আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের জেরে দুই গ্রুপের উত্তেজনা।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কমিটি বিলুপ্তের জেরে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপ পৌরশহরে অবস্থান নেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে। এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুলিশ ছাত্রলীগের উভয়পক্ষকে স্ববাস্থান থেকে সরিয়ে দেয়। তবে ছাত্রলীগের একাংশের অভিযোগ, মিছিলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী আহতও হয়েছেন।

রোববার(২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বড়লেখা পৌরশহরে এই ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের নেতারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন। থানা পুলিশ ও স্থানীয় এবং ছাত্রলীগ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমীরুল হোসেন চৌধুরী (আমীন) ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বড়লেখা উপজেলা, পৌর, কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। পাশাপাশি বিগত (২০ ফেব্রুয়ারি) এর মধ্যে জেলা ছাত্রলীগ বরাবরে পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্তও আহ্বান করা হয়। এদিকে কমিটি বিলুপ্তির প্রতিবাদে গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদের নেতৃত্বে বড়লেখা উপজেলা, পৌর, কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে পৌর শহরের উত্তর বাজারের ডাকবাংলো এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। অন্যদিকে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ছাত্রলীগের ‘মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি’ বিলুপ্ত করায় জেলা ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে বড়লেখা পৌরসভার সামনে থেকে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (বিলুপ্ত কমিটি) তাওহিদুল ইসলাম ফরহাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের (বিলুপ্ত কমিটি) অপর পক্ষ পৌরশহরের ডাকবাংলো এলাকায় পাল্টা অবস্থান নেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ ও বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী ছাত্রলীগের দুইগ্রুপকে বুঝিয়ে সরে যেতে অনুরোধ করেন। তখন মিছিল শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে (তাওহিদুল ইসলাম ফরহাদের গ্রুপের) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি-বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। মিছিলে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আইনজীবী জিল্লুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আছকির আলী, সাবেক উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক সামছুল ইসলাম টুকু, বড়লেখা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান পারভেজ অংশ নেন। পরে মিছিল করতে না পেরে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কটুক্তির প্রতিবাদে পিসি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (বিলুপ্ত কমিটি) তাওহিদুল ইসলাম ফরহাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর। অপরদিকে বড়লেখা পৌরশহরের ডাকবাংলো এলাকায় বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের (বিলুপ্ত কমিটি) সভাপতি ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জুয়েল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়লেখা সদর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জালাল আহমদ, বড়লেখা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমদ, বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ময়নুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমন আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাকের আহমদ ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলী হোসেন, বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের (বিলুপ্ত কমিটি) সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম ফরহাদ রোববার রাত আটটায় মুঠোফোনে বলেন, ‘আজকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের আয়োজন করেছিলাম। মূলত উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের ‘মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি’ বিলুপ্ত করায় জেলা ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে কটূক্তির প্রতিবাদে আমরা মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করি। মিছিল চলাকালে পুলিশ আমাদের বাঁধা প্রদান করে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের কয়েকজনের হাত কেটে গেছে। কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’ পুলিশের বাঁধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা (ছাত্রলীগের অপর গ্রুপ) অন্যপাশে লাটিসোটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল। পুলিশ আমাদের বাঁধা দিচ্ছে মিছিল না করার জন্য। আমার বাড়ির সামনেও পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে পুলিশ বাঁধা দেবে কেন? তারা যখন (ছাত্রলীগের অপর গ্রুপ) মিছিল করল তখন পুলিশ বাঁধা দিল না ? ঘুরেফিরে তারা ‘লাগাবাজার’ মিছিল দিল। পুলিশ তাদের বাঁধা দিল না। অথচ এই কমিটির মেয়াদ শেষ এবং বিবাহিত ও অছাত্র দিয়ে কমিটি চলছিল।’উপজেলা ছাত্রলীগের (বিলুপ্ত কমিটি) সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই কালো টাকার বিনিময়ে জেলা ছাত্রলীগ বড়লেখা উপজেলা, পৌর, কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে।

মূলত একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে জেলা ছাত্রলীগ সুসংগঠিত বড়লেখা ছাত্রলীগকে অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিলুপ্ত করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। আজকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়-এমন কয়েকজন পৌরশহরে মিছিল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে তারা মিছিলের আয়োজন করে। বিষয়টি শুনে আমরা পৌরশহরে অবস্থান নেই। মিছিলে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের বেশিরভাগই বখাটে। এমনকি মাদক কারবারিরাও ছিল। পরে পুলিশ আমাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে। আমরা ডাকবাংলোর সামনে অবস্থান করেছি।’বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ শহরের পৃথক দু’টি স্থানে অবস্থান নিয়েছিল। এতে উভয়গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুইগ্রুপ মুখোমুখি হলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারত। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় দুইগ্রুপকে সরিয়ে দিয়েছি। লাঠিচার্জের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে : জামায়াত আমির।

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্খার বিজয় হবে কুরআনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিকে এই অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। দেশের সবকিছু তারা ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। বাংলাদেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিল রঙ দিয়ে শুয়ে ছিল। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।
আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

৮ দলের প্রধানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইসলামি শক্তিকে কেউ নিস্তব্ধ করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামপন্থীদের। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা কবে না।তিনি বলেন, আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চট্টগ্রামকে ইসলামের ঘাঁটি বানাই। চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। ৮ দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।

এটিএম আজহার বলেন, বাংলাদশ এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে বিদেশিরা এখানে পড়ালেখা করতে আসবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ি।খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়ের মাধ্যমে কোরআনের শাসন শুরু হবে। সোনার বাংলাদেশ দেখা শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখা শেষ- এবার আল কোরআনের বাংলাদেশ দেখতে চাই, ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের অধিকার চাই, মালিকানা কায়েম করতে চাই। গরিব মেহনতী মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ইসলাম যে বৈষম্যহীনের কথা বলা হয়েছে। পুঁজিবাদর অর্থ ব্যবস্থা করব দিয়ে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ও মালিকানা কায়েম করতে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার কবর তৈরি করে সেই ধ্বংস স্তূপের ওপর আল্লাহর কুরআনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিগত দিনগুলো শুধু উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়েছে। কিন্তু নিজেরাই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই তো উন্নয়ন। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সমাবেশে ৮ দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আলাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, খেলাফত মজসিলের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল আববার, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোতালেব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মুজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হোসেনপুরে বিএনপি নেতার খাবার বিতরণ।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়-কিশোরগঞ্জের-হোসেনপুরে পাঁচশত অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠ পৌর বিএনপির সভাপতি একে. এম. শফিকুল হক শফিকের উদ্যোগে নতুন বাজার মোড়ে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার মাসুম বাবুল, পৌর ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, পৌর ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোল্লা, জেলা জাসাস সদস্য স্বপন মিয়া, পৌর সদস্য সচিব রিমন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক পৌর রুমান মিয়া,

পৌর বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জজ মিয়াসহ পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।এ সময় পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এ কর্মসূচিতে অবস্থিত অসহায় মানুষরা খাবার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ