আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘জীবন গ্রুপ’র ৪ সদস্য গ্রেফতার

প্রেস রিলিজ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে“জীবন গ্রুপ” নামক এক কিশোর গ্যাংয়েরর ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। গতকাল রোববার র‌্যাব সূত্রে নিশ্চিত করা হয়, নগরীর সদরঘাট থানাধীন ডিটি রোড এলাকা থেকে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো মো. পারভেজ হোসেন (২৮), মো. শাহীন (৩২), মো. রফিকুল ইসলাম (৩০) ও মো. মিল্লাত (৩২)।
র‌্যাব-৭ সূত্রে জানা যায়, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন ডিটি রোড এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর এক আভিযানিক দল গত ১৬ মার্চ অভিযান চালিয়ে ‘জীবন গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের দেহ তল্লাশি করে তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ১টি স্টিলের চাপাতি, ১টি ফোল্ডিং টিপছুরি এবং ১টি স্টিলের ক্ষুর উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ‘জীবন গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাংয়ের হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাত্রীকালীন সিএনজি, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ ডাকাতি করে আসছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আসামিরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন ডিটি রোড এলাকায় একত্রিত হয়েছিল।
‘জীবন গ্রুপ’ নামক এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায়, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গলি ও রোডে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা যায়। এছাড়াও তারা সাধারণ মানুষসহ দৈনন্দিন চলাচলরত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছিনতাই করে আসছিল বলে র‌্যাবের কাছে অকপটে স্বীকার করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে বুধবার গভীর রাতে একদল দুর্ধর্ষ ডাকাত দল চার-পাঁচ টি স্বর্ণের দোকানে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের শ্রী রতন কুমার কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, উত্তম কুমার কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর স্বর্ণের দোকানগুলোর তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত ডাকাত দল প্রায় ৩০/৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রতন কুমার কর্মকারের বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকার কে মারধর করে আরও ১০ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রী রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন,একটি ডাকাত দল বাজারে নেমে দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমেই বেঁধে ফেলেন।রতন কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকতেই আমি তিন তলায় উঠে প্রতিবেশীদের ফোন করি। কিন্তু কেউ আসেনি। পরে দীপকে ফোন করলেও বের হতে পারেনি, কারণ তার দরজার সামনে দুইজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে ছিল।’

তারপর প্রায় ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে স্বর্ণের দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং কিছুক্ষণ পরে তারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সব লুট করে। তার মা স্বর্ণের গহনা খুলে দিতে দেরি করলে তাকে অনেক মারধর করে। রঞ্জন কর্মকার বাধা দিলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সহ সাপল,লোহার রড ছিলো বলে তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান,দুর্ধর্ষ ডাকাত দল স্পিডবোট যোগে গভীর রাতে বাজারে এসে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ডাকাতি করে গুমানী নদীর ভাটির দিকে চলে যায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবির ওসি রাশিদুল ইসলাম, ডিবির একটি টিম এবং ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

খান সেলিম রহমানের সম্মানে ভোলায় মিডিয়া ক্লাবে প্রীতিময় আড্ডা।

বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, দৈনিক মাতৃজগত এর সম্পাদক ও প্রকাশক, মাতৃজগত টিভির চেয়ারম্যান ও এশিয়ান টেলিভিশনের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব খান সেলিম রহমান এর সম্মানে আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রোববার বিকেল ৫ টায়, লালমোহন পৌরশহরের ওয়েস্টার্ন পাড়ায় অবস্থিত আরাফাত ভবনের নীচতলায়, লালমোহন মিডিয়া ক্লাব অফিসে -বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব- ভোলা জেলা কমিটির উদ্যোগে এক প্রীতি আড্ডা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে ।

উক্ত আড্ডায় সভাপতিত্বে করবেন- বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ভোলা জেলা কমিটির সভাপতি সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান ।
স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব ভোলা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজকর্মী মীর মোশারেফ অমি ।


উপস্থিত থাকবেন- ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সারাদেশের কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রণি, ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সহ-সভাপতি মিজান পাটোয়ারী, লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজ মাসুদ, ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক প্রভাষক কবি মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ, প্রভাষক কবি সিরাজ মাহমুদ, লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন জুয়েল, ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সদস্য নন্দিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আরিফ পন্ডিত, মাতৃজগত টিভির লালমোহন উপজেলা প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ জুয়েল সহ আমন্ত্রিত গণমাধ্যমকর্মীগণ।

প্রীতি আড্ডায়, ভোলা জেলায় কর্মরত ; বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সকল সদস্য, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত , মাতৃজগত টিভি ও দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ এর সকল প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করেছেন- বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ভোলা জেলা সভাপতি রিপন শান এবং সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারেফ অমি ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ