আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে খবরের কাগজের ব্যুরো অফিস উদ্বোধন।

এম মনির চৌধুরী রানা:

চট্টগ্রামে জমকালো আয়োজনে দৈনিক খবরের কাগজের ব্যুরো অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) নগরীর আসকারদিঘীর পাড়ে কর্ণফুলী টাওয়ারের পঞ্চম তলায় দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মুক্ত চিন্তার স্বাধীন দৈনিক খবরের কাগজ চট্টগ্রাম অফিসের ব্যুরো প্রধান এস এম ইফতেখারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

এ সময় এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ” দৈনিক খবরের কাগজ ” পত্রিকার প্রকাশনা শুরু হয়েছে আর ও আগে। আজ পত্রিকাটির চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এমন একটা দিনে উদ্বোধন হচ্ছে, আজ ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস। আমাদের আবেগ, আমাদের স্মৃতির একটি দিন। আমরা জানি, অতীতে শত শত পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু অনেকেই টিকে থাকতে পারেনি। তার কারণ হলো পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ওপর মানুষের আগে যে আস্থা ছিল, এখন তা অনেকাংশে খর্ব হয়েছে।

স্বাধীনতার আগের সময়ে যদি আমরা ফিরে যাই, ওই সময় পত্রিকার পাতায় ছাপানো খবর বা সম্পাদকীয় পড়ে মানুষ উদ্বুদ্ধ হতো। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন মুসাফির, দরবারে জহুর, আবুল মনসুর আহমেদের কলাম, আবদুল গাফফার চৌধুরীর কলাম পড়ে মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের জন্য এ লেখাগুলো মানুষকে প্রস্তুত করে রেখেছিল। দেশ স্বাধীন হবার পর ও কিন্তু এ দেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এ কাগজগুলো যথেষ্ঠ অবদান রেখেছে।

এখনো অবদান রেখে যাচ্ছে। যারা অবদান রাখছে, ওই পত্রিকাগুলোই এখনো টিকে আছে। মানুষের মনের ভাষা বুঝতে হবে, হৃদয়ের ভাষা বুঝতে হবে। মানুষ কী চায়, মানুষের অধিকারের কথা যে কাগজগুলোতে উঠে আসবে, বিভিন্ন সমস্যার কথা যে কাগজগুলো সত্যিকারভাবে তুলে ধরবে, বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরবে, সমাজকে সত্যিকারভাবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে এবং সমাজকে আলোর পথে ধাবিত করছে সে কাগজগুলোই কিন্তু টিকে থাকবে।

আমি বলতে চাই, সুন্দর, সত্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললে, মানুষ ও দেশের কথা বললে খবরের কাগজ পত্রিকাটিও টিকে থাকবে। জনগণের মনে স্থান করে নিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই খবরের কাগজ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে, স্বাধীনতার কথা বলবে, মেহনতি মানুষের কথা বলবে। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে।

খবরের কাগজের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল। অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজ একটি মহান দিনে খবরের কাগজ পত্রিকার চট্টগ্রাম অফিসের যাত্রা শুরু হলো। পত্রিকাটি শুরু থেকে ব্যতিক্রম। যেভাবে মুক্তচিন্তার কথা বলছে, স্বাধীনতার কথা বলছে, সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে পত্রিকাটি। চট্টগ্রামে একঝাঁক তরুণ সাংবাদিকের হাতে পত্রিকাটি পথ হারাবে না কোনো দিন।

ইতোমধ্যেই মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে পত্রিকাটি। মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমি পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী আবু জাফর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সিনিয়র সাংবাদিক খোরশেদ আলম, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর আবু হাসনাত বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, হাসান মুরাদ বিপ্লব ও নুর মোস্তফা টিনু, আওয়ামী লীগ নেতা শরফুদ্দীন চৌধুরী রাজু, সিনিয়র সাংবাদিক ও সমাজসেবক মোস্তাফিজুর রাহমান, ডেইলি স্টার চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান শিমুল নজরুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের আঞ্চলিক সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সেলিম জাবেদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস, ডেইলি সান পত্রিকা চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান নুর উদ্দিন মিলন, এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিহাদ, আজকের পত্রিকার ব্যুরো প্রধান সবুর শুভ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য দিলোয়ারা ইউসুফ, আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন রুবায়েত, বেদারুল ইসলাম বেদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান তারেক প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে স্কুল ও দোকানে আগুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন কলসি দিঘির পাড় উত্তর রেল গেট এলাকায় একটি কেজি স্কুল ও পাশের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হযরত শাহ আলী কেজি স্কুল ও দোকানে আগুন লাগে।

সিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, ভোরে খবর পেয়ে সোয়া ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় সকাল পৌনে ৭ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি।

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ