আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ

মোঃ রফিকুল ইসলাম

কারিগরি ত্রুটির কারণে শনিবার থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।  সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-পরিচালক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটের কারণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়েছিল।  

আনোয়ারুল আজিম জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে শনিবার রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।  আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারো উৎপাদন শুরু করা হবে। 

বর্তমানে কয়লা সংকট নেই বলে দাবি করেন তিনি।

উপ-পরিচালক আরও বলেন, বর্তমানে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ রয়েছে। বেশ কিছু কয়লা আমদানি করা হয়েছে; যা এখন পথে রয়েছে।  দ্রুত সময়ের মধ্যে সমুদ্র পথে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে পৌঁছবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ার নি‌খোঁজ শ্রমিকদল নেতার লাশ ফ‌রিদপু‌রে উদ্ধার।


কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শ্রমিক দল নেতা আবেদুর রহমান আন্নুর (৫৩) লাশ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। গতকাল সোমবার সন্ধ‌্যায় ফ‌রিদপুর জেলার পদ্মা নদী সংলগ্ন ডি‌ক্রির চর ইউনিয়‌নের ক‌বিরপুর এলাকা থে‌কে নৌ-পু‌লিশ অর্ধগ‌লিত লাশটি উদ্ধার ক‌রে‌। প‌রে প‌রিবা‌রের সদস‌্যরা আন্নুর প‌রিচয় নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সা‌ড়ে ৯টায় ফ‌রিদপুর অঞ্চ‌লের ‌কোতয়া‌লি নৌ ফাঁ‌ড়ির পু‌লিশ প‌রিদর্শক না‌সিম আহ‌ম্মেদ এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

নিহত আবেদুর রহমান আন্নু কু‌ষ্টিয়া জেলা শ্রমিক দ‌লের যুগ্ম সম্পাদক। এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে তি‌নি সদর উপ‌জেলার হাটশ হরিপুর এলাকার পদ্মানদী থে‌কে নি‌খোঁজ হন। নি‌খোঁ‌জের পরদিন আন্নুর স্ত্রী জিয়াসমিন আরা রুমা কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এদি‌কে ফায়ার সার্ভিস ও খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল টানা দুই দিন উদ্ধার অভিযান চালিয়েও আন্নু‌কে খুঁ‌জে পে‌তে ব্যর্থ হয়।

সাধারণ ডা‌য়েরী‌ সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে আন্নু পদ্মা নদীর হাটশ হরিপুর মোহনায় মাছ কেনার উদ্দেশে যান। সকাল ১১টার দিকে চর ভবানীপুর এলাকায় যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই বাল্কহেড ট্রলারের সঙ্গে তাঁর ডিঙ্গি নৌকার ধাক্কা লাগে। এতে আন্নু ও নৌকার মাঝি পানিতে পড়ে যান। স্থানীয় জেলেরা নৌকার মাঝিকে উদ্ধার করলেও আন্নুর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আরদেশ আলী জানান, দুদিন চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিহ‌তের ভা‌তিজা অর্ণব হাসান ব‌লেন, রা‌তেই লাশের ছ‌বি দে‌খে আমরা নি‌শ্চিত হ‌য়ে‌ছি উদ্ধার হওয়া লাশ আমার চাচার। নৌ ফাঁ‌ড়ির পু‌লিশ প‌রিদর্শক না‌সিম আহ‌ম্মেদ ব‌লেন, প‌রিবা‌রের সদস‌্যরা ফাঁ‌ড়ি‌তে আছেন। তারাই লাশ সনাক্ত ক‌রে‌ছেন। লা‌শের শরী‌রে আঘা‌তের তেমন কোন চিহৃ পাওয়া যায়‌নি। কিছু আইনগত প্রক্রিয়া আছে। সেগু‌লো শেষ ক‌রে লাশ হস্তান্তর করা হ‌বে।

কু‌ষ্টিয়া ম‌ডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোশারফ হো‌সেন ব‌লেন, নৌ পুলিশ লাশ‌ উদ্ধার ক‌রে‌ছে। আন্নু নি‌খোঁ‌জের ঘটনায় তার স্ত্রী থানায় জি‌ডি ক‌রে‌ছি‌লেন।

হালদা নদী রক্ষায় গেজেট পরিবর্তন করা হবে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গেজেট পরিবর্তন না হওয়ায় হালদা নদীর উন্নয়নমূলক অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে তাই হালদা নদী রক্ষায় গেজেট পরিবর্তন করা হবে। তিনি বলেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদী দূষণ বন্ধ করা হবে।

তিনি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটি’র ১৫তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, হালদা নদী উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে একযোগে ও সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য আজকের সভা থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে হালদা নদী রক্ষায় ডিপিপি ও চলমান প্রকল্পের বাইরে থেকেও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে গবেষণা করতে হবে।হালদা নদী রক্ষায় সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্প মানে শুধু অর্থ ব্যয় নয়; বরং প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে সঠিক পরিকল্পনা, কার্যকর বাস্তবায়ন ও তদারকি অত্যন্ত জরুরি।

তামাক চাষ বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তামাক চাষের কারণে হালদা নদীর তীরবর্তী ভূমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, যা নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি তামাক চাষ বন্ধে কৃষকদের বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি করতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, হালদা নদীকে তামাক চাষমুক্ত করতে হবে; এ লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, হালদা নদী রক্ষায় গভীরভাবে পর্যালোচনা করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ের মধ্যেই হালদা নদী সংরক্ষণ ও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় যেসব কাজ করার প্রয়োজন তা করা হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন এতে সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস.এম.মনিরুজ্জামান। সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুসরাত সুলতানা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা বেগম-সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে ‘হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’-এর লক্ষ্যমাত্রা ও অগ্রগতি বিষয়ে উপস্থাপনা করেন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। পরবর্তী পর্যায়ে হালদা নদীর সমস্যা, সম্ভাবনা ও সমাধানের উপায় বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল কিবরীয়া। সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ