
বায়েজীদ বোস্তামী থানাদ এসআই (নি.) মোঃ আজহারুল ইসলাম থানা এলাকায় অভিযানে বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন রুপনগর আবাসিক ১নং গলি, কাপ ভবনের একটি ফ্ল্যাটের অভ্যন্তরে অভিযুক্ত আরাফাতুল ইসলাম তার ৩/৪ জন সহযোগী নিয়ে মেয়েদের আটক রেখে অর্থের বিনিময়ে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করছে। তখন এসআই (নি.) মোঃ আজহারুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ১। আরাফাতুল ইসলাম (৩০), ২। ফারজানা বেগম (৩০), ৩। আবু ওমর (৩২), ৪। মোঃ আনসার (৩৫) দেরকে আটক করেন এবং উক্ত স্থান থেকে ভিক্টিম ১। লায়লা (২০) (ছদ্মনাম), ২। পারভীন (১৫) (ছদ্মনাম) দ্বয়কে উদ্ধার করেন। ভিকটিম লায়লাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি গত ১৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ চাকরির খোঁজে চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট আসলে ১ নং অভিযুক্ত আরাফাতুল ইসলামের সহিত পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের সুবাদে ভিক্টিমকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে উক্ত অভিযুক্তের বাসা অর্থাৎ উল্লিখিত ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে এবং উক্ত স্থানে ২ নং অভিযুক্ত ফারজানা বেগমের সহিত পরিচয় করিয়ে দেয়। তখন ভিকটিম লায়লা উক্ত স্থানে পারভীনকে দেখতে পান। এরপর ভিক্টিম লায়লা উক্ত বাসায় থাকাকালে ১ ও ২ নং অভিযুক্ত ভিক্টিম পারভীনকে বাইরে থেকে খদ্দের এনে যৌন নিপীড়নে বাধ্য করে। জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করতে দেখে সে উক্ত বাসা থেকে চলে আসতে চায়। তখন উক্ত ১ ও ২ নং অভিযুক্ত ভিকটিম লায়লাকে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খদ্দেরের সাথে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে ভিকটিম লায়লা অসুস্থ হয়ে পড়লে সে ১ নং অভিযুক্তের নিকট জানায়। কিন্তুু অভিযুক্ত তাকে পুনরায় তার কথা মতো কাজ না করলে খাবারসহ কোনো প্রকার ঔষধ কিনে দিবে না বলে জানায়। ১ নং অভিযুক্ত আরাফাতুল ইসলাম বিভিন্ন সময় খদ্দের সংগ্রহ করে প্রতিটি কাজে কম বেশি ১,হাজার টাকা নিয়ে কখনোই ভিকটিমদ্বয়কে টাকাপয়সা না দিয়ে ভিকটিমদ্বয়কে আর্থিকভাবে শোষণ করে এবং পতিতাবৃত্তি থেকে অর্জিত আয়ের উপর মুনাফা ভোগ করে। ১ মে ২০২৪. রাত ১০টায় ৩ নং অভিযুক্ত আবু ওমর (৩২) ও ৪নং অভিযুক্ত মোঃ আনসার (৩৫)-দ্বয়কে ১ নং অভিযুক্ত বাসায় খদ্দের হিসেবে নিয়ে আসলে ২ নং অভিযুক্ত তাহদেরকে ভিক্টিমদের রুমে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে যৌন নিপীড়নে ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে এসআই আজাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু হয়। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদেরকে পুলিশ প্রহরায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।উল্লেখ্য আরফাতুল এবং পারজানার বিরুদ্ধে এর আগেও মানব পাচার আইনে মামলা রয়েছে।
