আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু

সাভারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ‍্যাংয়ের হামলার ঘটনায় আহত আকাশ মাহমুদ (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত আরও ৩ জন সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি আছেন।

বুধবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এনাম মেডিকেল কলেজের ডিউটি অফিসার ইউসুফ আলী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত আকাশ মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার কল‍্যানপুর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে। তিনি সাভারের ব্যাংক কলোনি কাস্টম রোডে একটি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। 

এর আগে আরিচা মহাসড়কের সাভারের রাজ্জাক প্লাজা ও সুপার ক্লিনিক সংলগ্ন একটি খাবার হোটেলের ভেতর পিনিক রাব্বি গ্রুপের উপর হৃদয় গ্রুপ হামলা চালালে পিনিক রাব্বি গ্রুপের আকাশসহ ৪ জন আহত হন।  

নিহতের বাবা আবুল বাশার বলেন, আকাশ একটি কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতো। সে অফিসের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর রাত ৮টায় জানতে পারি হৃদয় গ্রুপের লোকজন তাকে কুপিয়ে আহত করেছে। আজ সকালে সে মারা যায়। আমি দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দাবি করছি। 

এলাকাবাসী জানায়, পিনিক রাব্বি ও হৃদয় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত। দুই গ্রুপের সদস্যরাই চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে চলেছে। তাদের জন্য সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুদীপ কুমার গোপ জানান, ঘটনার পর দুজনেক গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে পরিচয় দেয়া যাচ্ছে না। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব‍্যাহত আছে। 

প্রসঙ্গত, কিশোর গ্যাংয়ের প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে পিনিক রাব্বি ও হৃদয় গ্রুপের মধ্যে গত ৯ জুলাই সংঘর্ষ হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দাড়িপাল্লার বিজয়ে কোমর বেঁধে নামতে হবে — অধ্যক্ষ হেলালী


চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেছেন, “আগামী নির্বাচন হবে সত্য ও মিথ্যার, ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। তাই সবাইকে সম্মুখ সমরে জিহাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দাড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে হবে।”

১১ অক্টোবর সকালে পাঁচলাইশ থানাধীন ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড কেন্দ্র কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হেলালী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতের কর্মীরা সবসময় প্রথম সারিতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অধ্যক্ষ হেলালী আরও বলেন, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সৎ, ত্যাগী ও নীতিবান নেতৃত্ব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনই আজকের সময়ের দাবি। তিনি প্রত্যেক কর্মীকে জনগণের মাঝে দাড়িপাল্লার আদর্শ প্রচারে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচন পরিচালক ও হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ।

সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আইনজীবী থানার আমীর অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান, পাঁচলাইশ থানা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হোসাইন, শফিউল আজিম মন্টি, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, শহীদুল্লাহ তালুকদার, নুরুল ইসলাম, ইমরান সিকদার, গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, আল আমিন ভূঁইয়া ও ইফতেখার হোসাইন।

বক্তারা বলেন, দাড়িপাল্লার বিজয়ের মধ্য দিয়েই দেশ পাবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব ও সুশাসনের নিশ্চয়তা।

নেত্রকোনায় হুইল চেয়ার বিতরণ।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানীতে অংশ নিয়ে গত বুধবার তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নিকট হুইল চেয়ারের আবেদন করেন।

এরই প্রেক্ষিত মঙ্গলবার সকালে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুন মুন জাহান লিজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন, সর্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা বিনতে রফিক, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা সঞ্জীব চক্রবর্তী প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, প্রতি বুধবার জেলার বিভিন্ন এলাক হতে আগত সাধারন নাগরিকদের জন্য গণশুনানীর কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ