আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

বায়েজীদ বোস্তামী থানা পুলিশের অভিযানে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করার অপরাধে গ্রেফতার -৪ জন, ২ জন ভিকটিম উদ্ধার

প্রেস রিলিজ

 

বায়েজীদ বোস্তামী থানাদ এসআই (নি.) মোঃ আজহারুল ইসলাম  থানা এলাকায় অভিযানে  বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন রুপনগর আবাসিক ১নং গলি, কাপ ভবনের একটি ফ্ল্যাটের অভ্যন্তরে অভিযুক্ত আরাফাতুল ইসলাম তার ৩/৪ জন সহযোগী নিয়ে মেয়েদের আটক রেখে অর্থের বিনিময়ে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করছে। তখন এসআই (নি.) মোঃ আজহারুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ১। আরাফাতুল ইসলাম (৩০), ২। ফারজানা বেগম (৩০), ৩। আবু ওমর (৩২), ৪। মোঃ আনসার (৩৫) দেরকে আটক করেন এবং উক্ত স্থান থেকে ভিক্টিম ১। লায়লা (২০) (ছদ্মনাম), ২। পারভীন (১৫) (ছদ্মনাম) দ্বয়কে উদ্ধার করেন। ভিকটিম লায়লাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি গত ১৯ এপ্রিল ২০২৪  তারিখ চাকরির খোঁজে চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট আসলে ১ নং অভিযুক্ত আরাফাতুল ইসলামের সহিত পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের সুবাদে ভিক্টিমকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে উক্ত অভিযুক্তের বাসা অর্থাৎ উল্লিখিত ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে এবং উক্ত স্থানে ২ নং অভিযুক্ত ফারজানা বেগমের সহিত পরিচয় করিয়ে দেয়। তখন ভিকটিম লায়লা উক্ত স্থানে পারভীনকে দেখতে পান। এরপর ভিক্টিম লায়লা উক্ত বাসায় থাকাকালে ১ ও ২ নং অভিযুক্ত ভিক্টিম পারভীনকে বাইরে থেকে খদ্দের এনে যৌন নিপীড়নে বাধ্য করে।  জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করতে দেখে সে উক্ত বাসা থেকে চলে আসতে চায়। তখন উক্ত ১ ও ২ নং অভিযুক্ত ভিকটিম লায়লাকে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খদ্দেরের সাথে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে ভিকটিম লায়লা অসুস্থ হয়ে পড়লে সে ১ নং অভিযুক্তের নিকট জানায়। কিন্তুু অভিযুক্ত তাকে পুনরায় তার কথা মতো কাজ না করলে খাবারসহ কোনো প্রকার ঔষধ কিনে দিবে না বলে জানায়। ১ নং অভিযুক্ত আরাফাতুল ইসলাম বিভিন্ন সময় খদ্দের সংগ্রহ করে প্রতিটি কাজে কম বেশি ১,হাজার টাকা নিয়ে কখনোই ভিকটিমদ্বয়কে টাকাপয়সা না দিয়ে ভিকটিমদ্বয়কে আর্থিকভাবে শোষণ করে এবং পতিতাবৃত্তি থেকে অর্জিত আয়ের উপর মুনাফা ভোগ করে। ১ মে ২০২৪. রাত ১০টায় ৩ নং অভিযুক্ত আবু ওমর (৩২) ও ৪নং অভিযুক্ত মোঃ আনসার (৩৫)-দ্বয়কে ১ নং অভিযুক্ত বাসায় খদ্দের হিসেবে নিয়ে আসলে ২ নং অভিযুক্ত তাহদেরকে ভিক্টিমদের রুমে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে যৌন নিপীড়নে ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে এসআই আজাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু হয়। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদেরকে পুলিশ প্রহরায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।উল্লেখ্য আরফাতুল এবং পারজানার বিরুদ্ধে এর আগেও মানব পাচার আইনে মামলা রয়েছে।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ