আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

নোয়াখালীতে সদর উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে আনারস প্রার্থী,কে,এম সামছুদ্দিন জেহানের গণসংযোগ

মোঃ এনায়েত হোসেন নোয়াখালী প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নোয়াখালীতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩য় ধাপে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন এ,কে,এম সামছুউদ্দিন জেহান ।গত ৫ দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ,কে,এম সামছুউদ্দিন জেহন।প্রখর রোদের মাঝে ও থেমে নেই তার আনারসের প্রচার প্রচারণা।দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তার দুই সন্তানসহ।
এরিই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন ধরে সদর উপজেলার ব্যবসায়ী সহ সকলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ সহ,এছাড়া গণসংযোগ,উঠান বৈঠক এবং লিফলেট বিতরণ করেন তিনি।এদিকে সন্ধ্যার পর চরমটুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে সকলের সাথে কৌশল বিনিময়ে করেন।এদিকে যখনই বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আঘাত হানে,মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পাচ্ছে না ঠিক তখনই তিনি গরীব অসহায় মানুষের পাশে রয়েছেন এবং তাদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেন।বিভিন্ন সময় সরকারি ভাবে মানুষের হাতে এই বিপদকালে ত্রাণ,পাশাপাশি নিজ অর্থ দিয়েও খাদ্য জিনিস মানুষের ঘরে পৌঁছে দেন করোনাভাইরাস চলাকালীন।পাশাপাশি তিনি সদর উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এছাড়াও রাজনীতির পাশাপাশি তিনি উপজেলার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সকলের কাছে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন।

এ,কে,এম সামছুদ্দিন বলেন-আমি শেখ হাসিনার উন্নয়নের আদর্শকে বিশ্বাস করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে সব চ্যালেঞ্জ এবং ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সারা দেশব্যাপী উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু করেছেন তা বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমানে আমি দলমত নির্বিশেষে সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের দোয়া, সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরও বলেন,আমার রাজনৈতিক গুরু নোয়াখালী জেলার মাটি ও মানুষের বন্ধু জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী -৪ (সদর ও সুর্বণচর) উপজেলার সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর সহযোগিতা তার নির্দেশে এবং দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সাড়া পেয়েই আমি প্রচার প্রচারণায় নেমেছি।এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমিও একজন বাঙ্গালি হিসেবে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। যদি নির্বাচনে আল্লাহ আমাকে জনগণের ভোটের মাধ্যমে জয়ী করেন,তাহলে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের পাশে থেকে সদর উপজেলাকে একটি ‘স্মার্ট উপজেলা পরিষদ হিসেবে গড়ার জন্য যা করার দরকার,তা আমি করবো ইনশা’আল্লাহ।

এলাকার মানুষের সুখে-দুখে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ