আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে থানায় নেওয়ার পর সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃ*ত্যু, ২ পুলিশ প্রত্যাহার।

চট্টগ্রাম অফিস:

থানা হেফাজতে দুদকের সাবেক এক কর্মকর্তার মৃ*ত্যুর একদিন পর চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে তাদের দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) স্পীনা রাণী প্রামানিক।

দুই পুলিশ সদস্য হলেন- এএসআই ইউসুফ আলী ও এটিএম সোহেল রানা। ‘প্রশাসনিক কারণে’ তাদের প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এমএ মাসুদের সই করা আদেশে।

বন্দর নগরীর এক কিলোমিটার এলাকা থেকে মঙ্গলবার দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক সৈয়দ মো. শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় চান্দগাঁও থানার দুই পুলিশ সদস্য। পরে থানায় অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃ*ত ঘোষণা করেন।

শহীদুল্লাহর ছেলে নাফিস শহীদ বলেন, “যে মামলায় আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। রাতে বাসার কাছে রাস্তা থেকে সাদা পোশাকের দুই পুলিশ সদস্য তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।

নাফিসের অভিযোগ, তার বাবাকে পুলিশ ‘জোর করে টেনে-হিঁচড়ে’ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রতিবেশী লোকজন তাদের জানান। ঘটনা শুনে তার চাচা ও ফুফাত ভাই চান্দগাঁও থানায় গেলেও তাদের সেখানে ‘প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি’।

“আমার বাবা হৃদরোগী ছিলেন। আগে তার বাইপাস হয়েছিল। সেজন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চলতে হয়। আমার চাচা থানায় ওষুধ নিয়ে গেলেও তাকে সেগুলো আমার বাবার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি পুলিশ।

পুলিশ বলছে, রনি আক্তার তানিয়া নামে এক নারীর করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় শহীদুল্লাহকে। ওই নারী নিজেকে ‘শহীদুল্লাহর বাসার গৃহকর্মী’ দাবি করেন। বেতনের ‘বকেয়া টাকা আনতে বাসায় যাওয়ায়’ গত ২৩ অগাস্ট রাতে তাকে শহীদুল্লাহ ও তাদের আত্মীয় কায়সার আনোয়ার ‘মারধর করেছিলেন’ বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এ মামলায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ২ অক্টোবর এএসআই ইউসুফ আলীকে পরোয়ানা তামিলের আদেশ জারি করা হয়।

শহীদুল্লাহকে পরোয়ানামূলে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়ে চান্দগাঁও থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে হাজতে রাখা হয়নি। তার কক্ষে বসানো হয়েছিল। এসময় অসুস্থবোধ করেন শহীদুল্লাহ। পরিবারের সদস্যরাসহ তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে ওই মামলাকে ‘ভুয়া’ দাবি করেন শহীদুল্লাহর ছেলে নাফিস বলেন, “আমাদের বাসায় রনি আক্তার তানিয়া নামে কোনো গৃহকর্মী ছিলেন না। চাঁদা দাবি ও ভাঙচুরের অভিযোগে স্থানীয় কিছু লোকের বিরুদ্ধে আমার বাবা আগে একটি মামলা করেছিলেন। তারা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে আসামিরা রনি আক্তার তানিয়া নামে ওই নারীকে দিয়ে ‘ভুয়া মামলা’ করিয়েছেন।

তিনি বলেন, “থানায় বাবা (শহীদুল্লাহ) অসুস্থবোধ করলে তখন পুলিশ এসে কোনো স্বজন বাইরে আছে কিনা জানতে চান। এসময় আমার চাচা থানায় প্রবেশ করে দেখেন, আমার বাবা টেবিলে মাথা নিচু করে আছে। তখন তাকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

সাতকানিয়া কেরানীহাটে মোবাইল কোর্টের অভিযান, ৯৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক নির্দেশনায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে বুধবার (১২- মার্চ) বিকাল ৩ টায় সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।


এসময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আম্মাজান পাজ্ঞাবি বিতান কে ২৫,০০০/-টাকা, রিমেক্স 69 কে ১৫,০০০/- টাকা, শৈল্পিক কে ১,০০০/- টাকা, আরটিক্স কে ৫,০০০/- টাকা, সু-বাজার কে ৫০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। মোট ৫ টি মামলায় সর্বমোট ৯৬,০০০/-টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস।

এসময় সহকারী কমিশনার(ভূমি) জনাব ফারিস্তা করিম, উপজেলা মৎস অফিসার জাকিয়া আবেদিন, ইলেক্ট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ