আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

পর্দা নামল প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ফুটবল টুর্নামেন্টের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত খেলায় জয়ী হয়েছে স্যোশিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। প্রতিষ্ঠাতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত সোমবার রাতে নগরীর অক্সিজেন স্পোর্টস জোনে চূড়ান্ত খেলায় মুখোমুখি হয় স্যোশিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ও ইংরেজি বিভাগ। খেলার মূলপর্বের ফলাফল হয় ১-১। মূলপর্বে প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটের মাথায় স্যোশিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পক্ষে শাহীন আলম গোল করেন। ১৯ মিনিটের মাথায় ইংরেজি বিভাগের পক্ষে মো. শাকিল গোল করে তা পরিশোধ করেন।এরপর ট্রাইবেকার পর্বে স্যোশিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগ ৫-৪ গোলে ইংরেজি বিভাগকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।চূড়ান্ত খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। এসময় ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য হাসিনা মহিউদ্দিন ও বোরহানুল হাসান চৌধুরী, উপ-উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন তৌফিক সাঈদ, রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান, এবি ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধান মাহতাবুর রহমান ছিলেন।
খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন স্যোশিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শাহীন আলম। তিনি গোল্ডেন গ্লাভসও লাভ করেন। ইংরেজি বিভাগের তাসিন গোল্ডেন বল, অর্থনীতি বিভাগের শাহরিয়ার ইকবাল ও ইংরেজি বিভাগের মো. শাকিল যৌথভাবে গোল্ডেন বুট অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে অনুপম সেন বলেন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণে এ ফুটবল টুর্নামেন্ট। চট্টগ্রামের উন্নয়নে উনার ভূমিকা ছিল বিরাট। বিশেষভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে তার অবদান বিশাল। তিনি প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ পর্যায়ে প্রায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি মেয়র থাকাকালে জীর্ণ-শীর্ণ বিদ্যালয়গুলোকে সিটি করপোরেশনের অধীনে নিয়ে সেগুলোর অভূতপূর্ব মানোন্নয়ন করেছিলেন। তিনি স্বাস্থ্যখাতে দুটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক কমিউনিটি ক্লিনিকেরও তিনি প্রতিষ্ঠাতা। চট্টগ্রামে উচ্চশিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমি তাকে চট্টগ্রামের ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা ও মাঠের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলাম। তিনি তা আমলে নিয়েছিলেন। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী-প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট ক্রীড়া নিয়ে তার স্বপ্নের অংশ।
হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, এ টুর্নামেন্ট একদিন অনেক বড় হবে, বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে। আমি বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং বিজয়ী ও রানার আপ দল সামনে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। বোরহানুল হাসান চৌধুরী বলেন, এ ধরনের টুর্নামেন্টের ফলে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির এক বিভাগের সঙ্গে অন্য বিভাগগুলোর আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হবে। এ সম্পর্ককে আমরা অভ্যন্তরীণ সামাজিক সম্পর্ক বলতে পারি।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব পঙ্কজ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য টুটন চন্দ্র মল্লিক, স্টিভ অস্কার ডি রোজারিও, হিল্লোল সাহা, ফারহানা শিরিন চৌধুরী, বদরুল হাসান আওয়াল, তাসনিম উদ্দিন চৌধুরী, মামুন অর রশিদ, সুমিত ধর, অর্পা পাল, হাসান মুরাদ ও কামরুল হাসান সুমন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, ২ মে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী-প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দক্ষিণ হালিশহরে আন্তঃ একাডেমি কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন জিয়াউদ্দিন মন্টু স্মৃতি : সেরা খেলোয়াড় শাহাদাত।

নগরীর ইপিজেড থানাধীন ৩৯ নং ওয়ার্ডস্থ দক্ষিণ প্রয়াত উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন আহমেদ মন্টু স্মৃতি।
শুক্রবার বিকেলে সিডিএ বালুর ২নং মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনালে প্রয়াত ফুটবলার জানে আলম স্মৃতি কে ট্রাইবেকারে ৩-১ গোলে হারিয়ে ২য় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অধিনায়ক আমিরের জিয়াউদ্দিন মন্টু স্মৃতি।এর আগে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়। গোল দাতা আনিস ও শাহাদাত হোসেন। জয়ী দলের কিপার হাসান ম্যান অব দ্যা ম্যাচ, টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন শাহাদাত হোসেন, উদীয়মান ফুটবলার মোঃ আব্দুল্লাহ, সেরা সদস্য ক্ষুদে ফুটবলার মোঃ তাহমিদ।

টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও একাডেমির পরিচালক ও জেনারেল সেক্রেটারি, ক্রীড়া সংগঠক মুহাম্মদ বাবুল হোসেন বাবলার সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা কোচ ও সাবেক জেলা দলের ফুটবলার মোঃ আলাউদ্দিন, সহকারী কোচ ও সিনিয়র ডিভিশন ফুটবলার মোঃ মামুন, একাডেমির সদস্য মোঃ রাকিব হোসেন সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খেলার রেফারি মোঃ ওমর ফারুক,সহকারী মোঃ আতিকুল্লাহ ও তৌসিফ,৪র্থ‌ রেফারি মোঃ আতাউর।
আসন্ন সিডিএফএ অ-১৫ একাডেমি কাপ ফুটবলের জন্য খেলোয়াড় নির্বাচিত করার জন্য এই আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দেলোয়ার আমিন হারুন।

মফস্বল মাঠে আন্তর্জাতিক টেপবল বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

মফস্বল এলাকায় প্রথমবারের মতো দেশি-বিদেশি তারকা খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে জমজমাট ক্রিকেট উৎসবের আয়োজন করেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা স্পোর্টিং ক্লাব। ‘আন্তর্জাতিক টেপবল বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার পূর্ব চান্দরা স্পোর্টিং ক্লাব মাঠে।

প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আর প্রতিটি খেলাতেই থাকছে দেশি ও বিদেশি তারকা খেলোয়াড়দের উপস্থিতি। টুর্নামেন্টকে ঘিরে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।


আজ (রবিবার) সকাল বেলা শরীয়তপুর বনাম চট্টগ্রাম দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয় । ৩২ রানে জয়ী হয় শরীয়তপুর। শরীয়তপুর দলে ছিলেন পাকিস্তানের জহির কালিয়া এবং সৌদি আরবের আব্দুল মান্নান। চট্টগ্রাম দলের কোনো বিদেশি খেলোয়াড় ছিল না। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সিলেট বনাম ঢাকা ম্যাচ, ৫ উইকেটে বিজয়ী হয় সিলেট ফাইটার যেখানে সিলেট ফাইটারস দলে অংশ নেন পাকিস্তানের আলী চুহা ও সৌদি আরবের ওয়াজিউল হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন পূর্ব চান্দরা স্পোর্টিং ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা সাইজুদ্দীন আহমেদ এবং মাঠের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক সারোয়ার হোসেন আকুল।

প্রধান অতিথি মুজিবুর রহমান বলেন, মফস্বল এলাকায় এমন আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বিদেশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ স্থানীয় তরুণদের অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং ক্রীড়া চর্চায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এবারের টুর্নামেন্টে মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী দিনে শরীয়তপুর বনাম চট্টগ্রাম ও সিলেট বনাম ঢাকা দলের মধ্যে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলাগুলো উপভোগ করতে মাঠে হাজারো দর্শকের সমাগম ঘটে।

বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নামিদামি ক্রিকেটাররা। সিলেট ফাইটারসের পক্ষে খেলছেন সৌদি আরব জাতীয় দলের অধিনায়ক ওয়াজিউল হাসান (ওজিল হাসান) এবং পাকিস্তানের আলী চুহা। অপরদিকে শরীয়তপুর টিমে রয়েছেন পাকিস্তানের জহির কালিয়া ও সৌদি আরবের আব্দুল মান্নান।দেশি তারকাদের মধ্যে খেলছেন জনপ্রিয় টেপবল খেলোয়াড় হেলিকপ্টার বাবলু, রকেট সুমন, সকালসহ আরও অনেকে।

সিলেট ফাইটারস দলের খেলোয়াড় খালেদ আকরাম বলেন, এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। টুর্নামেন্টের পরিবেশ, মাঠের প্রস্তুতি এবং দর্শকদের আগ্রহ সত্যিই প্রশংসনীয়।

আয়োজক কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক সারোয়ার হোসেন আকুল জানান, মাঠ খেলার উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে। দর্শকদের জন্য গ্যালারি, আলোকসজ্জা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। খেলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে, যাতে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ টুর্নামেন্টটি উপভোগ করছে।

ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা সাইজুদ্দিন আহমেদ বলেন,
আমরা চাই তরুণরা মাঠমুখী হোক, খেলাধুলার মাধ্যমে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুক। এমন আন্তর্জাতিক মানের আয়োজনের মাধ্যমে মফস্বল এলাকায় খেলাধুলার নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ