতৃভূমিতে আপনাকে জানাই হৃদয়ের গভীরতম অভিনন্দন ও উষ্ণ স্বাগতম।

এই প্রত্যাবর্তন কেবল একজন নেতার দেশে ফেরা নয়; এটি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রতীক। দমন-পীড়ন, অন্যায় ও অন্ধকার সময় পেরিয়ে নতুন বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আপনার নেতৃত্বে দেশ আরও ঐক্যবদ্ধ হবে, মানুষের কণ্ঠস্বর শক্তিশালী হবে, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে-এই প্রত্যাশাই আজ সর্বত্র।

লাল-সবুজের প্রিয় মাতৃভূমি আপনাকে বরণ করে নিচ্ছে অগণিত মানুষের ভালোবাসা, বিশ্বাস ও আশার আলো নিয়ে। এগিয়ে যাক প্রিয় বাংলাদেশ-স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে।

লেখক: বি.এস.সি ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং,এল.এল.বি, সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী তারেক রহমান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। সে যুদ্ধের কনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা শিশু তারেক রহমান। বাবা তৎকালীন সেনা ব্যারেক থেকে দেশের প্রতি অঘাড় প্রেমে “বিদ্রোহ” ঘোষণার মাধ্যমের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে মেজর জিয়াউর রহমান যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিে যাদ্ধা মেজর জিয়ার স্বপরিবার কারাবন্দী ছিল। সে হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের শিশু বন্দী তারেক রহমানকে নিয়েই আমার অভিজ্ঞতায় ও দর্শনে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

তারেক রহমান এর সাথে আমার প্রথম স্বাক্ষাত ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরবর্তীতে চট্টগ্রামে এনেসল ম্যানশন মাঠে। বর্তমান কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ সভাপতি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মেয়র ও রাষ্ট্রদূত মীর মোঃ নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ইফতার মাহফিলের আলোচনা সভায়। আমি সে সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর রাজনীতি শেষ করে হাটহাজারী থানা জাসাসের সভাপতির দায়িত্বে এবং হাটহাজারী থানা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাংগঠনিক সচিব এর দায়িত্ব পালন করছিলাম। ইফতার মাহফিলে আজকের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আলোচনা সভায় ১৭ মিনিট অত্যন্ত বিনয়ী বক্তব্য রেখেছেন যা অনেকাংশে আবেগঘন ছিল। দোয়া ও মুনাজাত শেষে মাগরিবের আযান হল। আমি খুব নিকটেই ছিলাম। আগত প্রচুর নেতাকর্মীরা বসে-দাঁড়িয়ে আছেন। আমি লক্ষ্য করলাম তারেক রহমান ইফতার রত অবস্থায় নিজে ২টি খেজুর ও পানি পান করেই আগত নেতাকর্মীদের ইফতারের খবর নিতে নিজ আসন ছেড়ে সকলের মাঝে ঢুকে পড়ে।

উনার পাশে নেতৃবৃন্দ বিষয়টা প্রথমে কেউ খেয়ালই করলেন না। “ভোরের সূর্য উদয় হলে বুঝা যায় দিন কেমন যাবে” এ কথাটিই আসলেই যথার্থ। এটাই দেশপ্রেমিক ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি একজন আদর্শ নেতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। ১৯৯৬-২০০১ সালের বিএনপির রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো সাংগঠনিক কর্মকান্ড তিনি সুচিন্তিতভাবে রপ্ত করেছেন। তাই তো সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ২০০১ সালের বিএনপির ভূমিধস বিজয় কেউ ঠেকাতে পারে নি। মূলত: এ ভূমিধস বিজয়ই আজকের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র পর্যায়ক্রমে শুরু হতে থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের দলের মধ্যেও অন্য দলের ও দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র তৈরী করে ফেলেছেন। যার ফলে ১/১১ সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৭-২০০৮ সালের এ অবৈধ সরকারের রোষানলে শহীদ জিয়াউর রহমান এর পরিবারকে শেষ করার মিশন শুরু হয়েছিল।

যার জন্য আমাদের দলের চেয়ারপার্সন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়। বাদ পড়েনি রাজনীতির সাথে সক্রিয় না থাকা আরাফাত রহমান কোকো পর্যন্তও। তৎকালীন ১/১১ সরকারের আমলে সবচেয়ে নির্যাতনের স্বীকার তারেক রহমান। যে নির্যাতন করা হয়েছে তা আজীবনের জন্য পঙ্গুঁ করে দিয়েছিলেন। “রাখে আল্লাহ মারে কে”- আমাদের রব বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত “ দেশের কল্যাণে ১৯ দফা কর্মসূচী এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ এর কাজ আরো যুগ-উপযোগী করার লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল গণতন্ত্রকামী দল, দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের পরামর্শের ভিত্তিতে “রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা” রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য ২০২৩ সালেই বিএনপি’র পক্ষে ঘোষণা করেছেন।

যা একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, কৃষি-শিক্ষা বিপ্লব, স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প উন্নয়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ের উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। এবার আসা যাক ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিপ্লব পর্যন্ত। তারেক রহমানের প্রতি পতিত সরকারের আক্রমণমূলক কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। ১/১১ সংস্কারের সাজানো সকল মামলায় সাজা দিয়ে তারেক রহমান কে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

দেশের সকল গণমাধ্যমে তাঁর সংবাদ প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে। পতিত সরকার ও বিদেশী অপশক্তি গুলো ধরে নিয়েছিল বিএনপিকে শেষ করলেই তারাই দেশের মালিক এবং তারাই ক্ষমতাই। বাংলাদেশে জনগণ ঐতিহাসিক ভাবেই গণতন্ত্রপ্রিয় এবং প্রকৃত স্বাধীনতাই বিশ্বাসী। তাই সকল অশুভ শক্তিকে, বুলেটকে ভয় না করেই ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সর্বস্তরের জনগণ ঐতিহাসিক অধ্যায়ে সূচিত হয়েছে “জুলাই বিপ্লব”। সূদুঢ় প্রবাস থেকে বাংলাদেশের আন্দোলন রত জনগণকে তারেক রহমান রাত দিন সাহস যুগিয়েছেন। দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থান ভিত্তিক আন্দোলনের পরিকল্পনা। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীলদের সজাগ দৃষ্টি রেখে আন্দোলন তীব্র করার এবং আন্দোলনরত অপরাপর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার নির্দেশনাই জুলাই-বিপ্লব সফল হয়েছিল।

জুলাই বিপ্লব পরবর্তী দশদিনেই দেশের জনগণের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যে বার্তা “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কঠিন নির্বাচন হবে” -এ উক্তিটিই তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয়কে অনেকাংশে সামনে নিয়ে আসছে। দলের নেতাকর্মীদেরকে সর্তক করেছেন ও সাহসিকতার সাথে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৫ বছরেও জনগণ এখনও হতাশায় নিমজ্জিত। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসবেন ঘোষণা দেয়ার পূর্ব মুহুর্তেই দেশে ভয়-ভীতি সৃষ্টির লক্ষ্যে জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের সমন্বয়ক ওসমান হাদিকে হামলা করলো এবং পরে শহীদ হল। এটিও ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষ থেকে একটি বার্তা।
এ বার্তাটাই আমাদের দলের এবং অপরাপর সকল গণতান্ত্রিক দলের কর্মকান্ডে প্রতিফলন ঘটাতে হবে এবং সকলকেই সর্তক থাকতে হবে। ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আগামী দিনের বিএনপির কর্ণধার শহীদ জিয়া ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমগ্র দেশের জন্য আনন্দের এবং এই আনন্দ দেশপ্রেমিক জনগণের। তারেক রহমান শুধু দলের সম্পদ নয়, তারেক রহমান সমগ্র বাংলাদেশের সম্পদে পরিণত হয়েছে। যার জন্যই ষড়যন্ত্র আরো তীব্র হচ্ছে।

বিএনপি ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লব, ১৯৯০ সালের গণ আন্দোলন এবং ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে বাংলাদেশে রাজনীতি করেছে, করছে এবং করবে। শহীদ জিয়ার বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে আপোষহীন নেত্রী হিসেবে দেশের প্রথম জনপ্রিয় মহিলা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালন এই ধারাবাহিকতায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আধুনিক রাষ্ট্র বির্নিমাণে আগামী দিনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক, বাক-স্বাধীনতা, গণ-মাধ্যমের স্বাধীনতা, বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি, সুনির্দিষ্ট প্রকৃত শিক্ষানীতি, উন্নত চিকিৎসা সেবা। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সকল ধর্মের বর্ণের সহ অবস্থান নিশ্চিত সহ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী তারেক রহমান। এটাই স্বাধীনতার ৫৫ বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর আশা ও প্রত্যাশ্যা।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ