আজঃ মঙ্গলবার ১৮ মার্চ, ২০২৫

লোহাগড়ার ইতনায় বাবা বুড়ো ঠাকুরের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন

নড়াইল প্রতিনিধি

লোহাগড়ার ইতনায় বাবা বুড়ো ঠাকুরের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনায় শ্রী শ্রী বাবা বুড়ো ঠাকুরের ১৯তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বৈশাখী উৎসবের উদ্বোধন করেন,লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সস্পাদক ও ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সিহানুক রহমান। ২শত বছরের বাবা বুড়ো ঠাকুরের হীজল গাছ তলার ধামে মানব কল্যানে চার দিন ব্যাপী পুজা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও কবি গান অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার(১৬এপ্রিল) দুপুরে ইতনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে বুড়ো ঠাকুরের গাছতলা ধামের নির্বাহী কমিটির সভাপতি অলোক কুমার সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,কাশিয়ানী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খান মশিয়ার রহমান, বুড়ো ঠাকুরের মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস,সহ সভাপতি বিজন কুমার সেন, নির্বাহী কমিটির সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ইতনা স্কুল ও কলেজের সভাপতি উজ্জল গাঙ্গুলী,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকাশ কুমার বিশ্বাস,প্রচার সম্পাদক তপন সাহা,সদস্য ইতনা স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিন্দ সরকার, ইউপি সদস্য তমাল কুমার কুন্ডু প্রমুখ।

উল্লেখ্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বৈশাখের ১ম সপ্তাহে ৪ দিন ব্যাপী এ মেলা শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটতে থাকে। ভক্তবৃন্দরা তাদের জমির প্রথম ফসল ও ফল এনে বুড়ো ঠাকুরের আস্থানায় দান করেন। জানা গেছে প্রায় ২শ বছর আগে রানী রাশমনির আমলে এই সনাতন ধর্মাবলম্বী ধর্মীয় সাধকের আর্বিভাব ঘটে দৌলতপুর ও ইতনার মাঝে তেপান্তরের নির্জন মাঠের পাশে হিজল তলায়। সেই থেকে এই ধর্মীয় সাধকের অনেক ভক্ত এমনকি রানি রাশমনিও তার ভক্ত হন। তখন থেকেই বয়ে আসছে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মেলা। মেলায় আগত ভক্তবৃুন্দ জানান, বুড়ো ঠাকুরের মেলায় আমরা প্রতি বছর আসি। এখানে আসলে আমাদের মনোবাসনা পূর্ন হয়। এই পুজায় ও মেলায় সকল ধর্মের দর্শনার্থী আসে। এখানে সনাতন ধর্মের কীর্তন ও কবি গান হয়। ভক্তরা পুজার জন্য প্রসাদ দান করেন।

এস এম শরিফুল ইসলাম
নড়াইল -০১৭৭৭ ৯৬২৩৫০
১৬.৪.২৪

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহীতে বাড়ীতে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা।

রাজশাহী মহানগরের শাহমখদুম থানাধীন বড়বনগ্রাম এলাকায় এক ফ্রিল্যান্সারের বাসায় ঢুকে সশস্ত্র হামলা, চাঁদা দাবি ও এক তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা চালিয়েছে চার বখাটে। পরে ভুক্তভোগীরা ৯৯৯-এ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাইলে পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ওই বখাটেদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নগরীর বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান (২৫), বাবর আলীর ছেলে হাসানুর রহমান রাব্বি (২৫), ভাড়ালিপাড়া এলাকার মোতালেবের ছেলে রাকিব হাসান (২৮) ও বোয়ালিয়া থানা এলাকার কুমারপাড়া মহল্লার হাবিবুর রহমান আল বাশারের ছেলে সানি রহমান (৩০)।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা উত্তম বাড়ৈ বর্তমানে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। তিনি সেখানে থেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করেন। ঘটনার দিন গত ১৬ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টায় তার বান্ধবী জরুরি প্রয়োজনে তার সঙ্গে দেখা করতে যান ওই বাড়িতে। কিছুক্ষণ পর আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসহ উত্তম বাড়ৈর বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে।

আসামিরা তাদের মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ভুক্তভোগীদের মারধর করে ও বাসার বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর চালায়।
এ ছাড়া অভিযুক্তরা বাড়ৈর বান্ধবীর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। অভিযোগ রয়েছে, হামলকারীরা তাকে শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দেয় এবং রাজি না হওয়ায় মারধর করে ও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

উত্তম বাড়ৈ কৌশলে তার সহকর্মীর মাধ্যমে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। অভিযুক্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করে এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় উত্তম বাড়ৈ শাহমখদুম থানায় একটি মামলা করেন।

রাতে শাহমখদুম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, চাকু ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, স্টাম্পসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার হয়।গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আলুচাষী চরম হতাশায়।

শুরু হয়েছে আলু তোলার ধুম। শুরুতেই আলুর দামে ধস নেমেছে। এবার আলুর দাম একেবারেই কম। জমিতে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ কেজি দরে।

কৃষকরা বলছেন, গত এক দশকে আলু দাম এতোটা কম হয়নি। ফলে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ আলু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে উত্তরের আলু চাষিরা। ক্রেতা না থাকায় কৃষকরা না পারছে জমি থেকে বিক্রি করতে আবার বুকিং না থাকায় হিমাগারেও রাখতে পারছে না। কৃষকদের আরও অভিযোগ আলুর অস্বাভাবিক দরপতনের পেছনে আলু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে। হিমাগার মালিকদের সঙ্গে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের যোগসাজশ রয়েছে।

গত বছর রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণে হিমাগার ভাড়া ছিল ৪ টাকা। এবার এক লাফে সংরক্ষণ ভাড়া বাড়িয়ে ৮ টাকা করা হয়েছে। হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কৌশল করে হিমাগারের অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন করে রেখেছে। এ বছর অধিকাংশ সাধারণ কৃষক আলু রাখার জন্য হিমাগারে কোনো বুকিং সংগ্রহ করতে পারেনি। এখন জমি থেকে আলু তুলে সাধারণ কৃষক না পারছে হিমাগারে দিতে না পারছে বাড়িতে রাখতে। ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পানির দরে আলু কিনে নিচ্ছে জমিতে। অসহায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকায় আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।

এবার সাধারণ কৃষকরা হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফলে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের হাজারও আলু চাষি বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচের অর্ধেকও না উঠায় ব্যাংক ও মহাজনী ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

এবার আবাদ মৌসুমে বীজ আলুর দাম দ্বিগুণ হওয়ায় এক বিঘা জমিতে আলু আবাদে ব্যয় হয়েছে নিম্নে ৬০ হাজার থেকে ঊর্ধ্বে ৭০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে এবার আলু হয়েছে ৪ হাজার ৪৫০ কেজি। প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে বিক্রি করে ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি বিঘায় এবার আমার ক্ষতি দাঁড়াচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে আলু চাষী।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ