আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

জলাতঙ্ক নির্মূলে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি চালাবে চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

 জলাতঙ্ক নির্মূলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ৪১টি ওয়ার্ডে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান (এমভিভি) কর্মসূচি আগামী ৭মে থেকে শুরু হয়ে ১১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডের এমডিভি কার্যক্রমে সহযোগীতায় থাকবেন ওয়ার্ডে সচিব, সার্ভেয়র, ভ্যাক্সিনেটর, দক্ষ কুকুর ধরার লোক, ও স্থানীয় দিক নির্দেশনা প্রদর্শন করার লোক। মাইকিং এর মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে (এমডিভি) কার্যক্রমের প্রচার প্রচারণা করা হবে এবং নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের মধ্যে কুকুর টিকাদানের ক্যাম্প করা হবে। ভ্যাক্সিনকৃত কুকুরকে লাল রং বা লাল ফিতার মধ্যমে চিহ্নিত করা হবে এবং ডিজিটাল মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি কুকুরের রেকর্ড নিশ্চায়ন করা হবে। গৃহিত এই কার্যক্রমের মধ্যে রোগ ও রোগীর গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডে ৪৬টি টিম কাজ করবে। প্রতিটি টিমে কাজ করবে ২জন দক্ষ কুকুর ধরার লোক, ১জন ভ্যাক্সিনেটর, ১জন ডাটা কালেক্টর, ১জন লোকাল দিক নির্দেশনা কর্মী। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডে ৪৬টি টিম পর্যবেক্ষন করবেন এমডিভি সুপার ভাইজর, ওয়ার্ড সচিব ও এমডিভি এক্সপার্ট। প্রতিটি ওয়ার্ডে দুপুর ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষন করা হবে এবং যে সকল কুকুর টিকার আওতায় আসে নাই তা পরবর্তী দিন টিকার আওতায় আনা হবে। গতকাল সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান (এমডিডি) সম্পর্কীত অবহিতকরণ ও প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য উঠে আসে। সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে দেখি কুকুর খুব আগ্রাসী থাকে এবং দলবদ্ধভাবে প্রায়শ পথচারীদের ধাওয়া করে।
এজন্য জলাতঙ্ক নির্মূলে কুকুর নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। আশা করি এমডিভি কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে জলাতঙ্ক রোগ শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব হবে। সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, ছালেহ আহম্মদ চৌধূরী, জহর লাল হাজারী, নাজমুল হক (ডিউক), হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোঃ মোবারক আলী, গাজী মোঃ শফিউল আজিম, আবুল হাসনাত মোঃ বেলাল, মোঃ নুরুল আমিন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, মো. ইসমাইল, নূর মোস্তফা টিনু। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রন শাখার এমডিজি এক্সপার্ট ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ মূল কর্মসূচি তুলে ধরেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), চট্টগ্রাম ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ চৌধুরী, মেডিকেল অফিসার (রোগতত্ত্ব) সিভিল সার্জন অফিস, চট্টগ্রাম ডাঃ মোঃ নুরুল হায়দার এবং জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ