আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বারাসাত আদালত ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুনে পশ্চিম বঙ্গ সিআইডির আবেদন

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুন করার পরে যে কসাই তার দেহ টুকরো করেছিল বলে অভিযোগ, তাকে কলকাতায় গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। শুক্রবার জিহাদ হাওলাদার নামের আসামির ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বারাসাতের আদালত।সিআইডি-র এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন জিহাদ হাওলাদার নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক এবং তিনি অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইতে বাস করতেন। তার আদি বাসস্থান বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার অন্তর্গত বারাকপুরে।এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জামান দুমাস আগে জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল।বৃহস্পতিবার জিহাদকে আটক করে একটানা জেরা করা হয়। তারা নিহত আনোয়ারুল আজীমের দেহ কলকাতা সংলগ্ন কোন এলাকায় ফেলে দিয়ে থাকতে পারে, সেটা জানার চেষ্টা করা হয়।

নিহত এমপির দেহাংশের খোঁজে সিআইডি বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশ এলাকার অন্তর্গত পোলেরহাট থানার কৃষ্ণবাটি সেতুর কাছে বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায়। নিউ টাউন এলাকার যে ফ্ল্যাটে আজীমকে খুন করা হয়, সেই আবাসিক কমপ্লেক্সের সামনে দিয়েই এই খালটি বয়ে গেছে।তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি বলেই সিআইডি জানিয়েছে।শুক্রবার সকালে কাপড় দিয়ে জিহাদ হাওলাদারের মুখ ঢেকে তাকে বারাসাতের আদালতে নিয়ে যায় সিআইডি।দুপুরে তার ১২ দিনের সিআইডি রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

পরবতী সংবাদে আরোও জানা যাবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে বুধবার গভীর রাতে একদল দুর্ধর্ষ ডাকাত দল চার-পাঁচ টি স্বর্ণের দোকানে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের শ্রী রতন কুমার কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, উত্তম কুমার কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর স্বর্ণের দোকানগুলোর তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত ডাকাত দল প্রায় ৩০/৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রতন কুমার কর্মকারের বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকার কে মারধর করে আরও ১০ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রী রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন,একটি ডাকাত দল বাজারে নেমে দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমেই বেঁধে ফেলেন।রতন কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকতেই আমি তিন তলায় উঠে প্রতিবেশীদের ফোন করি। কিন্তু কেউ আসেনি। পরে দীপকে ফোন করলেও বের হতে পারেনি, কারণ তার দরজার সামনে দুইজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে ছিল।’

তারপর প্রায় ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে স্বর্ণের দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং কিছুক্ষণ পরে তারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সব লুট করে। তার মা স্বর্ণের গহনা খুলে দিতে দেরি করলে তাকে অনেক মারধর করে। রঞ্জন কর্মকার বাধা দিলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সহ সাপল,লোহার রড ছিলো বলে তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান,দুর্ধর্ষ ডাকাত দল স্পিডবোট যোগে গভীর রাতে বাজারে এসে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ডাকাতি করে গুমানী নদীর ভাটির দিকে চলে যায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবির ওসি রাশিদুল ইসলাম, ডিবির একটি টিম এবং ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

আরব আমিরাতে ১২ বছরের বিচ্ছেদের পরে মা ছেলেকে একত্রিত করলো শারজাহ্ পুলিশ

শারজাহ পুলিশ বারো বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচ্ছিন্ন থাকার পর এক মাকে তার ছেলের সাথে পুনরায় মিলিত করেছে।সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফিরে আসা মা, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তার জন্মের পরপরই তার সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পারিবারিক বিরোধের ফলে তাদের মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। অনেক বছর ধরে তার সন্তানের সন্ধানে ব্যর্থ চেষ্টার পর সম্প্রতি

তিনি তার স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যান এবং তার আয়ের উৎস হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে ২০১৩ সালে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর, তিনি তার ছেলের সন্ধান এবং তার জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করার সময় দীর্ঘ কষ্টের মুখোমুখি হন।

তার সমস্ত বিকল্প শেষ করার পর, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফিরে আসেন এবং আবার তার অনুসন্ধান শুরু করেন। তিনি শারজাহ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন, যারা তাৎক্ষণিকভাবে সমাজকর্মীদের একটি বিশেষ দলের সহায়তায় একটি অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। দলটি যুবকের অবস্থান এবং জীবনযাত্রার পরিস্থিতি যাচাই করে।

রেকর্ড সময়ের মধ্যে নিবিড় প্রচেষ্টার পর, কর্তৃপক্ষ তাকে খুঁজে বের করে এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পুনর্মিলনের সমন্বয় সাধন করে।

এক দশক ধরে বিচ্ছেদের পর এই আবেগঘন বৈঠকে পরিবার রক্ষা এবং শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শারজাহ পুলিশের মানবিক ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।

কমিউনিটি প্রোটেকশন অ্যান্ড প্রিভেনশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আহমেদ আল মারি বলেন, এই মামলাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের দ্বারা অনুপ্রাণিত মানবিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে, যা পারিবারিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক সহায়তাকে অগ্রাধিকার দেয়।

তিনি এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয় পরিচালনায় পেশাদারিত্বের জন্য বিশেষায়িত দলগুলির প্রশংসা করেন, যোগ করেন যে আশা পুনরুদ্ধার এবং মানবিক দুর্ভোগের অবসান শারজাহ পুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলির মধ্যে একটি।

এক বিবৃতিতে, কর্তৃপক্ষ বলেছেন,মানুষ সর্বদা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিজ্ঞ নেতৃত্বের অগ্রাধিকারের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল, যা সহানুভূতি, সামাজিক সংহতি জোরদার এবং সম্প্রদায়ের কল্যাণকে সমর্থন করার উপর ভিত্তি করে একটি দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করেছে।

এই নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে, শারজাহ পুলিশ নিশ্চিত করে যে যে কোনও ব্যক্তির দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া কেবল একটি সরকারী দায়িত্ব নয়, বরং তাদের দৈনন্দিন কাজের গভীরে প্রোথিত নীতিশাস্ত্র এবং মূল্যবোধের একটি সেট। ব্যতিক্রম ছাড়াই সমাজের সকল অংশের জন্য তাদের যত্ন প্রসারিত। যখন এই যত্ন একটি ট্র্যাজেডির মাধ্যমে শেষ হয় এবং আশার দরজা খুলে দেয়, তখন এটি এই জাতির ট্রাস্ট কল্যাণ ও মানবতার সেবাকারী যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের সর্বোচ্চ রূপের প্রতিনিধিত্ব করে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ